অবহেলার শিকার ৩০০ বছরের ঐতিহ্য! পুজোর মুখে ঘটল চরম অঘটন, দর্শনার্থীদের জন্য 'এই' মন্দিরের দরজা তবে কী চিরদিনের মতো বন্ধ হল?

Last Updated:
Temple Collapses: বর্ধমান মহারাজা মহতাব চাঁদ এই মন্দির তৈরি করেছিলেন প্রায় ৩৫০ বছর আগে। সেই সময় থেকে রাজাদের কুলদেবতা লক্ষী নারায়ণ জিউ এই মন্দিরে পুজিত হন।
1/5
ভেঙে পড়ল প্রায় ৩৫০ বছরের পুরনো বর্ধমান মহারাজার লক্ষ্মীনারায়ণ জিউ নাট মন্দিরের একাংশ। দীর্ঘদিন ধরেই ভগ্নদশা হয়েছিল মন্দিরটির। অবিরাম বৃষ্টির জেরে ভেঙ্গে পড়েছে মন্দিরটি বলে অনুমান স্থানীয়দের। (চিত্র ও তথ্য সূত্র: সায়নী সরকার)
<strong>পূর্ব বর্ধমান, সায়নী সরকার:</strong> ভেঙে পড়ল প্রায় ৩৫০ বছরের পুরনো বর্ধমান মহারাজার লক্ষ্মী নারায়ণ জিউ নাট মন্দিরের একাংশ। দীর্ঘদিন ধরেই ভগ্নদশা হয়েছিল মন্দিরটির। অবিরাম বৃষ্টির জেরে এবার ভেঙে পড়ল মন্দিরটি একাংশ, অনুমান স্থানীয়দের।
advertisement
2/5
এই মন্দিরটি বর্ধমানের প্রাচীন ইতিহাসের সাক্ষী। এটি বর্ধমান মহারাজাদের কুলো দেবতা লক্ষীনারায়ণ জিউ ও কুলো দেবী চন্ডীকার মন্দির। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবেই ভেঙ্গে পড়েছে প্রায় ৩০০ থেকে ৩৫০ বছরের পুরনো এই মন্দির বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
এই মন্দিরটি বর্ধমানের প্রাচীন ইতিহাসের সাক্ষী। এটি বর্ধমান মহারাজাদের কুলো দেবতার লক্ষীনারায়ণ জিও ও কুলো দেবী চণ্ডীকার মন্দির। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবেই ভেঙে পড়েছে প্রায় ৩০০ থেকে ৩৫০ বছরের পুরনো এই মন্দির বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। (চিত্র ও তথ্য সূত্র: সায়নী সরকার)
advertisement
3/5
স্থানীয় বাসিন্দা নেপাল সরকার বলেন,লক্ষী নারায়ন জিউ মন্দির ভগ্ন অবস্থায় ছিল ইদানিং বৃষ্টি,সংরক্ষনের অভাবে এটা ভোরের দিকে ভেঙে পরেছে।মন্দিরের একটা অংশ ভেঙে পড়েছে শুনতে পেয়ে দেখতে এলাম। কারণ এটি বর্ধমানের ঐতিহ্য।এটা যদি সংস্কার করান যেত তাহলে ভালো হতো,অনেক আগে চিন্তা ভাবনা করা দরকার ছিল।যেহেতু মহারাজা ট্রাস্ট ওনারা কি করবে সেটা ওনাদের ব্যাপার, সাধারণ লোকে তো আর করতে পারে না।আমরা চাইছি যদি এটা আরও ভালো করে সংস্কার করা যায়,পশ্চিমবঙ্গ সরকার যদি এটা হস্তক্ষেপ করে তাহলে আরও ভালো হবে। এই ধরনের প্রাচীন একটি মন্দির যেটি বর্ধমানের ইতিহাসের সঙ্গে যুক্ত সেগুলি ধংস হয়ে গেলে ফিরে পাব না।আমরা চাইছি নতুন করে আরও সুন্দর করে সংস্কার করা হোক। যাতে আমাদের পরের প্রজন্মও জানতে পারে বর্ধমানের ইতিহাস।
স্থানীয় বাসিন্দা নেপাল সরকার বলেন, "লক্ষী নারায়ন জিউ মন্দির ভগ্ন অবস্থায় ছিল। ইদানিং বৃষ্টি, সংরক্ষণের অভাবে এটা ভোরের দিকে ভেঙে পড়েছে। মন্দিরের একটা অংশ ভেঙে পড়েছে শুনতে পেয়ে দেখতে এলাম। এটি বর্ধমানের ঐতিহ্য। এটা যদি সংস্কার করা যেত তাহলে ভাল হত। পশ্চিমবঙ্গ সরকার যদি এটা হস্তক্ষেপ করে তাহলে আরও ভাল হবে। এই ধরনের প্রাচীন একটি মন্দির যেটি বর্ধমানের ইতিহাসের সঙ্গে যুক্ত সেগুলি ধংস হয়ে গেলে ফিরে পাব না। আমরা চাইছি নতুন করে আরও সুন্দর করে সংস্কার করা হোক। যাতে আমাদের পরের প্রজন্মও জানতে পারে বর্ধমানের ইতিহাস"। (চিত্র ও তথ্য সূত্র: সায়নী সরকার)
advertisement
4/5
