পেল্লাই আকারের রসগোল্লা ! ১ পিসের ওজনই প্রায় ২ কেজি, দেখুন ছবি
- Published by:Siddhartha Sarkar
- news18 bangla
- Written by:Saradindu Ghosh
Last Updated:
উদ্যোক্তারা বলছেন, করোনার আবহে দু'বছর শ্রীখন্ড গ্রামের এই মেলা বন্ধ ছিল। তাই এবার প্রচুর ভক্তের সমাগম হয়েছে। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে এই মিষ্টির চাহিদা। বিক্রেতারাও বলছেন,বড় রসগোল্লার চাহিদা ব্যাপক।
রসগোল্লা। তবে তা অসাধারণ সব দিক দিয়েই। গোল নয়, চ্যাপ্টা। অনেকটা ল্যাংচার মতোই দেখতে। সাইজে পেল্লাই। একার পক্ষে একটা খাওয়া সম্ভব নয়। আপনি হয়তো ভাববেন একটা রসগোল্লা খাওয়া কি আর এমন ব্যাপার। কিন্তু সেই রসগোল্লার ওজন যদি হয় দু’কেজি তবে তো ভিরমি খাওয়ারই পালা। এমনই বড় সাইজের রসগোল্লা বিক্রি হচ্ছে কাটোয়ার শ্রীখন্ড গ্রামের বড় ডাঙ্গার মেলায়।
advertisement
পাঁচ টাকা বা দশ টাকা সাইজের নয় ৷ ২ কেজি, এক কেজি সাইজের রসগোল্লা দেদার বিক্রি হচ্ছে এই মেলায়। সবই নলেন গুড়ের তৈরি। অনেকেই সেই রসগোল্লা কিনে হাসিমুখে বাড়ি ফিরছেন। কাটোয়ার শ্রীখন্ড গ্রামে বড় ডাঙ্গায় নরহরি ঠাকুরের বিরহ তিথি উপলক্ষে প্রতি বছরই অগ্রহায়ন মাসে মেলা বসে। সেখানে পালা গান, বাউল, কীর্তন-সহ চার দিন ধরে নানা অনুষ্ঠান হয়। মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্যদেবের পার্ষদ নরহরি সরকারের বিরহ তিথি উপলক্ষে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়। দশকের পর দশক ধরে উৎসাহ উদ্দীপনায় এই মেলা চলে আসছে।
advertisement
advertisement
পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়ার শ্রীখন্ড গ্রামের বড় ডাঙ্গার মেলায় বিক্রি হচ্ছে পেল্লাই আকারের রসগোল্লা, রসলম্পা। ৫ টাকা থেকে শুরু এখানকার রসগোল্লা, রসলম্পা দাম। ১০০০ টাকা পর্যন্ত রসগোল্লা, রসলম্পার সোমহার। প্রতিবছরের মতো এ বছরও শ্রীখন্ড গ্রামে বসেছে মেলা। আর প্রতিবছরের মত এ বছরও মেলার মূল আকর্ষণ পেলাই আকারের মিষ্টিগুলি। মেলার চার দিন দেদার বিক্রি হচ্ছে এই মিষ্টি গুলি। কেউ খাচ্ছেন কেউ নিয়ে যাচ্ছেন আবার কেউ দেখেই পেট ভরাচ্ছেন।
advertisement
উদ্যোক্তারা বলছেন, করোনার আবহে দু'বছর শ্রীখন্ড গ্রামের এই মেলা বন্ধ ছিল। তাই এবার প্রচুর ভক্তের সমাগম হয়েছে। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে এই মিষ্টির চাহিদা। বিক্রেতারাও বলছেন,বড় রসগোল্লার চাহিদা ব্যাপক। একসঙ্গে অনেক ছানা লোহার খাঁচার ছাঁচে ঠেসে ভরে দেওয়া দিয়ে সেই খাঁচা রস ভর্তি কড়াইয়ে ডুবিয়ে এই রসগোল্লা তৈরি করা হয়। শীতকাল হওয়ায় এই বড় রসগোল্লা দীর্ঘক্ষণ ভাল থাকে। অনেকে মেলায় দাঁড়িয়ে সেই রসগোল্লা স্বাদ নিচ্ছেন। আবার অনেকে পরিবারের জন্য রসগোল্লা কিনে বাড়ি ফিরছেন।