ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানেই শেষ নয়, মিলবে নতুন সেতুও! বাসুদেবপুরের দুর্ভোগ দূর করতে 'বাড়তি পাওনা'র সুখবর দিলেন পঞ্চায়েত প্রধান
- Published by:Madhab Das
- hyperlocal
- Reported by:Syed Mijanur Mahaman
Last Updated:
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর এক নম্বর ব্লকের বাসুদেবপুর গ্রাম। বহু মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা চন্দ্রেশ্বর খালের ওপরের পুরানো সেতুটি দিয়ে।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর এক নম্বর ব্লকের বাসুদেবপুর। বহু মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা চন্দ্রেশ্বর খালের ওপরের পুরনো সেতুটি। দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে থাকা এই সেতুই গ্রামবাসীর দুঃখের কারণ, আবার ভরসারও প্রতীক। এই সেতু দিয়েই প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ স্কুল-কলেজে যান, রোগীরা যান স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও হাসপাতালে। আবার এই সেতুর ওপর দিয়েই যুক্ত হয় গ্রামবাসীর রাজ্য সড়কে যাওয়ার পথ। কিন্তু বেহাল সেতুর কারণে প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয় সাধারণ মানুষকে। ( ছবি ও তথ্য মিজানুর রহমান )
advertisement
এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের একটাই দাবি—নতুন সেতু চাই। কারণ পুরনো সেতুটি একদিকে ঝুঁকিপূর্ণ, অন্যদিকে যাতায়াতের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়িয়েছে। বহুবার বিভিন্ন মঞ্চ থেকে স্থানীয় মানুষজন এই দাবি তুলেছেন। অঞ্চল প্রধান থেকে সাধারণ গ্রামবাসী—সকলের কণ্ঠেই ছিল একই কথা, “একটা নতুন সেতু না হলে আমাদের দুর্ভোগ শেষ হবে না।” ( ছবি ও তথ্য মিজানুর রহমান )
advertisement
সম্প্রতি শুরু হয়েছে বহু প্রতীক্ষিত ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজ। এলাকার মানুষজনের দাবিও ছিল, এই প্রকল্পের সঙ্গে যেন যুক্ত করা হয় বাসুদেবপুরের চন্দ্রেশ্বর খালের সেতুটিকেও। কারণ এই খাল ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাই সেতুটি নতুনভাবে তৈরি হলে এর সুফল মিলবে প্রত্যেকেরই। ( ছবি ও তথ্য মিজানুর রহমান )
advertisement
আপাতত বেহাল সেতুর পাশেই মাটির পরীক্ষা শুরু হয়েছে। বাসুদেবপুরের অঞ্চল প্রধান জানিয়েছেন, নতুন সেতু নির্মাণের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখার জন্য সাইটে এই পরীক্ষা করা হচ্ছে। এই খবর গ্রামবাসীর মধ্যে নতুন আশার সঞ্চার করেছে। বহু বছরের দাবির প্রতিফলন এবার বাস্তবে রূপ নিতে চলেছে বলেই বিশ্বাস স্থানীয়দের। ( ছবি ও তথ্য মিজানুর রহমান )
advertisement
গ্রামের সাধারণ মানুষ জানাচ্ছেন, নতুন সেতু হলে প্রতিদিনের যাতায়াতের ঝুঁকি অনেকটা কমে যাবে। ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, রোগী কিংবা কর্মজীবী—সবাই উপকৃত হবেন। “আমাদের দীর্ঘদিনের সমস্যা মিটবে, বাচ্চাদের স্কুলে যাওয়া সহজ হবে, আর জরুরি সময়ে হাসপাতালে পৌঁছাতেও আর দেরি হবে না,” বলছেন বাসুদেবপুরের এক বাসিন্দা।( ছবি ও তথ্য মিজানুর রহমান )
advertisement