Durga Puja 2025: কোথাও অতীতের প্রেম থেকে ডিজিটাল প্রেম, কোথাও কালীর ৩১ রূপ! পূর্ব মেদিনীপুরের 'এই' ৩ পুজো মণ্ডপে আলাদা স্বাদের সন্ধান, দেখে নিন ছবিতে

Last Updated:
সমাজের অতীত যুগ এবং ডিজিটাল যুগকে থিম হিসেবে তুলে ধরেছে এগরার ফ্রেন্ডস রিক্রিয়েশান ক্লাব। প্রায় চার দশক ধরে শহরবাসীকে তারা নিত্যনতুন থিমে চমক দিয়ে আসছে। এ বছর তাঁদের পুজো ৪৪তম বর্ষে পদার্পণ করল।
1/6
সমাজের অতীত যুগ এবং ডিজিটাল যুগকে থিম হিসেবে তুলে ধরেছে এগরার ফ্রেন্ডস রিক্রিয়েশান ক্লাব। প্রায় চার দশক ধরে শহরবাসীকে তারা নিত্যনতুন থিমে চমক দিয়ে আসছে। এ বছর তাঁদের পুজো ৪৪তম বর্ষে পদার্পণ করল। অতীতকে ফুটিয়ে তুলতে মণ্ডপ নির্মিত হয়েছে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে, ছাউনি খড় ও টিনে। রংতুলির মাধ্যমে ধরা পড়েছে অতীতের প্রেম ও বর্তমানের প্রেমের পার্থক্য। পড়াশোনায় এসেছে ডিজিটাল রূপান্তর। অতীতের রাজাদের যুদ্ধ আর বর্তমানের মিসাইল যুদ্ধও এতে প্রতিফলিত হয়েছে। (তথ্য ও ছবি : মদন মাইতি)
সমাজের অতীত যুগ এবং ডিজিটাল যুগকে থিম হিসেবে তুলে ধরেছে এগরার ফ্রেন্ডস রিক্রিয়েশান ক্লাব। প্রায় চার দশক ধরে শহরবাসীকে তারা নিত্যনতুন থিমে চমক দিয়ে আসছে। এ বছর তাঁদের পুজো ৪৪তম বর্ষে পদার্পণ করল। অতীতকে ফুটিয়ে তুলতে মণ্ডপ নির্মিত হয়েছে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে, ছাউনি খড় ও টিনে। রংতুলির মাধ্যমে ধরা পড়েছে অতীতের প্রেম ও বর্তমানের প্রেমের পার্থক্য। পড়াশোনায় এসেছে ডিজিটাল রূপান্তর। অতীতের রাজাদের যুদ্ধ আর বর্তমানের মিসাইল যুদ্ধও এতে প্রতিফলিত হয়েছে। (তথ্য ও ছবি : মদন মাইতি)
advertisement
2/6
ক্লাবের অন্যতম কর্মকর্তা স্বপন নায়ক বলেন, “আমাদের উদ্দেশ্য হল দর্শনার্থীদের চোখে সমাজের পরিবর্তনকে স্পষ্টভাবে তুলে ধরা। আগে পড়াশোনা হত পুঁথি বা বইয়ের মাধ্যমে, এখন সবকিছু ডিজিটালে। অতীতে প্রেম চিঠি বা অপেক্ষার মাধ্যমে প্রকাশ পেত, এখন সেটি মুহূর্তে পৌঁছে যায় মোবাইল স্ক্রিনে। এমনকি যুদ্ধের ক্ষেত্রেও রূপান্তর ঘটেছে। তাই আমাদের মণ্ডপে অতীত ও বর্তমান যুগ পাশাপাশি দাঁড়িয়ে মানুষের কাছে এক ভিন্ন অভিজ্ঞতা তৈরি করছে।”
ক্লাবের অন্যতম কর্মকর্তা স্বপন নায়ক বলেন, “আমাদের উদ্দেশ্য হল দর্শনার্থীদের চোখে সমাজের পরিবর্তনকে স্পষ্টভাবে তুলে ধরা। আগে পড়াশোনা হত পুঁথি বা বইয়ের মাধ্যমে, এখন সবকিছু ডিজিটালে। অতীতে প্রেম চিঠি বা অপেক্ষার মাধ্যমে প্রকাশ পেত, এখন সেটি মুহূর্তে পৌঁছে যায় মোবাইল স্ক্রিনে। এমনকি যুদ্ধের ক্ষেত্রেও রূপান্তর ঘটেছে। তাই আমাদের মণ্ডপে অতীত ও বর্তমান যুগ পাশাপাশি দাঁড়িয়ে মানুষের কাছে এক ভিন্ন অভিজ্ঞতা তৈরি করছে।”
