Village With No Car Entry: বর্ধমানের এই গ্রামে যায় না চারচাকা গাড়ি! গ্রামীণ উন্নয়নের ছোঁয়া লাগলেও এই গ্রাম যেন অন্য পথে হাঁটে!

Last Updated:
বর্ষা এলে সেই সাঁকো জলের তলায় চলে যায়। ফলে এম্বুলেন্স তো দূরের কথা, চারচাকা গাড়িও প্রবেশ করতে পারে না।
1/7
সরকারি হাসপাতাল হাতের কাছে, তবুও পূর্ব বর্ধমানের এই গ্রামে বিনা চিকিৎসায় ঘটে রোগী মৃত্যুর ঘটনা! পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রাম ২ ব্লকের অন্তর্গত নবগ্রাম গ্রামটি আজও বহু পুরানো সমস্যায় জর্জরিত। রাজ্যের নানা প্রান্তে গ্রামীণ উন্নয়নের ছোঁয়া লাগলেও এই গ্রামে পা রাখলে বোঝা যায়, এখনও অনেক কিছুই বাকি রয়েছে। (বনোয়ারীলাল চৌধুরী)
সরকারি হাসপাতাল হাতের কাছে, তবুও পূর্ব বর্ধমানের এই গ্রামে বিনা চিকিৎসায় ঘটে রোগী মৃত্যুর ঘটনা! পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রাম ২ ব্লকের অন্তর্গত নবগ্রাম গ্রামটি আজও বহু পুরানো সমস্যায় জর্জরিত। রাজ্যের নানা প্রান্তে গ্রামীণ উন্নয়নের ছোঁয়া লাগলেও এই গ্রামে পা রাখলে বোঝা যায়, এখনও অনেক কিছুই বাকি রয়েছে। (বনোয়ারীলাল চৌধুরী)
advertisement
2/7
বর্ষা এলেই ঘুম উড়ে যায় গ্রামবাসীদের চোখ থেকে। ভোগান্তি চরমে পৌঁছায় যাতায়াত ব্যবস্থার ভগ্নদশা ও জলের সমস্যার কারণে। এই গ্রামের কাছেই রয়েছে কাটোয়া শহর। তবে অত্যাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা, কলেজ, স্কুল ও অন্যান্য পরিকাঠামো সমৃদ্ধ কাটোয়া শহরে পৌঁছাতে স্থানীয়দের প্রায় ২৫-৩০ কিলোমিটার পথ ঘুরে যেতে হয়। অথচ নবগ্রাম থেকে কাটোয়ার দূরত্ব মাত্র ৩ থেকে ৪ কিলোমিটার। এই দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে গিয়ে অনেক সময় বিনা চিকিৎসায় রোগীদের মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন গ্রামবাসীরা।
বর্ষা এলেই ঘুম উড়ে যায় গ্রামবাসীদের চোখ থেকে। ভোগান্তি চরমে পৌঁছায় যাতায়াত ব্যবস্থার ভগ্নদশা ও জলের সমস্যার কারণে। এই গ্রামের কাছেই রয়েছে কাটোয়া শহর। তবে অত্যাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা, কলেজ, স্কুল ও অন্যান্য পরিকাঠামো সমৃদ্ধ কাটোয়া শহরে পৌঁছাতে স্থানীয়দের প্রায় ২৫-৩০ কিলোমিটার পথ ঘুরে যেতে হয়। অথচ নবগ্রাম থেকে কাটোয়ার দূরত্ব মাত্র ৩ থেকে ৪ কিলোমিটার। এই দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে গিয়ে অনেক সময় বিনা চিকিৎসায় রোগীদের মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন গ্রামবাসীরা।
advertisement
3/7
গ্রামবাসী তথা নবগ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ব্রজ গোপাল ঘোষ জানিয়েছেন,
গ্রামবাসী তথা নবগ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ব্রজ গোপাল ঘোষ জানিয়েছেন, "কাটোয়া শহরের দূরত্ব আমাদের এখান থেকে খুবই কাছে কিন্তু আমাদের ২৫ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে শহরে যেতে হয়। মুখ্যমন্ত্রীর সহযোগিতায় একটি পাকা রাস্তা তৈরি হয়েছে যার জন্য আমরা শহরে যেতে পারি। কিন্তু জরুরী কালীন পরিস্থিতিতে ২৫ কিলোমিটার ঘুরে হাসপাতাল যেতে খুবই সমস্যা হয়। বিনা চিকিৎসায় অনেক রোগী মারা যায়। গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে বেশি অসুবিধা হয়। রেলের তরফে একটা ব্রিজ করে দেওয়া হয়েছে কিন্তু ওই ব্রিজ দিয়ে সাইকেল মোটরসাইকেল ছাড়া কিছুই যাবে না।"
advertisement
4/7
গ্রামে রয়েছে নবগ্রাম–কাঁকুড়হাটি স্টেশন, যা কাটোয়া-আহমেদপুর লাইনে কাটোয়া শহরের পরেই অবস্থিত। তবে সেখান থেকেও গ্রামে পৌঁছান কষ্টকর। সেভাবে টোটো চলে না, হাঁটা পথও দুর্গম। বিশেষ করে বর্ষাকালে স্টেশন থেকে গ্রামের রাস্তাটি কার্যত বেহাল অবস্থায় থাকে।রেল কর্তৃপক্ষ গ্রামবাসীদের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে বছরখানেক আগে একটি ছোট ব্রিজ তৈরি করেছে, যা নবগ্রাম স্টেশনের গা ঘেঁষে রয়েছে। এই ব্রিজ পার হয়ে একটি আন্ডারপাস দিয়ে কয়েক মিনিটেই কাটোয়া শহরে পৌঁছান যায়। কিন্তু ব্রিজটি এতটাই সরু যে একসঙ্গে দু’জন হাঁটাও সম্ভব নয়।
