গভীর রাতের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড কাড়ল গৃহবধূর প্রাণ! আগুনে সর্বশান্ত পাঁচ পরিবারের মুখে খাবার তুলে দিল লালগোলা পুলিশ

<strong>লালগোলা, তন্ময় মন্ডল:</strong> মঙ্গলবার গভীর রাতে এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পাঁচ পরিবার তাদের সর্বস্ব হারানোর পর আজকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল লালগোলা পুলিশ প্রশাসন। এই ঘটনায় এক গৃহবধূর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে এবং এক যুবতী গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন।

গত দু'দিন আগে গভীর রাতে লালগোলা থানার জশইতলা আমরা অঞ্চলের বাউসী ঝিনাইপাড়া গ্রামে এক অগ্নিকাণ্ডে পাঁচটি বাড়ি ভস্মীভূত হয়ে যায়। লেলিহান আগুনে মুহূর্তের মধ্যেই ঘরবাড়ি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। (ছবি ও তথ্যঃ তন্ময় মন্ডল)

এই দুর্ঘটনায় এক গৃহবধূ প্রাণ হারান। এক কলেজ ছাত্রী যুবতী গুরুতরভাবে দগ্ধ হন। বর্তমানে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জীবনের জন্য লড়াই করছেন তিনি। এই ঘটনায় গোটা এলাকা শোকাহত হয়ে পড়েছে। (ছবি ও তথ্যঃ তন্ময় মন্ডল)

এই সঙ্কটময় পরস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির পাশে এসে দাঁড়ালো লালগোলা পুলিশ। লালগোলা থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক এসআই অতনু দাসের নেতৃত্বে এক মানবিক উদ্যোগ নেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার ক্ষতিগ্রস্ত ওই পাঁচটি পরিবারের হাতে প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী যেমন - চাল, ডাল, আলু, রান্নার তেল, সয়াবিন, কলা, বিস্কুট, মুড়ি, চানাচুর তুলে দেওয়া হয়। (ছবি ও তথ্যঃ তন্ময় মন্ডল)

অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের একজন সায়েরা বিবি বলেন, "বাড়ির জানালা দিয়ে যখন আমার নিজের বাড়িতে আগুন দেখলাম, তখন ভেবেছিলাম সব শেষ। বাইরে বেরিয়ে দেখি, স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে পুলিশ বালতি দিয়ে জল নিয়ে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তা দেখে ভেবেছিলাম, আমরা রক্ষা পাব।" (ছবি ও তথ্যঃ তন্ময় মন্ডল)

তিনি আরও বলেন, "কিন্তু আগুন এত জোরালো ছিল যে শেষরক্ষা হয়নি। শুধু প্রাণে বেঁচেছি আমরা। তবে প্রথম থেকেই পুলিশ প্রশাসন আমাদের দিকে যথেষ্ট সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।" (ছবি ও তথ্যঃ তন্ময় মন্ডল)

লালগোলা পুলিশের এই মানবিক পদক্ষেপ এলাকায় প্রশংসা কুড়িয়েছে এবং বিপদে পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে সাধারণ মানুষের সম্পর্কের একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। (ছবি ও তথ্যঃ তন্ময় মন্ডল)