advertisement
3/6
এগরার তাজপুর ছোটনলগেড়্যা বিদ্যাসাগর স্মৃতি সংঘ এবছর ৪৬তম বর্ষে পা দিল। তাঁদের থিম তিরুপতি বালাজি মন্দিরের আদলে সুবিশাল মণ্ডপ। তবে এ বছরের বিশেষ আকর্ষণ হল দেবী কালীর ৩১টি রূপ প্রদর্শন। শিল্পী বেণীমাধব জানা তাঁর অসাধারণ শিল্পনৈপুণ্যে এই রূপগুলি ফুটিয়ে তুলেছেন। সাধারণত এত রূপ একসঙ্গে দেখা যায় না, তাই প্রদর্শনীর গুরুত্ব আলাদা। দক্ষিণাকালী, শ্মশানকালী, রক্ষাকালীর মতো পরিচিত রূপের পাশাপাশি অপ্রচলিত রূপও রয়েছে, যা দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করছে।
এগরার তাজপুর ছোটনলগেড়্যা বিদ্যাসাগর স্মৃতি সংঘ এবছর ৪৬তম বর্ষে পা দিল। তাঁদের থিম তিরুপতি বালাজি মন্দিরের আদলে সুবিশাল মণ্ডপ। তবে এ বছরের বিশেষ আকর্ষণ হল দেবী কালীর ৩১টি রূপ প্রদর্শন। শিল্পী বেণীমাধব জানা তাঁর অসাধারণ শিল্পনৈপুণ্যে এই রূপগুলি ফুটিয়ে তুলেছেন। সাধারণত এত রূপ একসঙ্গে দেখা যায় না, তাই প্রদর্শনীর গুরুত্ব আলাদা। দক্ষিণাকালী, শ্মশানকালী, রক্ষাকালীর মতো পরিচিত রূপের পাশাপাশি অপ্রচলিত রূপও রয়েছে, যা দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করছে।
advertisement
4/6
ক্লাবের অন্যতম কর্মকর্তা চন্দন জানা বলেন, “আমরা চেয়েছি মণ্ডপে প্রবেশ করলেই ভক্তি ও শিল্প একসঙ্গে অনুভূত হোক। মা কালীর প্রতিটি রূপে রয়েছে বিশেষ তাৎপর্য। দর্শনার্থীরা এক জায়গায় এতগুলি রূপ দেখে অভিভূত হবেন। এর সঙ্গে আলোকসজ্জা ও সঙ্গীতের মাধ্যমে প্রতিটি রূপকে জীবন্ত করে তোলা হয়েছে। আমাদের উদ্দেশ্য কেবল থিম নয়, ভক্তিভাবও মানুষের মনে পৌঁছে দেওয়া। আমরা আশা করি এই অভিনব প্রদর্শনী এলাকাবাসী থেকে শুরু করে বাইরের দর্শনার্থীদেরও আকর্ষণ করবে।”
ক্লাবের অন্যতম কর্মকর্তা চন্দন জানা বলেন, “আমরা চেয়েছি মণ্ডপে প্রবেশ করলেই ভক্তি ও শিল্প একসঙ্গে অনুভূত হোক। মা কালীর প্রতিটি রূপে রয়েছে বিশেষ তাৎপর্য। দর্শনার্থীরা এক জায়গায় এতগুলি রূপ দেখে অভিভূত হবেন। এর সঙ্গে আলোকসজ্জা ও সঙ্গীতের মাধ্যমে প্রতিটি রূপকে জীবন্ত করে তোলা হয়েছে। আমাদের উদ্দেশ্য কেবল থিম নয়, ভক্তিভাবও মানুষের মনে পৌঁছে দেওয়া। আমরা আশা করি এই অভিনব প্রদর্শনী এলাকাবাসী থেকে শুরু করে বাইরের দর্শনার্থীদেরও আকর্ষণ করবে।”
advertisement
5/6
