Howrah Town Hall: শতাব্দী প্রাচীন হাওড়ার টাউনহল, পরতে পরতে প্রায় দেড়শো বছরের ইতিহাসের হাতছানি

Last Updated:
Howrah Town Hall: ১৮৮৩ সালে হাওড়া শহরে বিভিন্ন সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য একটি হল তৈরির অনুরোধ করে 'হাওড়া পিপলস আ্যসোসিয়েশন'। সে বছরই প্রস্তাব গৃহীত হয়
1/6
হাওড়া, রাকেশ মাইতি: শতাব্দী প্রাচীন হাওড়ার টাউন হল! কলকাতার যমজ শহর হিসেবে হাওড়ার গুরুত্ব অসীম। এই শহরের মধ্যেই রয়েছে বহু ঐতিহাসিক স্থান ও নিদর্শন। ইতিহাস দখল করে থাকা নিদর্শন যথাযথ সংরক্ষণের অভাবে এই প্রাচীন শহর অতীতে হারিয়েছে অনেক কিছুই। এখনও হয়তো অনেক কিছু হারাতে বসেছে। ইতিহাসের বহু ঘটনার সাক্ষী জ্বলজ্বল করছে হাওড়া শহরের বুকে। তেমনই একটি নিদর্শন হল, শতবর্ষেরও বেশি সময় ধরে দাঁড়িয়ে থাকা হাওড়ার টাউন হল।
হাওড়া, রাকেশ মাইতি: শতাব্দী প্রাচীন হাওড়ার টাউন হল! কলকাতার যমজ শহর হিসেবে হাওড়ার গুরুত্ব অসীম। এই শহরের মধ্যেই রয়েছে বহু ঐতিহাসিক স্থান ও নিদর্শন। ইতিহাস দখল করে থাকা নিদর্শন যথাযথ সংরক্ষণের অভাবে এই প্রাচীন শহর অতীতে হারিয়েছে অনেক কিছুই। এখনও হয়তো অনেক কিছু হারাতে বসেছে। ইতিহাসের বহু ঘটনার সাক্ষী জ্বলজ্বল করছে হাওড়া শহরের বুকে। তেমনই একটি নিদর্শন হল, শতবর্ষেরও বেশি সময় ধরে দাঁড়িয়ে থাকা হাওড়ার টাউন হল।
advertisement
2/6
ব্রিটিশ শাসনের সময় অর্থাৎ স্বাধীনতার পূর্বে এই হলই ছিল বিপ্লবীদের সভা ঘর। জানা যায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, গিরিশচন্দ্র ঘোষ, ঋষি অরবিন্দ, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ,নেতাজী, জওহরলাল নেহেরু, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়-সহ আরও অনেক মনীষীর পদধূলি পড়েছিল এই হল ঘরটিতে। (ছবি ও তথ্য : রাকেশ মাইতি)
ব্রিটিশ শাসনের সময় অর্থাৎ স্বাধীনতার পূর্বে এই হলই ছিল বিপ্লবীদের সভা ঘর। জানা যায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, গিরিশচন্দ্র ঘোষ, ঋষি অরবিন্দ, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ,নেতাজী, জওহরলাল নেহেরু, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়-সহ আরও অনেক মনীষীর পদধূলি পড়েছিল এই হল ঘরটিতে। (ছবি ও তথ্য : রাকেশ মাইতি)
advertisement
3/6
১৮৮৩ সালে হাওড়া শহরে বিভিন্ন সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য একটি হল তৈরির অনুরোধ করে 'হাওড়া পিপলস আ্যসোসিয়েশন'। সে বছরই প্রস্তাব গৃহীত হয়। হলটি নির্মাণের জন্য বেছে নেওয়া হয় হাওড়া পুরনিগমের প্রধান কার্য্যালয়ের উপর তলা। জানা যায় হল'টি নীচে তৈরি না করে একতলার উপরে তৈরি করার অন্যতম কারণ, খরচ কমানো। (ছবি ও তথ্য : রাকেশ মাইতি)
