Oldest Rajbari Turned into Hotel In Digha: দিঘাতেও রয়েছে প্রাচীন রাজবাড়ি! বেড়াতে এসে থাকুন রাজার হালে, রইল ফটো

Last Updated:
Oldest Rajbari Turned into Hotel In Digha: দিঘায় তো বহুবার এসেছেন, কিন্তু দিঘার প্রাচীন রাজবাড়ি দেখেছেন কি?
1/8
দিঘা, মদন মাইতি: দিঘায় তো বহুবার এসেছেন। কিন্তু দিঘার প্রাচীন রাজবাড়ি দেখেছেন কি? এই রাজবাড়ীতে লুকিয়ে আছে রহস্যময় ইতিহাস। জানেন এই রাজবাড়ীর বর্তমান পরিস্থিতি কি? আঞ্চলিক ইতিহাস গবেষক ইমন কল্যাণ জানার মতে, দিঘার নাড়াজোল রাজপরিবারের আদিবাড়ি ছিল অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার দাসপুর থানার অন্তর্গত লঙ্কাগড়ে। রাজপরিবারের আদিপুরুষ ছিলেন উদয় নারায়ণ ঘোষ।
দিঘা, মদন মাইতি: দিঘায় তো বহুবার এসেছেন। কিন্তু দিঘার প্রাচীন রাজবাড়ি দেখেছেন কি? এই রাজবাড়ীতে লুকিয়ে আছে রহস্যময় ইতিহাস। জানেন এই রাজবাড়ীর বর্তমান পরিস্থিতি কি? আঞ্চলিক ইতিহাস গবেষক ইমন কল্যাণ জানার মতে, দিঘার নাড়াজোল রাজপরিবারের আদিবাড়ি ছিল অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার দাসপুর থানার অন্তর্গত লঙ্কাগড়ে। রাজপরিবারের আদিপুরুষ ছিলেন উদয় নারায়ণ ঘোষ।
advertisement
2/8
দিঘায় নির্মিত নাড়াজোল রাজার এই রাজবাড়ির নাম রাখা হয় ‘অঞ্জলি নিবাস’। কুমার অমরেন্দ্রলাল খানের স্ত্রী অঞ্জলি খানের নামেই এই নামকরণ। তৎকালীন সময়ে স্থানীয় মানুষ এই রাজবাড়িকে চিনত ‘বেগুনা ডিহা কুঠি’ নামে। বীরকুল পরগনার অন্তর্গত বেগুনা ডিহা নামে একটি গ্রাম বা মৌজা ছিল, যা বহু আগেই সমুদ্রগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
দিঘায় নির্মিত নাড়াজোল রাজার এই রাজবাড়ির নাম রাখা হয় ‘অঞ্জলি নিবাস’। কুমার অমরেন্দ্রলাল খানের স্ত্রী অঞ্জলি খানের নামেই এই নামকরণ। তৎকালীন সময়ে স্থানীয় মানুষ এই রাজবাড়িকে চিনত ‘বেগুনা ডিহা কুঠি’ নামে। বীরকুল পরগনার অন্তর্গত বেগুনা ডিহা নামে একটি গ্রাম বা মৌজা ছিল, যা বহু আগেই সমুদ্রগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
advertisement
3/8
স্থানীয় ভাষায় নিশিন্দা গাছকে বলা হত বেগুনা গাছ। রাজবাড়ির চারদিকে এই গাছের বেড়া দেওয়া থাকত। অনেকেই সেই বেড়া ডিঙিয়ে ভিতরে ঢুকত। আঞ্চলিক ভাষায় ডিঙিয়ে যাওয়া বা লাফ দেওয়াকে বলা হত ‘ডিহা’। সেই থেকেই নাম হয় বেগুনা ডিহা কুঠি। রাজবাড়িটির অবস্থান খাদালগোবরা মৌজার দক্ষিণ-পূর্ব কোণে, সেচ ও জলপথ দপ্তরের ডাকবাংলোর পশ্চিমে।
