নদী বাঁধের নতুন পাহারাদার, রক্ষক হবে সুন্দরবনের অর্থনীতিরও! পরিত্রাতা হচ্ছে তাল ও কেওড়া

আয়লা, বুলবুল, আমফান, ফণী, ইয়াস, রেমালের মত প্রাকৃতিক বিপর্যয় সুন্দরবনে প্রতি বছর লেগেই আছে। এর ফলে নদী বাঁধ ভাঙনের দরুন নদীর পাড়ের দফারফা হচ্ছে। (ছবি ও তথ্য: সুমন সাহা)

তার জন্য নেওয়া হল অন্যরকম উদ্যোগ। ম্যানগ্রোভের আঁতুরঘরে বাড়ছে তাল, খেজুর, কেওড়ার চাহিদা। তাল ও খেজুর বীজ রোপন করার ফলে এই গাছগুলি দীর্ঘদিন অক্ষত থাকবে। কারণ এগুলি গবাদি পশু খায় না। তাছাড়া সমস্ত গাছের বাঁজের বেশি কিছু পরিচর্যারও প্রয়োজন পড়ে না। (ছবি ও তথ্য: সুমন সাহা)

তালগাছের শিকড় মাটির গভীরে গিয়ে মাটিকে শক্ত করে। তাই সুন্দরবনে যত জোরে ঝড় আসুক না কেন তালগাছ তা নিজে রক্ষা করতেই পারবে।  বিশেষজ্ঞদের মতে নদী বাঁধ রক্ষা করবে এই তালগাছ। (ছবি ও তথ্য: সুমন সাহা)

অন্যদিকে তাল গাছ এলাকার অর্থনৈতিক উন্নতিতে সাহায্য করবে। তাল থেকে তৈরি করা বিভিন্ন সামগ্রী নিয়ে ব্যবসা করা যাবে। যেমন তাল মিছরি অনেক উপকারী গুণ সমৃদ্ধ। যেমন অ্যানিমিয়া, হাড়ের সমস্যা, সর্দি কাশির উপশম, চোখের দৃষ্টিবাড়ানো, কিডনি স্টোন রোধ করা, পেটে ব্যথা, নাক দিয়ে রক্ত পড়া, মুখের তালমিছরি উপকারী। রসনাতৃপ্ত বাঙালির প্রিয় পিঠে পুলীতে তালের ব্যবহার সেই অনেককাল আগে থেকেই। (ছবি ও তথ্য: সুমন সাহা)

তালের গুড় খাবারে অন্যরকম মাত্রা যুক্ত করে। এছাড়া এরকম অর্থকরী ফসল থেকে লাভজনক ব্যবসা মিলবে, বাড়বে রোজগার এমনই মত পরিবেশবিদদের। আর এই মুহূর্তে সুন্দরবনের নদী বাঁধগুলিতে জোর কদমে চলছে তাল ও কেওড়ার বীজ রোপনের কাজ। (ছবি ও তথ্য: সুমন সাহা)

অন্যদিকে কেওড়া একটি ম্যানগ্রোভ গাছ, যা সুন্দরবনের লবণাক্ত মাটিতে জন্মায় ও বৃদ্ধি পায়। কেওড়ার ফল থেকে টক, আচার তৈরি করা যায়। যা স্বাদে লোভনীয়। এর পাশাপাশি খেজুরের রসের যেমন চাহিদা রয়েছে জয়নগরের মোয়া তৈরিতে। (ছবি ও তথ্য: সুমন সাহা)