Viral news: বিয়ের পর গাড়ি চেপে নয়... যা চড়ে ঘরে এলেন বর-কনে দেখলে অবাক হবেন!
- Published by:Ratnadeep Ray
- Reported by:Saradindu Ghosh
Last Updated:
Viral news: গরুর গাড়িতে এল বর-কনে। এ দৃশ্য দেখেনি আজকের প্রজন্ম। গরুর গাড়ি দূরে থাক, পালকিতে বউ যাওয়ার কথা পড়েছে, কিন্তু দেখেনি তারা।
গরুর গাড়িতে এল বর কনে। এ দৃশ্য দেখেনি আজকের প্রজন্ম। গরুর গাড়ি দূরে থাক, পালকিতে বউ যাওয়ার কথা পড়েছে, কিন্তু দেখেনি তারা। এখন বর-কনে আসে চারচাকা গাড়িতে। যার যত বেশি সামর্থ, তার বিয়ের গাড়ি তত দামি। কিন্তু সেই নতুনের মাঝে পুরনোকে যদি ফিরে পাওয়া যায় তবে কেমন হয়! সেই পুরনো রীতি নতুন করে ছুঁয়ে দেখা গেলে! তেমনটাই করলেন পূর্ব বর্ধমানের জীবনানন্দ দে, বিয়ে করতে গেলেন গরুর গাড়িতে চড়ে। বউ নিয়ে ফিরলেন সেই গাড়িতেই।
advertisement
advertisement
বিলাসবহুল চারচাকা গাড়ির যুগে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ধরে রাখতে গরুর গাড়িতেই নববধূকে নিয়ে ফিরলেন জীবনানন্দ। আউশগ্রামের ভেদিয়ার বর জীবনানন্দ দে। তাঁর বিয়ে হল আউশগ্রামেরই গোবিন্দপুরের কনে নিবেদিতা মাঝির সঙ্গে। গরুর গাড়িতে চড়ে বিয়ে করতে যাওয়ার কথা নিবেদিতাকে জানিয়েছিলেন জীবনানন্দ। হবু বরের ইচ্ছেয় সায় দেন নিবেদিতা।তাঁদের এই অভিনব সিদ্ধান্তে মুগ্ধ স্থানীয় বাসিন্দারাও।
advertisement
আজকের দিনে বিয়ের বরযাত্রী বা কনেযাত্রীর জন্য রঙিন ফুল ও রংবাহারী আলোয় সাজানো দামি গাড়ির বহরই যেন স্বাভাবিক দৃশ্য। কোথাও পালকিতে চড়ে বর-কনের আগমন, কোথাও আবার রাজকীয় জৌলুশ বজায় রাখতে ঘোড়ার গাড়ির ব্যবহার দেখা যায়। কিন্তু গরুর গাড়িতে বউ নিয়ে ফেরার ঘটনা আজকের দিনে একেবারেই বিরল। প্রতীকী ছবি
advertisement
পুরনো রীতির প্রতি ভালোবাসা থেকেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন বর জীবনানন্দ দে। তিনি বলেন, “আমাদের শৈশবের গল্পে দাদু-ঠাকুরমার মুখে শুনেছি, একসময় গরুর গাড়িতেই কনে আনা-নেওয়া হত। এখন যুগ বদলেছে, কিন্তু আমাদের শিকড় তো গ্রামেই। তাই ঐতিহ্যকে সম্মান জানাতে আমরা গরুর গাড়িতেই বাড়ি ফিরেছি। নববধূ নিবেদিতা মাঝিও এই সিদ্ধান্তে খুশি। তাঁর কথায়, এটা এক অন্যরকম অভিজ্ঞতা। এমন কিছু করতে পেরে খুব ভাল লাগছে। এটা আমাদের পুরনো ঐতিহ্যের সঙ্গে যুক্ত। প্রতীকী ছবি
advertisement
গ্রামের পথ দিয়ে গরুর গাড়িতে নববধূকে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখতে উৎসাহী হয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। ছোট-বড় সকলেই সেই বিরল মুহূর্তের স্বাক্ষী হতে রাস্তায় ভিড় জমান। মোবাইল ফোনে সেই ছবিও বন্দি করেন অনেকেই। জীবনানন্দ দে পরিবারের একমাত্র সন্তান, তিনি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত। আর নিবেদিতারা এক ভাই ও এক বোন, নিবেদিতা বড়। তিনি এখন পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন চাকরি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। প্রতীকী ছবি