জয়দেব মুখার্জি (এলাকাবাসী) বলেন, রক্ষণাবেক্ষণের অনেক অভাব ছিল পাশাপাশি এত জল বৃষ্টি হয়েছে সেই জল ফাটলে ঢুকে এটা ভেঙে পড়েছে। বর্ধমানের মানুষের কাছে এটা একটা প্রাচীন ইতিহাসের সাক্ষী। এইটা ভেঙ্গে পড়ার সকলেরই মন খারাপ। রাজ পরিবারের কাছে খবর জানানো হয়েছে। এটা যদিও তাদের নিজস্ব পারিবারিক ব্যাপার কিন্তু বর্ধমানবাসীর কাছে এটা একটা ঐতিহ্যপূর্ণ স্থান। এই মন্দিরটা যদি রক্ষণাবেক্ষণ হয় তাহলে খুবই ভালো হয়। এখানে এক সময় পুজোর সময় ডান্ডিয়া নাচ হত, সামনেই নবরাত্রি আসছে, তারপর কুলো দেবী চণ্ডীকারও পুজো আছে, পটেশ্বরী মায়ের পুজো হয় এখানে কিন্তু দুঃখের বিষয় এ বছর কোন দর্শনার্থী ঢুকতে পারবে না। বিপদজনক পরিস্থিতি হয়ে আছে যখন তখন বাকিটা ভেঙ্গে পড়তে পারে। এই ঐতিহ্যটাকে আমরা হারাতে চাই না যদি কিছু করা যায় তাহলে খুবই ভালো হতো।
জয়দেব মুখার্জি (এলাকাবাসী) বলেন, রক্ষণাবেক্ষণের অনেক অভাব ছিল পাশাপাশি এত জল বৃষ্টি হয়েছে সেই জল ফাটলে ঢুকে এটা ভেঙে পড়েছে। বর্ধমানের মানুষের কাছে এটা একটা প্রাচীন ইতিহাসের সাক্ষী। মন্দির ভাঙায় সকলেরই মন খারাপ। রাজ পরিবারের কাছে খবর জানানো হয়েছে। এটা যদিও তাদের নিজস্ব পারিবারিক ব্যাপার কিন্তু বর্ধমানবাসীর কাছে এটা একটা ঐতিহ্যপূর্ণ স্থান। এই মন্দিরটা যদি রক্ষণাবেক্ষণ হয় তাহলে খুবই ভাল হয়। এখানে এক সময় পুজোর সময় ডান্ডিয়া নাচ হত, সামনেই নবরাত্রি আসছে, তারপর কুলো দেবী চণ্ডীকারও পুজো আছে, পটেশ্বরী মায়ের পুজো হয় এখানে কিন্তু দুঃখের বিষয় এ বছর কোন দর্শনার্থী ঢুকতে পারবে না। বিপদজনক পরিস্থিতি হয়ে আছে। যখন তখন বাকিটা ভেঙে পড়তে পারে। এই ঐতিহ্যটাকে আমরা হারাতে চাই না। (চিত্র ও তথ্য সূত্র: সায়নী সরকার)
advertisement
5/5
ইতিহাসবিদ সর্বজিৎ যশ জানান, খুবই দুঃখজনক ঘটনা। এটি বর্ধমান রাজবাড়ী সবচেয়ে পুরনো অংশ। বর্ধমান রাজারা যখন প্রথম বৈকণ্ঠপুর থেকে বর্ধমান শহরে থাকা শুরু করে ৩০০ বছরেরও বেশি আগে তখন এই বাড়িটি প্রথম তৈরি করেছিলেন। এই মন্দিরেই তাদের নিজস্ব কুলোদেবী চন্ডিকা রয়েছে যা তারা পাঞ্জাব থেকে আসার সময় নিয়ে এসেছিলে। এছাড়াও লক্ষীনারায়ণ জিউ পুজো, রথ, পটেশ্বরী দেবী রয়েছে এখানে। কিন্তু দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ার ফলে জিনিসটি নষ্ট হয়ে গেল। না সরকারি প্রচেষ্টায় সংরক্ষণ হয়েছে ,না রাজবাড়ীর প্রচেষ্টায় সংরক্ষণ হয়েছে। উপযুক্ত সংস্কার করলে খুবই ভালো হয়। ( চিত্র ও তথ্য সূত্র: সায়নী সরকার)
ইতিহাসবিদ সর্বজিৎ যশ জানান, খুবই দুঃখজনক ঘটনা। এটি বর্ধমান রাজবাড়ী সবচেয়ে পুরনো অংশ। বর্ধমান রাজারা যখন প্রথম বৈকণ্ঠপুর থেকে বর্ধমান শহরে থাকা শুরু করেন ৩০০ বছরেরও বেশি আগে তখন এই বাড়িটি প্রথম তৈরি করেছিলেন। এই মন্দিরেই তাদের নিজস্ব কুলোদেবী চন্ডিকা রয়েছে যা তারা পাঞ্জাব থেকে আসার সময় নিয়ে এসেছিলেন। এছাড়াও লক্ষীনারায়ণ জিউ পুজো, রথ, পটেশ্বরী দেবী রয়েছে এখানে। কিন্তু দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ার ফলে জিনিসটি নষ্ট হয়ে গেল। না সরকারি প্রচেষ্টায় সংরক্ষণ হয়েছে ,না রাজবাড়ীর প্রচেষ্টায় সংরক্ষণ হয়েছে। উপযুক্ত সংস্কার করলে খুবই ভাল হয়। ( চিত্র ও তথ্য সূত্র: সায়নী সরকার)
advertisement
advertisement
advertisement