World Post Day 2025: ই-মেল, মেসেজের যুগেও দীর্ঘজীবী হোক ডাক পরিষেবা! জাতীয় ডাক দিবসে খুদে পড়ুয়াদের স্পর্শে ঝিমিয়ে পড়া ডাকবাক্সে নতুন প্রাণের সঞ্চার

আজ ৯ অক্টোবর, জাতীয় ডাক দিবস। দেশের ডাক বিভাগের ইতিহাসে এই দিনটির বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। একসময় চিঠিই ছিল যোগাযোগের একমাত্র নির্ভরযোগ্য মাধ্যম - যার মাধ্যমে মনের কথা পৌঁছে যেত দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে।(ছবি ও তথ্য: মৈনাক দেবনাথ)

লাল ডাকবাক্সে চিঠি ফেলা, পোস্টমাস্টারের হাতে চিঠি পৌঁছে দেওয়া - এই সবই একসময় মানুষের জীবনের অঙ্গ ছিল। কিন্তু প্রযুক্তির উন্নতিতে আজ সেই চিঠির জায়গা দখল করেছে ইমেল ও মেসেজিং অ্যাপ। ফলে ডাক বিভাগের ঐতিহ্য আজ অনেকটাই হারিয়ে যাচ্ছে।

এই ঐতিহ্যকে নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে আজ শান্তিপুরের একাধিক বিদ্যালয় অভিনব উদ্যোগ নেয়। জাতীয় ডাক দিবস উপলক্ষে শান্তিপুর পোস্ট অফিসে চিঠি লেখার ও ডাক বিভাগের কাজ শেখার বিশেষ আয়োজন করা হয়। তাই সকাল থেকেই ভিড় জমে পোস্ট অফিসে।

শান্তিপুর কিডজি, শান্তিপুর পাবলিক স্কুল এবং শান্তিপুর সেন্ট্রাল মডেল স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা তাঁদের জুনিয়র শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে হাজির হন পোস্ট অফিসে।

শিক্ষার্থীদের শেখানো হয় - কীভাবে চিঠি লেখা হয়, খামে ঠিকানা লেখার নিয়ম কী, কীভাবে ডাকটিকিট লাগাতে হয় এবং পোস্টবক্সে ফেলার পদ্ধতি কেমন। পোস্ট অফিসের কর্মীরা ধৈর্যের সঙ্গে প্রতিটি ধাপ দেখিয়ে দেন, আর খুদে পড়ুয়ারা উচ্ছ্বাসের সঙ্গে অংশ নেয় সেই প্রক্রিয়ায়। অনেকেই প্রথমবারের মতো চিঠি লিখে ফেলেছে পোস্টবক্সে।

শিক্ষিকারা জানান, 'ডিজিটাল যুগে বাচ্চাদের মধ্যে ঐতিহ্যের বোধ জাগিয়ে তুলতে এই উদ্যোগ অত্যন্ত প্রয়োজনীয়'। পোস্ট অফিসের কর্মীরাও জানান, 'আজকের এই উদ্যোগে খুদেদের মুখে যে হাসি দেখেছি, তাতে মনে হচ্ছে ডাক বিভাগের প্রতি আগ্রহ আবার ফিরবে'।

চিঠির যুগ হয়ত হারিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু শান্তিপুরে আজকের দিনটি দেখিয়ে দিল - ঐতিহ্যকে নতুন প্রজন্মের হাতে তুলে দিতে পারলেই তার জীবনস্রোত কখনও থেমে যায় না। (ছবি ও তথ্য: মৈনাক দেবনাথ)