Organic Spices: বেশি রং মানেই খাঁটি এমনটা নয়! অর্গানিক মশলার রয়েছে বেশকিছু বিশেষত্ব, ২৫ বছর ধরে তৈরি হচ্ছে বাঁকুড়ায়

ভাল খাবারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ভাল মশলা এবং যারা মশলা প্রস্তুতকারক তারা মনে করছেন যে মশলার রং কম হবে সেই মশলা সবচেয়ে ভাল। বাঁকুড়াতে রয়েছে এমনই মশলা প্রস্তুতকারি সংস্থা। যারা দীর্ঘ ২৫ বছরের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে তৈরি করছে অর্গানিক মশলা। (ছবি ও তথ্য: নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়)

খাঁটি মশলায় ঠিক কতটা রং থাকে? জানেন কী রাঢ় বাংলার এই মশলা কীভাবে তৈরি হয়? ৩৫ বছরের অভিজ্ঞতা নিয়ে, চলছে গুঁড়ো মশলা তৈরির এক বিশাল কারখানা। এই মশলা বাঁকুড়া এবং পুরুলিয়ায় অত্যন্ত জনপ্রিয়। বাঁকুড়া, পুরুলিয়ার আর্থসামাজিক পরিস্থিতির কথা ভেবে ৫০,১০০ গ্রামের, ছোট পাউচে পাঁচ টাকায় বিক্রি হয় এই মশলা।

কীভাবে মশলা প্রস্তুত করা হচ্ছে তার ওপর নির্ভর করে মশলার কতটা খাঁটি বা ভেজাল। মার্কেটে বিভিন্ন মশলা রয়েছে এবং কোনটা কীভাবে বিশ্বাস করবেন সেটা বলা মুশকিল। বাঁকুড়ার অর্গানিক মশলা প্রস্তুতকারক চিরাগ ডালমিয়া জানান, "আমাদের গুঁড়ো মশলা সম্পূর্ণ অর্গানিক। সেই কারণে যে রংটা আসছে সেটাই স্বাভাবিক। এর থেকে বেশি রং হলে মশলায় সমস্যা থাকতে পারে।" অর্থাৎ বেশি রং বানিয়েছে ভাল মশলা এমনটা নয়। বিভিন্ন মশলার ব্যবহার করা হয় ফুড কালার।

লঙ্কা গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো এবং আরও বহু মশলা তৈরি হলেও দেখুন কীভাবে তৈরি হচ্ছে অর্গানিক হলুদের মশলা। বাঁকুড়ার ঝাঁটিপাহাড়িতে অবস্থিত গুঁড়ো মশলার এই কারখানার কর্ণধার চিরাগ ডালমিয়া ঘুরে দেখলেন পুরো ফেসিলিটিটি।

জৈব মশলা তৈরি করার একটা পদ্ধতি রয়েছে, এই পদ্ধতিগুলিতে যতগুলি ধাপ রয়েছে ,কোনও ধাপেই ব্যবহার করা হয় না কেমিক্যাল। প্রথমে কাঁচা হলুদ তুলে রোদে শুকিয়ে, ডিসইন্টিগ্রেটরে গুঁড়ো করা হয়। তারপর মেশিন পিষে চেলে নেওয়া হয়। এরপর শুরু হয় প্যাকেজিং।

মশলা হল বাঙালি খাবারের একটি মূল উপাদান। সেই মশলাই যদি ভেজাল হয় তাহলে হতে পারে শরীরের ক্ষতি। সেই কারণেই রাঢ় বাংলায় জল রয়েছে খাঁটি জৈব মশলার। এই মশলার জনপ্রিয় বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে। দামও খুবই কম। (ছবি ও তথ্য: নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়)