স্থানীয় ভাষায় নিশিন্দা গাছকে বলা হত বেগুনা গাছ। রাজবাড়ির চারদিকে এই গাছের বেড়া দেওয়া থাকত। অনেকেই সেই বেড়া ডিঙিয়ে ভিতরে ঢুকত। আঞ্চলিক ভাষায় ডিঙিয়ে যাওয়া বা লাফ দেওয়াকে বলা হত ‘ডিহা’। সেই থেকেই নাম হয় বেগুনা ডিহা কুঠি। রাজবাড়িটির অবস্থান খাদালগোবরা মৌজার দক্ষিণ-পূর্ব কোণে, সেচ ও জলপথ দপ্তরের ডাকবাংলোর পশ্চিমে।
advertisement
4/8
খাদালগোবরা মৌজার দক্ষিণে ছিল পশ্চিমগদাধরপুর মৌজা, যার বড় অংশ আজ সমুদ্রগর্ভে। রাজবাড়ি, সুইমিং পুল, কাঠ ও ফলের গাছ, বাগান মিলিয়ে মোট জমির পরিমাণ ছিল প্রায় ৯ একর। মনোরম পরিবেশের জন্য তৎকালীন স্নেথ সাহেবের অনুরোধে এই বাড়ি নির্মাণ করা হয়। ১৯৪০-এর দশকে রাজা দেবেন্দ্রলাল খান ও তাঁর পুত্র অমরেন্দ্রলাল খান এই নিবাস গড়ে তোলেন।
খাদালগোবরা মৌজার দক্ষিণে ছিল পশ্চিমগদাধরপুর মৌজা, যার বড় অংশ আজ সমুদ্রগর্ভে। রাজবাড়ি, সুইমিং পুল, কাঠ ও ফলের গাছ, বাগান মিলিয়ে মোট জমির পরিমাণ ছিল প্রায় ৯ একর। মনোরম পরিবেশের জন্য তৎকালীন স্নেথ সাহেবের অনুরোধে এই বাড়ি নির্মাণ করা হয়। ১৯৪০-এর দশকে রাজা দেবেন্দ্রলাল খান ও তাঁর পুত্র অমরেন্দ্রলাল খান এই নিবাস গড়ে তোলেন।
advertisement
5/8
মূল বাড়িটি ছিল অত্যন্ত সুন্দর। দক্ষিণমুখী খোলা বারান্দা ছিল পূর্ব থেকে পশ্চিমে বিস্তৃত। সামনে ছিল বড় ঘাসের লন। প্রবেশপথ ছিল দক্ষিণ-পূর্ব দিকে। সামান্য ঢালু রাস্তা দিয়ে গাড়ি এসে পৌঁছত পূর্ব দিকের দরজায়। সামনে দাঁড়িয়ে থাকত দু’টি বিলাতি ঝাউ বা পাইন গাছ। দক্ষিণে ছিল ফোরশোর রোড, পশ্চিমে শিবালয় রোড। পশ্চিমের বাগানে ছিল বড় বড় গাছ। দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে ছিল হলুদ বাঁশঝাড়।
মূল বাড়িটি ছিল অত্যন্ত সুন্দর। দক্ষিণমুখী খোলা বারান্দা ছিল পূর্ব থেকে পশ্চিমে বিস্তৃত। সামনে ছিল বড় ঘাসের লন। প্রবেশপথ ছিল দক্ষিণ-পূর্ব দিকে। সামান্য ঢালু রাস্তা দিয়ে গাড়ি এসে পৌঁছত পূর্ব দিকের দরজায়। সামনে দাঁড়িয়ে থাকত দু’টি বিলাতি ঝাউ বা পাইন গাছ। দক্ষিণে ছিল ফোরশোর রোড, পশ্চিমে শিবালয় রোড। পশ্চিমের বাগানে ছিল বড় বড় গাছ। দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে ছিল হলুদ বাঁশঝাড়।
advertisement
6/8