গ্রামে রয়েছে নবগ্রাম–কাঁকুড়হাটি স্টেশন, যা কাটোয়া-আহমেদপুর লাইনে কাটোয়া শহরের পরেই অবস্থিত। তবে সেখান থেকেও গ্রামে পৌঁছান কষ্টকর। সেভাবে টোটো চলে না, হাঁটা পথও দুর্গম। বিশেষ করে বর্ষাকালে স্টেশন থেকে গ্রামের রাস্তাটি কার্যত বেহাল অবস্থায় থাকে।রেল কর্তৃপক্ষ গ্রামবাসীদের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে বছরখানেক আগে একটি ছোট ব্রিজ তৈরি করেছে, যা নবগ্রাম স্টেশনের গা ঘেঁষে রয়েছে। এই ব্রিজ পার হয়ে একটি আন্ডারপাস দিয়ে কয়েক মিনিটেই কাটোয়া শহরে পৌঁছান যায়। কিন্তু ব্রিজটি এতটাই সরু যে একসঙ্গে দু’জন হাঁটাও সম্ভব নয়।
advertisement
5/7
একদিক থেকে একটি বাইক উঠলে বিপরীত দিকের ব্যক্তিকে সেই বাইক নামা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। বাইক নিয়ে অল্প সময়ে কষ্ট করে শহরে পৌঁছান গেলেও, চারচাকা গাড়ি নিয়ে এই রাস্তায় শহর যাওয়া যায়না। চরম সমস্যা দেখা দেয় এম্বুলেন্স পরিষেবার ক্ষেত্রেও। গ্রামে ঢোকার প্রধান রাস্তায় একটি সাঁকো রয়েছে , বর্ষা এলে সেই সাঁকো জলের তলায় চলে যায়। ফলে এম্বুলেন্স তো দূরের কথা, চারচাকা গাড়িও প্রবেশ করতে পারে না।
একদিক থেকে একটি বাইক উঠলে বিপরীত দিকের ব্যক্তিকে সেই বাইক নামা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। বাইক নিয়ে অল্প সময়ে কষ্ট করে শহরে পৌঁছান গেলেও, চারচাকা গাড়ি নিয়ে এই রাস্তায় শহর যাওয়া যায়না। চরম সমস্যা দেখা দেয় এম্বুলেন্স পরিষেবার ক্ষেত্রেও। গ্রামে ঢোকার প্রধান রাস্তায় একটি সাঁকো রয়েছে , বর্ষা এলে সেই সাঁকো জলের তলায় চলে যায়। ফলে এম্বুলেন্স তো দূরের কথা, চারচাকা গাড়িও প্রবেশ করতে পারে না।
advertisement
6/7
অজয় ঘেরা এই গ্রামের বাসিন্দাদের প্রতিবার বর্ষা এলেই আতঙ্কে দিন গুনতে হয়। গ্রামবাসী দেবকান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন,
অজয় ঘেরা এই গ্রামের বাসিন্দাদের প্রতিবার বর্ষা এলেই আতঙ্কে দিন গুনতে হয়। গ্রামবাসী দেবকান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, "কাটোয়ার সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ খুবই প্রয়োজন। এখানে বাসের কোনও যোগাযোগ নেই, স্টেশন থাকলেও হাতে-গোনা কয়েকটি ট্রেন দাঁড়ায়। রেলের করে দেওয়া ব্রিজের অবস্থাও খুব খারাপ। আমাদের বড় সমস্যা কোনও রোগীর গুরুতর সমস্যা হলে, ৪ কিলোমিটার এর মধ্যে হাসপাতাল থাকলেও আমরা সেই রোগীকে বাঁচাতে পারব না।"
advertisement
7/7
রাজ্য সরকারের উদ্যোগে গ্রামের ভেতরে কিছু উন্নয়ন হলেও, যোগাযোগ ব্যবস্থার হাল এখনও তথৈবচ। গ্রামের মানুষদের দাবি, রেলের তৈরি ব্রিজটি যদি আরও চওড়া করা হয় এবং গ্রাম থেকে শহরে যাতায়াতের প্রধান রাস্তায় যে সাঁকো রয়েছে সেটাকে যদি উঁচু করে ব্রিজের মাধ্যমে সংযোগ স্থাপন করা হয়, তাহলে বর্ষার দুর্ভোগ অনেকটাই কমবে। এই দাবি নিয়ে একাধিকবার স্থানীয় প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন গ্রামবাসীরা। কিন্তু এখনও স্থায়ী কোনও সমাধান মেলেনি। বর্ষার আগমনের আগে তাই নতুন করে আতঙ্কে দিন কাটছে নবগ্রামের মানুষের।
রাজ্য সরকারের উদ্যোগে গ্রামের ভেতরে কিছু উন্নয়ন হলেও, যোগাযোগ ব্যবস্থার হাল এখনও তথৈবচ। গ্রামের মানুষদের দাবি, রেলের তৈরি ব্রিজটি যদি আরও চওড়া করা হয় এবং গ্রাম থেকে শহরে যাতায়াতের প্রধান রাস্তায় যে সাঁকো রয়েছে সেটাকে যদি উঁচু করে ব্রিজের মাধ্যমে সংযোগ স্থাপন করা হয়, তাহলে বর্ষার দুর্ভোগ অনেকটাই কমবে। এই দাবি নিয়ে একাধিকবার স্থানীয় প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন গ্রামবাসীরা। কিন্তু এখনও স্থায়ী কোনও সমাধান মেলেনি। বর্ষার আগমনের আগে তাই নতুন করে আতঙ্কে দিন কাটছে নবগ্রামের মানুষের।
advertisement
advertisement
advertisement