১৮৮৩ সালে হাওড়া শহরে বিভিন্ন সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য একটি হল তৈরির অনুরোধ করে 'হাওড়া পিপলস আ্যসোসিয়েশন'। সে বছরই প্রস্তাব গৃহীত হয়। হলটি নির্মাণের জন্য বেছে নেওয়া হয় হাওড়া পুরনিগমের প্রধান কার্য্যালয়ের উপর তলা। জানা যায় হল'টি নীচে তৈরি না করে একতলার উপরে তৈরি করার অন্যতম কারণ, খরচ কমানো। (ছবি ও তথ্য : রাকেশ মাইতি)
advertisement
4/6
তৎকালীন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সি ই বাকল্যান্ড হলটি তৈরি করেন। নির্মাণে প্রায় ২৬ হাজার ৫০০ টাকা খরচ হয়। অন্যদিকে হলের মধ্যেকার আসবাবপত্র ও ডেকরেশনের খরচ প্রায় ২৮ টাকার বেশি। হল নির্মাণ এবং তার যাবতীয় খরচ সংগ্রহ করা হয়েছিল হাওড়াবাসীর থেকে। বহু মানুষ এগিয়ে এসে অনুদান দিয়েছিলেন। যে সমস্ত মানুষ ১০০ টাকা অনুদান দিয়েছিলেন, তাঁদের নামের তালিকা এখনও রয়েছে হলের মধ্যে। (ছবি ও তথ্য : রাকেশ মাইতি)
তৎকালীন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সি ই বাকল্যান্ড হলটি তৈরি করেন। নির্মাণে প্রায় ২৬ হাজার ৫০০ টাকা খরচ হয়। অন্যদিকে হলের মধ্যেকার আসবাবপত্র ও ডেকরেশনের খরচ প্রায় ২৮ টাকার বেশি। হল নির্মাণ এবং তার যাবতীয় খরচ সংগ্রহ করা হয়েছিল হাওড়াবাসীর থেকে। বহু মানুষ এগিয়ে এসে অনুদান দিয়েছিলেন। যে সমস্ত মানুষ ১০০ টাকা অনুদান দিয়েছিলেন, তাঁদের নামের তালিকা এখনও রয়েছে হলের মধ্যে। (ছবি ও তথ্য : রাকেশ মাইতি)
advertisement
5/6
হাওড়া পুরসভার প্রধান ফটকের বামহাতি লাল হলুদ রঙের বিল্ডিং-এর উপরেই টাউনহল। হাওড়ার ডাকঘরের পাশে ৯৪২ বর্গমিটার বিশিষ্ট হলটি তৈরি হয় হাওড়া পুরসভা একতলায়। ১৮৮৩ সালে নির্মাণকার্য শুরু হয়, নির্মাণকার্য শেষ হয় ১৮৮৪ সালে। টাউন হলের উচ্চতা ২১ ফুট ও দৈর্ঘ্য পস্থে যথাক্রমে ৬৬ মিটার ও ৪২ মিটার। (ছবি ও তথ্য : রাকেশ মাইতি)
হাওড়া পুরসভার প্রধান ফটকের বামহাতি লাল হলুদ রঙের বিল্ডিং-এর উপরেই টাউনহল। হাওড়ার ডাকঘরের পাশে ৯৪২ বর্গমিটার বিশিষ্ট হলটি তৈরি হয় হাওড়া পুরসভা একতলায়। ১৮৮৩ সালে নির্মাণকার্য শুরু হয়, নির্মাণকার্য শেষ হয় ১৮৮৪ সালে। টাউন হলের উচ্চতা ২১ ফুট ও দৈর্ঘ্য পস্থে যথাক্রমে ৬৬ মিটার ও ৪২ মিটার। (ছবি ও তথ্য : রাকেশ মাইতি)
advertisement
6/6
হল তৈরি শেষ হলে, ১৮৮৪ সালের ১৪ মার্চ তৎকালীন বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির ছোটলাট গর্ভনর জেনারেল অগস্টাস থম্পসন হলের উদ্বোধন করেন। জানা যায়, তৎকালীন ইংরেজ স্থপতি সি বাকলেন নকশা ও তৈরির কাজ সম্পূর্ণ করেন। (ছবি ও তথ্য: রাকেশ মাইতি)
হল তৈরি শেষ হলে, ১৮৮৪ সালের ১৪ মার্চ তৎকালীন বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির ছোটলাট গর্ভনর জেনারেল অগস্টাস থম্পসন হলের উদ্বোধন করেন। জানা যায়, তৎকালীন ইংরেজ স্থপতি সি বাকলেন নকশা ও তৈরির কাজ সম্পূর্ণ করেন। (ছবি ও তথ্য: রাকেশ মাইতি)
advertisement
advertisement
advertisement