পটাশপুর দাইতলা বাজার সার্বজনীন দুর্গোৎসব সমিতির ঐতিহ্যবাহী পুজো এবছর ৫০ বছরে পদার্পণ করল। অর্ধশতক পেরোনোর আনন্দে গ্রামজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ। ৫০ বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে মায়ের আরাধনা করেছেন উদ্যোক্তারা। তাঁদের দীর্ঘদিনের লক্ষ্য—মায়ের কংক্রিটের মন্দির নির্মাণ। এ বছর মণ্ডপ সাজানো হয়েছে তিরুপতি বালাজি মন্দিরের আদলে। সাবেকি প্রতিমা দর্শকদের মন কেড়েছে। চতুর্থী থেকেই আশপাশের গ্রাম থেকে মানুষের ভিড় জমছে। ভক্তি আর আনন্দে গমগম করছে মণ্ডপ প্রাঙ্গণ।
পটাশপুর দাইতলা বাজার সার্বজনীন দুর্গোৎসব সমিতির ঐতিহ্যবাহী পুজো এবছর ৫০ বছরে পদার্পণ করল। অর্ধশতক পেরোনোর আনন্দে গ্রামজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ। ৫০ বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে মায়ের আরাধনা করেছেন উদ্যোক্তারা। তাঁদের দীর্ঘদিনের লক্ষ্য—মায়ের কংক্রিটের মন্দির নির্মাণ। এ বছর মণ্ডপ সাজানো হয়েছে তিরুপতি বালাজি মন্দিরের আদলে। সাবেকি প্রতিমা দর্শকদের মন কেড়েছে। চতুর্থী থেকেই আশপাশের গ্রাম থেকে মানুষের ভিড় জমছে। ভক্তি আর আনন্দে গমগম করছে মণ্ডপ প্রাঙ্গণ।
advertisement
6/6
উদ্যোক্তাদের অন্যতম সুশান্ত সাহু বলেন, “৫০ বছর পূর্ণ করতে পেরে আমরা সত্যিই গর্বিত। এলাকার মানুষ আমাদের সঙ্গে সবসময় থেকেছেন বলেই এতদূর আসা সম্ভব হয়েছে। এবছর বিশেষ পরিকল্পনা হলো মায়ের স্থায়ী মন্দির নির্মাণ। আগামী প্রজন্মও যাতে এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে পারে, সেটাই আমাদের লক্ষ্য। শুধু উৎসব নয়, এই পুজো মানুষকে একত্রিত করে ভক্তি, মিলন আর আনন্দের আবহে। আমরা বিশ্বাস করি, দর্শনার্থীদের ভালবাসা আর আশীর্বাদ আমাদের আগামী দিনেও পথ দেখাবে।” (তথ্য ও ছবি : মদন মাইতি)
উদ্যোক্তাদের অন্যতম সুশান্ত সাহু বলেন, “৫০ বছর পূর্ণ করতে পেরে আমরা সত্যিই গর্বিত। এলাকার মানুষ আমাদের সঙ্গে সবসময় থেকেছেন বলেই এতদূর আসা সম্ভব হয়েছে। এবছর বিশেষ পরিকল্পনা হলো মায়ের স্থায়ী মন্দির নির্মাণ। আগামী প্রজন্মও যাতে এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে পারে, সেটাই আমাদের লক্ষ্য। শুধু উৎসব নয়, এই পুজো মানুষকে একত্রিত করে ভক্তি, মিলন আর আনন্দের আবহে। আমরা বিশ্বাস করি, দর্শনার্থীদের ভালবাসা আর আশীর্বাদ আমাদের আগামী দিনেও পথ দেখাবে।” (তথ্য ও ছবি : মদন মাইতি)
advertisement
advertisement
advertisement