ছাত্রীর সংখ্যাই বেশি এবারের মাধ্যমিকে! কেন 'লক্ষাধিক' ছাত্র কম? কোথায় গেল ছেলেরা? চমকপ্রদ তথ্য জানুন!

শুরু হল পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড (WBBSE) পরিচালিত ২০২৫ মাধ্যমিক পরীক্ষা। এবছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে, কিন্তু চিন্তার বিষয় হল ছাত্রদের সংখ্যা কমেছে লক্ষাধিক।

এবছর মাধ্যমিকে মোট ৯,৯৮,৪৭৫ জনপরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে, যার মধ্যে ৪,২৮,৮০৩ জন ছাত্র এবং ৫,৫৫,৫৯০ জন ছাত্রী। ছাত্রীদের তুলনায় ছাত্রের সংখ্যা ১,২৭,০০০ কম। উল্লেখযোগ্যভাবে, গত বছরের তুলনায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৬৫ হাজার বেশি হলেও, ছাত্রসংখ্যার এই হ্রাস শিক্ষাজগতে উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে।

পরীক্ষার নিয়ম ও কড়াকড়ি--- গত বছরের মতোই এবছরও পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল বা অন্য কোনও ইলেকট্রনিক গ্যাজেট নিয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ। কেউ ধরা পড়লে পরীক্ষা বাতিল হবে। গত বছর এই নিয়ম ভঙ্গের কারণে১৪৫ জন পরীক্ষার্থী-র পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছিল।

তরুণ প্রজন্ম হারিয়ে যাচ্ছে কোথায়? ছাত্রসংখ্যা কমার বিষয়টি নিয়ে বিশেষজ্ঞরা প্রশ্ন তুলছেন— তরুণদের ভবিষ্যৎ কি অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে? কেন মাধ্যমিক পরীক্ষায় ছাত্ররা ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছে?

ছাত্রসংখ্যা হ্রাসের সম্ভাব্য কারণ: 1. অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা – বহু পরিবার আর্থিক সংকটে থাকায় ছেলেরা স্কুল ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে। 2. পরিযায়ী শ্রমিক হওয়ার প্রবণতা – বিশেষ করে গ্রামীণ ও নিম্নবিত্ত পরিবারের কিশোররা রাজ্য বা দেশের বাইরে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে যাচ্ছে। 3.কর্মসংস্থানের অনিশ্চয়তা– শিক্ষাবিদদের মতে, পড়াশোনার শেষে চাকরির নিশ্চয়তা না থাকায় অনেকেই শিক্ষার প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছে।

সমাধানে কী করা উচিত? শিক্ষাবিদদের মতে, ছাত্রসংখ্যা কমার এই প্রবণতা রোধে সরকারকে উদ্যোগী হতে হবে। বৃত্তি ও আর্থিক সহায়তা বাড়ানো, কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা, এবং স্কুলছুট রোধে কার্যকরী নীতি গ্রহণ করা জরুরি।

ছাত্রদের শিক্ষা থেকে দূরে সরিয়ে দিলে শুধু তাদের ভবিষ্যৎই নয়, রাজ্যের সামগ্রিক উন্নতিও বাধাগ্রস্ত হবে— এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।