মা দুর্গার ডাকের সাজের জবাব নেই, সেই শোলার সাজের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে কোন লোককথা!
- Published by:Debalina Datta
Last Updated:
ভারী কিছু তিনি মাথায় পরবেন না এই আব্দার ছিল বাবা ভোলানাথের, আর তারপর যা যা হল...
হিমালয় কন্যা পার্বতী সঙ্গে দেবাদিদেব মহাদেবের বিয়ে চূড়ান্ত। বিয়েতে সাদা মুকুট পরার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন মহাদেব। দেবশিল্পী বিশ্বকর্মার ওপর সেই মুকুট তৈরির ভার পড়ল। মহাদেবের ইচ্ছায় তৈরি হলো এক ধরনের নরম উদ্ভিদ। পৃথিবীতে সৃষ্টি হলো শোলা গাছের। কিন্তু বিপত্তি দেখা দিল অন্য জায়গায়।শোলার মত নরম হালকা সামগ্রী দিয়ে কাজ করতে অভ্যস্ত নন স্বয়ং বিশ্বকর্মা। সেই সমস্যার কথা তিনি জানালেন দেবাদিদেবকে।Photo- Collected
advertisement
advertisement
শোলা শিল্পের কথা উঠলেই সবার আগে আসে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া মহকুমার বনকাপাসি গ্রামের কথা। শোলার অনন্য সুন্দর কাজের জন্য রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পেয়েছেন এই গ্রামের অনেকেই। আগে ডাকযোগে শোলা আসতো বিদেশ থেকে। তাই তাকে ডাকের সাজও বলা হয়। এই বনকাপাসি গ্রামে বেশিরভাগ বাসিন্দাই ছিলেন মালাকার সম্প্রদায়ের। ঘরে ঘরে চলত শোলার সাজের কাজ। এখনও অনেকেই শোলার কাজ করেন। তবে এবার লকডাউনের কারণে সেই কাজ খুবই কম হয়েছে।Photo- Collected
advertisement
advertisement
বনকাপাসির শোলা শিল্পের কদর দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিদেশেও। প্রতিবছরই এখান থেকে আমেরিকায় শোলার মা দুর্গা পাড়ি জমান। তবে এবার লকডাউন ও ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় তেমন বরাত মেলেনি। শোলার সাজের দাম অনেক বেশি। সে জন্য দিন দিন শোলার কাজের চাহিদা কমছে। নতুন প্রজন্ম এখন আর এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত থাকতে চাইছেন না। অন্য পেশায় যাচ্ছেন তাঁরা। দিন দিন কমে আসছে মালাকারের সংখ্যা।Photo- Collected-Input Saradindu Ghosh