শুঁটকির ব্যবসায় বড়সড় ধস! কোটি কোটি টাকার লোকসান! পুজোর মুখে মাছের বাজারে কেন এমন অস্থিরতা?
- Published by:Aishwarya Purkait
- hyperlocal
- Reported by:Madan Maity
Last Updated:
Shutki Fish: প্রায় ২০০ ব্যবসায়ী সরাসরি এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকলেও প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ পরোক্ষভাবে শুঁটকি মাছের ব্যবসার মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করেন। কিন্তু এ বছর বৃষ্টির কারণে মাছ শুকানো বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ীরা অনিশ্চয়তায় ভুগছেন।
<strong>দিঘা, পূর্ব মেদিনীপুর, মদন মাইতি:</strong> দিঘা মোহনা উপকূলীয় অঞ্চলে শুঁটকি মাছের ব্যবসা বড়সড় সঙ্কটের মুখে পড়েছে। বহু বছর ধরে এখানকার মানুষ এই শিল্পের উপর নির্ভরশীল। প্রায় ২০০ ব্যবসায়ী সরাসরি এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকলেও প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ পরোক্ষভাবে এই ব্যবসার মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করেন। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার উপকূলীয় গ্রাম মৈত্রাপুর, শংকরপুর, পূর্ব মুকুন্দপুর, দাসন্দপুর, দহদিয়া ও অলংকারপুর সহ একাধিক গ্রামের মানুষ শুঁটকি মাছ শিল্পের উপর নির্ভরশীল। তবে টানা বৃষ্টির কারণে মাছ শুকাতে না পেরে সবাই সমস্যায় পড়েছেন।
advertisement
বর্ষাকালে শুঁটকি মাছ শুকান সবসময়ই ঝুঁকিপূর্ণ হয়, তবে এ বছর টানা বৃষ্টিতে অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। একদিকে ক্রেতাদের চাহিদা রয়েছে, অন্যদিকে মাছ শুকাতে না পারায় তা বাজারজাত করা যাচ্ছে না। এতে ব্যবসায়ীরা যেমন ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন, তেমনই ঐতিহ্যবাহী এই শিল্পও ধ্বংসের মুখে চলে যাচ্ছে। (ছবি ও তথ্য: মদন মাইতি)
advertisement
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, গত কয়েক সপ্তাহের বৃষ্টির কারণে তাদের কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। মাছ শুকাতে না পারলে তা দ্রুত পচে যায়, ফলে বাজারে বিক্রির অযোগ্য হয়ে পড়ে। এর প্রভাব পড়ছে পরিবহন, প্যাকেটজাত করা, পাইকারি ও খুচরো বিক্রেতাদের উপরও। ফলে ব্যবসার পুরো চেইন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। (ছবি ও তথ্য: মদন মাইতি)
advertisement
এই শিল্পে কাজ করা শ্রমিক ও মহিলারা জানিয়েছেন, প্রতিদিনের কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাদের আয় শূন্য। সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। অনেক শ্রমিক বিকল্প কাজের সন্ধান করছেন। তবে দীর্ঘদিন এই শিল্প বন্ধ থাকলে উপকূলীয় এলাকার অর্থনীতি বড় ধরনের ধাক্কা খাবে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। (ছবি ও তথ্য: মদন মাইতি)
advertisement
advertisement
স্থানীয় ব্যবসায়ী প্রবীর দলাই বলেন, “আমাদের একমাত্র ভরসা শুঁটকি মাছের ব্যবসা। কিন্তু এ বছর টানা বৃষ্টিতে মাছ শুকাতে না পেরে আমরা দিশেহারা। কয়েক লাখ টাকা লোকসান হয়েছে। সামনে পুজোর বাজারও ধরতে পারব কিনা বুঝতে পারছি না। সরকার যদি পাশে না দাঁড়ায় তাহলে আমাদের অবস্থা আরও খারাপ হবে।” (ছবি ও তথ্য: মদন মাইতি)