Boat Race: বেহুলা-লখিন্দরের ভেলা ভাসনোই আজও প্রেরণা, সুন্দরবনের নৌকা বাইচের আকর্ষণই আলাদা

Last Updated:
Sundarban- বছরের পর বছর ধরে বিদ্যাধরী নদীর এই নৌকা বাইচ জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছে। নদী মাতৃক সুন্দরবনের মানুষ জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে অংশ নেন এই আয়োজনে। নদীকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে তাঁদের জীবিকা ও জীবনযাপন, তাই নৌকা বাইচ তাঁদের কাছে শুধু প্রতিযোগিতা নয়, ঐতিহ্যের বহিঃপ্রকাশও বটে।
1/6
সাপের দংশনে স্বামী লখিন্দ্রকে নিয়ে কলাগাছের ভেলায় ভেসে ছিলেন বেহুলা—চাঁদ সদাগরের পুত্রবধূ। স্বামীর জীবন ফেরাতে তাঁর এই সংগ্রামী যাত্রার উল্লেখ রয়েছে মনসামঙ্গল কাব্যে। সেই ঘটনাকে স্মরণ করেই প্রতিবছর সুন্দরবনের বিভিন্ন নদীতে অনুষ্ঠিত হয় ঐতিহাসিক নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা। এদিন মিনাখাঁর মালঞ্চে বিদ্যাধরী নদীতে অনুষ্ঠিত হলো এমনই এক প্রাণবন্ত নৌকা বাইচ।
সাপের দংশনে স্বামী লখিন্দরকে নিয়ে কলাগাছের ভেলায় ভেসে ছিলেন বেহুলা—চাঁদ সদাগরের পুত্রবধূ। স্বামীর জীবন ফেরাতে তাঁর সংগ্রামী যাত্রার উল্লেখ রয়েছে মনসামঙ্গল কাব্যে। সেই ঘটনাকে স্মরণ করেই প্রতিবছর সুন্দরবনের বিভিন্ন নদীতে অনুষ্ঠিত হয় ঐতিহাসিক নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা। এদিন মিনাখাঁর মালঞ্চে বিদ্যাধরী নদীতে অনুষ্ঠিত হলো এমনই এক প্রাণবন্ত নৌকা বাইচ।
advertisement
2/6
উত্তর ২৪ পরগণা জেলার বসিরহাট মহাকুমার সন্দেশখালি, মিনাখা, হাড়োয়া সহ একাধিক এলাকায় চলে এই প্রতিযোগিতা। কয়েক সপ্তাহ ধরে উৎসবের আবহে নদীপাড়ের মানুষেরা মেতে ওঠেন নৌকা বাইচে। স্থানীয় লোককথা অনুযায়ী, বেহুলা-লখিন্দরের ভেলা ভাসানোর স্মৃতিকে ধারণ করেই এই প্রতিযোগিতার সূচনা হয়েছিল।
উত্তর ২৪ পরগণা জেলার বসিরহাট মহাকুমার সন্দেশখালি, মিনাখা, হাড়োয়া সহ একাধিক এলাকায় চলে এই প্রতিযোগিতা। কয়েক সপ্তাহ ধরে উৎসবের আবহে নদীপাড়ের মানুষেরা মেতে ওঠেন নৌকা বাইচে। স্থানীয় লোককথা অনুযায়ী, বেহুলা-লখিন্দরের ভেলা ভাসানোর স্মৃতিকে ধারণ করেই এই প্রতিযোগিতার সূচনা হয়েছিল।
advertisement
3/6
বছরের পর বছর ধরে বিদ্যাধরী নদীর এই নৌকা বাইচ জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছে। নদী মাতৃক সুন্দরবনের মানুষ জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে অংশ নেন এই আয়োজনে। নদীকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে তাঁদের জীবিকা ও জীবনযাপন, তাই নৌকা বাইচ তাঁদের কাছে শুধু প্রতিযোগিতা নয়, ঐতিহ্যের বহিঃপ্রকাশও বটে।
বছরের পর বছর ধরে বিদ্যাধরী নদীর এই নৌকা বাইচ জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছে। নদী মাতৃক সুন্দরবনের মানুষ জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে অংশ নেন এই আয়োজনে। নদীকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে তাঁদের জীবিকা ও জীবনযাপন, তাই নৌকা বাইচ তাঁদের কাছে শুধু প্রতিযোগিতা নয়, ঐতিহ্যের বহিঃপ্রকাশও বটে।
advertisement
4/6
প্রতিযোগিতা উপলক্ষে নদীর দুই পারে জমে ওঠে মেলা। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অসংখ্য দর্শনার্থী ভিড় জমান বিদ্যাধরীর তীরে। ঢাক-ঢোলের বাদ্য, মাঝিদের গলা ফাটানো স্লোগান আর নদীর বুক চিরে চলা নৌকার প্রতিযোগিতা—সব মিলিয়ে এক অনন্য পরিবেশ তৈরি হয় এই দিনে।
প্রতিযোগিতা উপলক্ষে নদীর দুই পারে জমে ওঠে মেলা। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অসংখ্য দর্শনার্থী ভিড় জমান বিদ্যাধরীর তীরে। ঢাক-ঢোলের বাদ্য, মাঝিদের গলা ফাটানো স্লোগান আর নদীর বুক চিরে চলা নৌকার প্রতিযোগিতা—সব মিলিয়ে এক অনন্য পরিবেশ তৈরি হয় এই দিনে।
advertisement
5/6
আয়োজক দেবাশীষ চ্যাটার্জীর কথায়, “সুন্দরবনের মাঝি, মোল্লা ও মৎস্যজীবীরাই মূলত এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। কারণ সারাবছরই নদী তাঁদের জীবিকার অন্যতম ভরসা। নৌকা বাইচ তাঁদের কাছে বিনোদনের পাশাপাশি এক ধরনের গর্বও।”
আয়োজক দেবাশীষ চ্যাটার্জীর কথায়, “সুন্দরবনের মাঝি ও মৎস্যজীবীরাই মূলত এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। কারণ সারাবছরই নদী তাঁদের জীবিকার অন্যতম ভরসা। নৌকা বাইচ তাঁদের কাছে বিনোদনের পাশাপাশি এক ধরনের গর্বও।”
advertisement
6/6
এভাবেই প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে এগিয়ে চলেছে বাংলার এক প্রাচীন ঐতিহ্য। মনসামঙ্গলের কাহিনি হোক বা নদীপাড়ের মানুষের সংগ্রামী জীবন—সবই একসূত্রে বাঁধা এই নৌকা বাইচে। নদীর স্রোতের মতোই চলতে থাকে আনন্দ-উল্লাস, আর তার মধ্য দিয়ে বেঁচে থাকে বাংলার লোকঐতিহ্যের এক অমূল্য ধারা।
এভাবেই প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে এগিয়ে চলেছে বাংলার এক প্রাচীন ঐতিহ্য। মনসামঙ্গলের কাহিনি হোক বা নদীপাড়ের মানুষের সংগ্রামী জীবন—সবই একসূত্রে বাঁধা এই নৌকা বাইচে। নদীর স্রোতের মতোই চলতে থাকে আনন্দ-উল্লাস, আর তার মধ্য দিয়ে বেঁচে থাকে বাংলার লোক-ঐতিহ্যের এক অমূল্য ধারা।
advertisement
advertisement
advertisement