লোকে বলে 'মিনি চন্দননগর', প্রথম দেখায় ভ্যাবাচাকা খাবেন আপনিও! বর্ধমানের 'এই' গ্রামে জগদ্ধাত্রী পুজো একবার দেখে আসুন

Last Updated:
Jagadhatri Puja 2025 : জগদ্ধাত্রী পুজোর কথা শুনলেই সবার আগে মনে আসে চন্দননগরের কথা। তবে পূর্ব বর্ধমানেও রয়েছে এমন একটি গ্রাম, যাকে অনেকেই বলেন ‘মিনি চন্দননগর’।
1/5
জগদ্ধাত্রী পুজোর কথা শুনলেই সবার আগে মনে আসে চন্দননগরের কথা। তবে পূর্ব বর্ধমানেও রয়েছে এমন একটি গ্রাম, যাকে অনেকেই বলেন ‘ছোট চন্দননগর’ বা ‘মিনি চন্দননগর’। সেই গ্রামটি হল কেতুগ্রাম ব্লকের পাণ্ডুগ্রাম। প্রায় চন্দননগরের মতোই এখানে জগদ্ধাত্রী পুজো হয় বড় আকারে, জাঁকজমক এবং ঐতিহ্য মিশিয়ে। তথ্য ও ছবি: বনোয়ারীলাল চৌধুরী
জগদ্ধাত্রী পুজোর কথা শুনলেই সবার আগে মনে আসে চন্দননগরের কথা। তবে পূর্ব বর্ধমানেও রয়েছে এমন একটি গ্রাম, যাকে অনেকেই বলেন ‘ছোট চন্দননগর’ বা ‘মিনি চন্দননগর’। সেই গ্রামটি হল কেতুগ্রাম ব্লকের পাণ্ডুগ্রাম। প্রায় চন্দননগরের মতোই এখানে জগদ্ধাত্রী পুজো হয় বড় আকারে। জাঁকজমক দেখার মতো। <strong>(তথ্য ও ছবি: বনোয়ারীলাল চৌধুরী)</strong>
advertisement
2/5
পাণ্ডুগ্রাম জগদ্ধাত্রী পুজো মানেই আলোর উৎসব। বিশাল আকৃতির প্রতিমা, মনোমুগ্ধকর আলোকসজ্জা, আর চারিদিকে উৎসবের আবহ, এ যেন এক অন্য জগৎ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে এই পুজোর জৌলুস। ফলে আজ বহু মানুষ দূরদূরান্ত থেকে আসেন এই গ্রামের জগদ্ধাত্রী পুজো দেখতে।তথ্য ও ছবি: বনোয়ারীলাল চৌধুরী
পাণ্ডুগ্রামে জগদ্ধাত্রী পুজো মানেই আলোর উৎসব। বিশাল আকৃতির প্রতিমা, মনোমুগ্ধকর আলোকসজ্জা, আর চারিদিকে উৎসবের আবহ, এ যেন এক অন্য জগৎ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে এই পুজোর জৌলুস। ফলে আজ বহু মানুষ দূরদূরান্ত থেকে আসেন এই গ্রামের জগদ্ধাত্রী পুজো দেখতে।
advertisement
3/5
একসময় পাণ্ডুগ্রামে হাতে গোনা কয়েকটি পারিবারিক জগদ্ধাত্রী পুজোই ছিল। তার মধ্যে অন্যতম চ্যাটার্জী পরিবারের পুজো, যা গ্রামের সবচেয়ে পুরনো বলে পরিচিত। আগে এই পুজোতে কবিগানের আসর বসত, যেখানে কেবল নির্বাচিত কবিয়ালদেরই আমন্ত্রণ জানানো হত। তথ্য ও ছবি: বনোয়ারীলাল চৌধুরী
একসময় পাণ্ডুগ্রামে হাতে গোনা কয়েকটি পারিবারিক জগদ্ধাত্রী পুজোই ছিল। তার মধ্যে অন্যতম চ্যাটার্জী পরিবারের পুজো, যা গ্রামের সবচেয়ে পুরনো বলে পরিচিত। আগে এই পুজোতে কবিগানের আসর বসত, যেখানে কেবল নির্বাচিত কবিয়ালদেরই আমন্ত্রণ জানানো হত।
advertisement
4/5
গ্রামের বাসিন্দা সুন্দর গোপাল চ্যাটার্জী জানান, “আগে এখানে কয়েকটি মাত্র পারিবারিক পুজো হত। তখন গ্রামের সব শিল্পীরা কবিগানের সুযোগ পেতেন না। তাই কবিয়ালদের সুযোগ করে দিতে শুরু হয় বারোয়ারি পুজো।” তাঁর কথায়, অনেকটা যেমন অন্যত্র বাড়িতে কার্তিক ফেলে দেওয়ার প্রথা আছে, তেমনই এখানে অনেকে ‘জগদ্ধাত্রী দেন’। এই ভাবেই বছর বছর নতুন পুজো বেড়েছে। তথ্য ও ছবি: বনোয়ারীলাল চৌধুরী
গ্রামের বাসিন্দা সুন্দর গোপাল চ্যাটার্জী জানান, “আগে এখানে কয়েকটি মাত্র পারিবারিক পুজো হত। তখন গ্রামের সব শিল্পীরা কবিগানের সুযোগ পেতেন না। তাই কবিয়ালদের সুযোগ করে দিতে শুরু হয় বারোয়ারি পুজো।” তাঁর কথায়, অনেকটা যেমন অন্যত্র বাড়িতে কার্তিক দেওয়ার প্রথা আছে, তেমনই এখানে অনেকে ‘জগদ্ধাত্রী দেন’। এই ভাবেই বছর বছর নতুন পুজো বেড়েছে।
advertisement
5/5
বর্তমানে পাণ্ডুগ্রামে ২০ থেকে ২৫টি জগদ্ধাত্রী পুজো হয়। পূর্ব পাড়া, পশ্চিম পাড়া, দাস পাড়া, সাহা পাড়া, মাঝি পাড়া, ঘোষ পাড়া প্রায় প্রতিটি এলাকাই আলো, প্রতিমা ও উৎসবে ভরে ওঠে। কয়েক দিনের এই উৎসব ঘিরে পাণ্ডুগ্রাম জেগে থাকে আনন্দ আর ভক্তিতে, যেন সত্যিই এক ‘মিনি চন্দননগর’ এই জায়গা। তথ্য ও ছবি: বনোয়ারীলাল চৌধুরী
বর্তমানে পাণ্ডুগ্রামে ২০ থেকে ২৫টি জগদ্ধাত্রী পুজো হয়। পূর্ব পাড়া, পশ্চিম পাড়া, দাস পাড়া, সাহা পাড়া, মাঝি পাড়া, ঘোষ পাড়া প্রায় প্রতিটি এলাকা আলো, প্রতিমা ও উৎসবে ভরে ওঠে। কয়েক দিনের এই উৎসব ঘিরে পাণ্ডুগ্রাম জেগে থাকে আনন্দ আর ভক্তিতে, যেন সত্যিই এক ‘মিনি চন্দননগর’ এই জায়গা। <strong>(তথ্য ও ছবি: বনোয়ারীলাল চৌধুরী)</strong>
advertisement
advertisement
advertisement