Snake: সর্বনাশ! পশ্চিমবঙ্গে এই প্রথম এ কোন সাপ পাওয়া গেল! মাথায় হাত সকলের! দেখা মিলল ২২৮ বছর পর

Last Updated:
Snake: স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাপটি মাটির গর্তে লুকিয়ে ছিল। বাড়ির আশেপাশের জঙ্গল সাফাই করছিল বাড়ির মালিক।
1/7
মুর্শিদাবাদ: ২২৮ বছর পর বিরল প্রজাতির সাপ উদ্ধার। "এক উড়ুক্কু সাপ বাড়িতে ঢুকেছে দয়া করে তাড়াতাড়ি আসুন।" এই ফোন পেয়ে ছুটে আসেন সর্প প্রেমী প্রলয় চট্টোপাধ্যায়। পেশায় স্কুল শিক্ষক। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের ফরাক্কার দু'নম্বর নিশিন্দ্রা কলোনীতে।
মুর্শিদাবাদ: ২২৮ বছর পর বিরল প্রজাতির সাপ উদ্ধার। "এক উড়ুক্কু সাপ বাড়িতে ঢুকেছে দয়া করে তাড়াতাড়ি আসুন।" এই ফোন পেয়ে ছুটে আসেন সর্প প্রেমী প্রলয় চট্টোপাধ্যায়। পেশায় স্কুল শিক্ষক। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের ফরাক্কার দু'নম্বর নিশিন্দ্রা কলোনীতে।
advertisement
2/7
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাপটি মাটির গর্তে লুকিয়ে ছিল। বাড়ির আশেপাশের জঙ্গল সাফাই করছিল বাড়ির মালিক। পাশেই কেটে রাখা একটি সজনে গাছ। সাপটিকে ওই গাছের আশপাশে প্রায়ই দেখা যেত। সম্প্রতি ওই গাছটি কাটার জন্য হয়তো সাপটি তার বাসস্থান হারিয়ে এদিক-ওদিক ঘুরে বেড়াচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাপটি মাটির গর্তে লুকিয়ে ছিল। বাড়ির আশেপাশের জঙ্গল সাফাই করছিল বাড়ির মালিক। পাশেই কেটে রাখা একটি সজনে গাছ। সাপটিকে ওই গাছের আশপাশে প্রায়ই দেখা যেত। সম্প্রতি ওই গাছটি কাটার জন্য হয়তো সাপটি তার বাসস্থান হারিয়ে এদিক-ওদিক ঘুরে বেড়াচ্ছে।
advertisement
3/7
প্রলয় চট্টোপাধ্যায় জানান, খুব সাবধানে মাটির গর্ত খুঁড়ে সাপটি উদ্ধার করা হয়। সাপটির পেটের তলার হলুদ সাদা ও গায়ের ওপরে বাদামি রঙের সুন্দর দাগ কাটা। প্রাথমিকভাবে এটি একটি নির্বিষ বেত আছড়া সাপ বলে মনে হচ্ছিল। পরে হাতে নিয়ে সাপটির বেশ কিছু ছবি তুলে বন ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন এক্সপার্টদের কাছে পাঠানো হয়। পরামর্শ চেয়ে জানতে চাওয়া হয়।
প্রলয় চট্টোপাধ্যায় জানান, খুব সাবধানে মাটির গর্ত খুঁড়ে সাপটি উদ্ধার করা হয়। সাপটির পেটের তলার হলুদ সাদা ও গায়ের ওপরে বাদামি রঙের সুন্দর দাগ কাটা। প্রাথমিকভাবে এটি একটি নির্বিষ বেত আছড়া সাপ বলে মনে হচ্ছিল। পরে হাতে নিয়ে সাপটির বেশ কিছু ছবি তুলে বন ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন এক্সপার্টদের কাছে পাঠানো হয়। পরামর্শ চেয়ে জানতে চাওয়া হয়।
advertisement
4/7
ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন এক্সপার্টরা যে তথ্য জানান, সেটা খুব চমকপ্রদক ছিল। ছবি গুলো থেকে সাপটির শরীরের আঁশ সহ আরও অন্যান্য বিষয় খুব গুরুত্ব সহকারে পরীক্ষা করে জানান, এই সাপটি একটি বিরল এবং সম্ভবত পশ্চিমবঙ্গে এই প্রথম উদ্ধার হয়েছে। সাপটির সাধারণ ইংরেজি নাম : কন্ডানেরাস স্যান্ড স্নেক, বাংলা নাম নেই। বিজ্ঞানসম্মত নাম Psammophis condanarus.
ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন এক্সপার্টরা যে তথ্য জানান, সেটা খুব চমকপ্রদক ছিল। ছবি গুলো থেকে সাপটির শরীরের আঁশ সহ আরও অন্যান্য বিষয় খুব গুরুত্ব সহকারে পরীক্ষা করে জানান, এই সাপটি একটি বিরল এবং সম্ভবত পশ্চিমবঙ্গে এই প্রথম উদ্ধার হয়েছে। সাপটির সাধারণ ইংরেজি নাম : কন্ডানেরাস স্যান্ড স্নেক, বাংলা নাম নেই। বিজ্ঞানসম্মত নাম Psammophis condanarus.
advertisement
5/7
সাপটি মৃদু বিষধর, প্রধানত গিরগিটি, টিকটিকি, ছোট ব্যাঙ খেয়ে বেঁচে থাকে। সাপটিকে যেখানে উদ্ধার করা হয়েছিল, সেই স্থানের কিছুটা দূরে ছেড়ে দেওয়া হয়। সাপটির পরবর্তী প্রজন্মের বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে সাপটিকে কোনও ভাবেই স্থানান্তরিত করা উচিত নয় বলে জানিয়েছেন সর্প প্রেমী প্রলয়।
সাপটি মৃদু বিষধর, প্রধানত গিরগিটি, টিকটিকি, ছোট ব্যাঙ খেয়ে বেঁচে থাকে। সাপটিকে যেখানে উদ্ধার করা হয়েছিল, সেই স্থানের কিছুটা দূরে ছেড়ে দেওয়া হয়। সাপটির পরবর্তী প্রজন্মের বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে সাপটিকে কোনও ভাবেই স্থানান্তরিত করা উচিত নয় বলে জানিয়েছেন সর্প প্রেমী প্রলয়।
advertisement
6/7
সর্প বিশেষজ্ঞ প্রজ্জ্বলরায় জানান অবিভক্ত বাংলার (বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি) গঞ্জামে ১৭৯৬ সালে সাপটি দেখা যাওয়ার ২২৮ বছর পর এর দেখা মেলে পশ্চিমবঙ্গের ফরাক্কায়। তবে পশ্চিমবঙ্গে এর আগেই সাপটি কখনও উদ্ধার হয়নি বলে জানা যায়।
সর্প বিশেষজ্ঞ প্রজ্জ্বলরায় জানান অবিভক্ত বাংলার (বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি) গঞ্জামে ১৭৯৬ সালে সাপটি দেখা যাওয়ার ২২৮ বছর পর এর দেখা মেলে পশ্চিমবঙ্গের ফরাক্কায়। তবে পশ্চিমবঙ্গে এর আগেই সাপটি কখনও উদ্ধার হয়নি বলে জানা যায়।
advertisement
7/7
সাপটি মৃদু বিষধর হলেও মানুষের জন্য কোনভাবেই ক্ষতিকারক নয়। ভারতবর্ষের হিমালয় পাদদেশ, মধ্য ভারতের মধ্যপ্রদেশ, দক্ষিণ ভারতের পূর্বঘাটের বিভিন্ন স্থানে সাপটির দেখা মিলছে। সম্প্রতি ২০২২ সালে বাংলাদেশেও সাপটির উপস্থিতি লক্ষ্য করা হয়।
সাপটি মৃদু বিষধর হলেও মানুষের জন্য কোনভাবেই ক্ষতিকারক নয়। ভারতবর্ষের হিমালয় পাদদেশ, মধ্য ভারতের মধ্যপ্রদেশ, দক্ষিণ ভারতের পূর্বঘাটের বিভিন্ন স্থানে সাপটির দেখা মিলছে। সম্প্রতি ২০২২ সালে বাংলাদেশেও সাপটির উপস্থিতি লক্ষ্য করা হয়।
advertisement
advertisement
advertisement