Ilish Fish: বাজারে আসবে রেকর্ড সাইজের ইলিশ, স্বাদও হবে অতুলনীয়! ভাইফোঁটার আগেই বাজারে কমবে ইলিশের দাম
- Published by:Ananya Chakraborty
- hyperlocal
- Reported by:Madan Maity
Last Updated:
বড় ও স্বাদের ইলিশের জোগান বাড়াতে কড়া পদক্ষেপ রাজ্যের মৎস্য দফতরের। প্রজননকালে ইলিশ ধরায় কঠোর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হচ্ছে।
এবার বাজারে আসবে রেকর্ড সাইজের ইলিশ। স্বাদেও হবে অতুলনীয়, এমনই আশার সুর মৎস্য দফতরের। ইলিশ ধরার নির্দিষ্ট সময়ে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও বারবার সেই নিয়ম ভাঙার অভিযোগ উঠেছে। এর ফলে বাজারে বড় ইলিশের জোগান কমেছে, কমেছে ইলিশের মানও। তাই এবার পরিস্থিতি বদলাতে উদ্যোগী রাজ্যের মৎস্য দফতর। একদিকে জোরদার প্রচার, অন্যদিকে আইনকানুন কার্যকর করে প্রজনন ও বংশবৃদ্ধির সময় ইলিশ শিকারে লাগাম টানার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে দফতরের তরফে। (তথ্য ও ছবি : মদন মাইতি)
advertisement
মৎস্য দফতর জানিয়েছে, প্রতি বছর ১৪ এপ্রিল থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত সমুদ্রে যেকোনও প্রজাতির মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা থাকে। আবার ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত দ্বিতীয় দফা নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। ইলিশের প্রজনন ও বংশবৃদ্ধির স্বার্থে এই সময়ে পূর্ণিমার পাঁচ দিন আগে ও পরে ইলিশ ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কিন্তু বাস্তবে সেই নির্দেশ মানা হয় না অনেক ক্ষেত্রেই। যার ফলে বছর বছর ইলিশের জোগান কমে আসছে। বাজারে তেমন বড় ইলিশেরও দেখা মেলে না।
advertisement
চলতি বছর বর্ষাকালে দিঘা মোহনা মাছের আড়তে একদিনে রেকর্ড ৪০ টন ইলিশ উঠেছিল। অক্টোবর মাসে ইলিশের প্রজননকাল হওয়ায় এই সময় বৈধভাবে শিকার বন্ধ থাকা জরুরি। সেই লক্ষ্যেই মৎস্য দফতর সামুদ্রিক মৎস্য শিকার নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৯৩ কার্যকর করতে উদ্যোগী হয়েছে। আইন অনুযায়ী, ২৩ সেন্টিমিটারের কম ইলিশ ধরা, বিক্রি বা পরিবহণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
advertisement
একই সঙ্গে ৯০ মিলিমিটারের কম ফাঁসের জাল ব্যবহারেও নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। কারণ ছোট ফাঁসের জালেই ধরা পড়ে ছোট আকারের ইলিশ, যা ভবিষ্যতের মাছের সরবরাহ কমিয়ে দেয়। কাঁথি মহকুমার ৪২টি খটিতে মাইকিং করে চলছে প্রচার। পাশাপাশি রাস্তায় রাস্তায় লাগানো হয়েছে পোস্টার ও ব্যানার। মৎস্যজীবীদের বোঝানো হচ্ছে, এই নিয়ম মানলে ভবিষ্যতে বড় সাইজের ইলিশের প্রাপ্যতা আরও বাড়বে, আর তাতে লাভবান হবেন মৎস্যজীবীদের পাশাপাশি ইলিশ প্রেমিরাও।
advertisement
মৎস্য দফতরের দাবি, এ বছর নিয়ম অমান্য করলেই নেওয়া হচ্ছে কড়া পদক্ষেপ। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে নজরদারি, ট্রলার ও আড়তগুলিতে চলছে তল্লাশি। ইলিশপ্রেমী বাঙালির মনে এতে খুশির হাওয়া। কারণ, প্রজননকালে অবৈধ মাছ ধরা বন্ধ হলে পরের মরসুমে বাজারে ইলিশের জোগান বাড়বে। পাশাপাশি বড় সাইজের ইলিশেরও পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদী প্রশাসন। ফলে সাধারণ ক্রেতারাও পাবেন তুলনাহীন স্বাদের ইলিশ।
advertisement
কাঁথি সহ মৎস্য অধিকর্তা (সামুদ্রিক বিভাগ) সুমন সাহা জানিয়েছেন, “আমরা এ বছর কড়া নজরদারি চালাচ্ছি। প্রচুর মাইকিং, লিফলেট বিতরণ ও মৎস্যজীবীদের সচেতন করা হচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য অবৈধভাবে ইলিশ ধরা রোধ করা। কেউ আইন ভাঙলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ” দিঘা ফিশারমেন অ্যান্ড ফিশ ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক শ্যামসুন্দর দাস বলেন, "এবার মৎস্যজীবীদের সহযোগিতায় পরিস্থিতি অনেকটাই বদলাবে বলে আশা করা হচ্ছে।"