গতবছর আম্ফান বিপর্যয় মোকাবিলায় সাহায্য নেওয়ার ব্যাপারে মনস্থির অনেক সময় নিয়েছিল রাজ্য সরকার। তার জন্য চরম দুর্ভোগের স্বীকার হতে হয়েছিল রাজ্যবাসীকে। বিভিন্ন মহলে সমালোচনার ঝড় উঠেছিল রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। তাই এবার যশ ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলায় সেনা বাহিনীকে ব্যবহার করার কথা আগাম ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । মঙ্গলবার রাজ্যে আসন্ন দুর্যোগের আবহে তিনি ঘোষণা করেন রাজ্যে দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রয়োজনে সেনা নামানো হবে।মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরেই দিঘাতে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় নামানো হয় সেনাবাহিনীকে।
সোমবার ভোরেই গভীর নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হয়েছিল যশ। তারপর থেকেই সাগরের বুকে নিজের শক্তি বাড়িয়ে চলেছে। ধীরে ধীরে এগিয়ে আসতে শুরু করেছে স্থলভূমির দিকে। প্রথমদিকে ঘন্টায় মাত্র ২কিমি বেগে এগোচ্ছিল যশ। পরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ঘন্টায় ৯কিমি। যশ যত স্থলভূমির দিকে এগোবে ততই তার গতিবেগ বৃদ্ধি পাবে, সেই সঙ্গে বাড়বে তার শক্তিও। ওড়িশার বালেশ্বর জেলার বিচিত্রপুর এলাকায় তার ল্যান্ডফলের তীব্র সম্ভাবনা রয়েছে। আর তাই যশের দরুন এই রাজ্যের জেলাগুলির মধ্যে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হতে চলেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা। পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাতেও ক্ষতির সম্ভাবনা প্রবল। তাই এই জেলাগুলিতেই এখন যুদ্ধকালীন গতিতে কাজ চলছে যশের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য।