মহারাষ্ট্রের জাতীয় পাখি হরিয়াল এসে হাজির বর্ধমানের স্কুলে! কৃত্রিম বাসায় চিকিৎসা করে বাঁচাল পড়ুয়ারা
- Published by:Nayan Ghosh
- hyperlocal
- Reported by:Sayani Sarkar
Last Updated:
Yellow Footed Green Pigeon : মহারাষ্ট্রের জাতীয় পাখি উড়ে এল বর্ধমানের পড়ুয়াদের বানানো কৃত্রিম বাসায়! অসুস্থ পাখিকে চিকিৎসা করতে মরিয়া পড়ুয়ারা। প্রতিবছরে এই কৃত্রিম বাসায় উড়ে আসে নানান পাখি।
advertisement
বর্ধমান শহরের কাঞ্চননগর ডি এন দাস উচ্চ বিদ্যালয়ের কৃত্রিম বাসার নিচে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার হরিয়াল বা Yellow Footed Green pengion পাখি। পড়ুয়ারা উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায় বিদ্যালয়ের হেলথকেয়ার রুমে। চিকিৎসা করে আপাতত পর্যবেক্ষনে রাখা হয়েছে। <strong>(চিত্র ও তথ্য সূত্র: সায়নী সরকার)</strong>
advertisement
এটি মহারাষ্ট্রের জাতীয় পাখি এবং পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত জায়গায় এই পাখিগুলি দল বেঁধে দেখা যায়। এদের পা হলুদ এবং দেহ সবুজ হলুদ এর সংমিশ্রণে অদ্ভুত সুন্দর আকর্ষণীয় বৈচিত্রময় রং। এই হরিদ্রাভ সবুজ রঙের জন্য অনেকে একে পবিত্র সৌহার্দের শান্তির সমৃদ্ধির পাখি মনে করেন। এদের খুব প্রিয় খাবার ডুমুর বট পাকুর জাতীয় ফল। <strong>(চিত্র ও তথ্য সূত্র: সায়নী সরকার)</strong>
advertisement
এই পাখিগুলি সাধারণত দল বেঁধে আসে বটগাছের ফল খেতে এবং এসে কৃত্রিম বাসায় থাকার চেষ্টা করায় পায়রা বা পেঁচার সঙ্গে ও নিজেদের মধ্যে কৃত্রিমবাসা দখলের লড়াইয়ে পাখিটির মাথায় ঠক্করে আহত হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। গাছের নিচে পাখিটিকে পড়ে থাকতে দেখেন পড়ুয়ার। তারাই উদ্ধার করে নিয়ে আসে স্কুলের হেলথ কেয়ারে। <strong>(চিত্র ও তথ্য সূত্র: সায়নী সরকার)</strong>
advertisement
প্রধান শিক্ষক জানান, আমাদের স্কুলে গাছে পাখিদের জন্য বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে কৃত্রিম বাসায় তৈরি করা রয়েছে। প্রতিবছরের এখানে বিভিন্ন রকমের পাখি আসে। এবারের আমাদের গাছের কৃত্রিম বাসাগুলিতে হরিয়াল পাখি এসেছে। আমাদের এই বাসায় আগে থেকেই বেশ কয়েকটি পেঁচা রয়েছে। সেই কারণে কিছুদিন আগে একটি হরিয়াল পাখি অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। আমাদের স্কুলের কয়েকজন পড়ুয়া প্রথম পাখিটিকে অসুস্থ অবস্থায় দেখে। বর্তমানে আমরা সেটাকে সুস্থ করে তত্ত্বাবধানে রেখেছি। সুস্থ হয়ে গেলে আবার বাসায় ফিরিয়ে দেব। এই পাখিগুলিকে বাঁচিয়ে রাখা খুবই প্রয়োজন কারণ ধীরে ধীরে কমছে এই ধরনের পাখির সংখ্যা। <strong>(চিত্র ও তথ্য সূত্র: সায়নী সরকার)</strong>