গ্রীষ্মকালে সন্ধ্যাবেলা রাজা লনে বসে সময় কাটাতেন। উত্তর দিকে ছিল আরও একটি লন এবং তার পাশে সুইমিং পুল। রাজবাড়িতে নিজস্ব জেনারেটর ছিল। ডায়নামো চালিয়ে আলো জ্বলত, পাখা চলত। বিলামুড়িয়া গ্রামের জটি জানা ওরফে শংকর জানা জেনারেটর চালাতেন। সেই শব্দ শুনেই আশপাশের গ্রাম বুঝে যেত রাজা এসেছেন।
গ্রীষ্মকালে সন্ধ্যাবেলা রাজা লনে বসে সময় কাটাতেন। উত্তর দিকে ছিল আরও একটি লন এবং তার পাশে সুইমিং পুল। রাজবাড়িতে নিজস্ব জেনারেটর ছিল। ডায়নামো চালিয়ে আলো জ্বলত, পাখা চলত। বিলামুড়িয়া গ্রামের জটি জানা ওরফে শংকর জানা জেনারেটর চালাতেন। সেই শব্দ শুনেই আশপাশের গ্রাম বুঝে যেত রাজা এসেছেন।
advertisement
7/8
শিবালয় রোডের পশ্চিমে ও অঘোরকামিনী স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পূর্বদিকে ছিল রাজার একটি পুকুর। সেখান থেকে পাম্প চালিয়ে সুইমিং পুলে জল তোলা হত। পুকুরের দক্ষিণে ছিল বিরাট খোলা মাঠ। ১৯৬১ সালে সেখানে প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু দিঘা কংগ্রেসের উদ্বোধনী সভা করেন। সঙ্গে ছিলেন ইন্দিরা গান্ধি। সেই জায়গার নাম হয় নেহেরু ময়দান।
শিবালয় রোডের পশ্চিমে ও অঘোরকামিনী স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পূর্বদিকে ছিল রাজার একটি পুকুর। সেখান থেকে পাম্প চালিয়ে সুইমিং পুলে জল তোলা হত। পুকুরের দক্ষিণে ছিল বিরাট খোলা মাঠ। ১৯৬১ সালে সেখানে প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু দিঘা কংগ্রেসের উদ্বোধনী সভা করেন। সঙ্গে ছিলেন ইন্দিরা গান্ধি। সেই জায়গার নাম হয় নেহেরু ময়দান।
advertisement
8/8
বর্তমানে সেখানে নেহেরু মার্কেট। রাজবাড়ির দক্ষিণ-পূর্ব কোণের ঘরে থাকতেন নেপালি দারোয়ান দাই বুড়া। তিনি শিশুদের সঙ্গে মিশলেও দায়িত্বে ছিলেন কড়া। রাজা দিঘায় থাকলে যাত্রার আসর বসত। গ্রামের মানুষ ভিড় করত। আজ সেই রাজবাড়ি আর নেই। ইতিহাস হারিয়ে গেছে হোটেল আর লজের ভিড়ে। বর্তমানের অঞ্জলি নিবাস দিঘার সেই প্রাচীন রাজবাড়ি।
বর্তমানে সেখানে নেহেরু মার্কেট। রাজবাড়ির দক্ষিণ-পূর্ব কোণের ঘরে থাকতেন নেপালি দারোয়ান দাই বুড়া। তিনি শিশুদের সঙ্গে মিশলেও দায়িত্বে ছিলেন কড়া। রাজা দিঘায় থাকলে যাত্রার আসর বসত। গ্রামের মানুষ ভিড় করত। আজ সেই রাজবাড়ি আর নেই। ইতিহাস হারিয়ে গেছে হোটেল আর লজের ভিড়ে। বর্তমানের অঞ্জলি নিবাস দিঘার সেই প্রাচীন রাজবাড়ি।
advertisement
advertisement
advertisement