East Bardhaman News: ১২ বছর পর মহাসমারোহে নিরঞ্জন! ৩০০ বছরের প্রথা মেনে বেত্রাগড় গ্রামে আজও দেবী শীতলার পুজো অনন্য

দেবী শীতলাকে এখানে পুজো করা হয় জগদ্ধাত্রী রূপে।আজ থেকে প্রায় সাড়ে ৩০০ বছর আগে স্বপ্নাদেশ পেয়ে শুরু হয় পুজো এবং দেবী প্রতিমা বিসর্জন করা হয় ১২ বছর অন্তর।৩০০ বছরের পুরনো দেবীর শীতলা বিসর্জন উপলক্ষ্যে হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের বেত্রাগড় গ্রামে। (ছবি ও তথ্য: সায়নী সরকার)

আজ থেকে প্রায় ৩০০ বছর আগে রায় বংশের এক পূর্ব পুরুষ দেবীর স্বপ্নাদেশ পান এবং পুকুর থেকে উদ্ধার করেন দেবীর শিলা মূর্তি।তারপর স্বপ্নাদেশে দেবী জানান, তিনি মা শীতলা তাকে মৃন্ময়ী মূর্তিতে জগদ্ধাত্রী রূপে পুজো করার কথা এবং প্রতি ১২ বছর অন্তর দেবী প্রতিমা বিসর্জন নির্দেশ দেন।

রায় পরিবারের বর্তমান সদস্য কৃষ্ণেন্দু রায় বলেন, প্রথা মেনে ঠিক ১২ বছর পর আজ মাকে নিরঞ্জন করা হচ্ছে।রায় বংশের পূর্বপুরুষকে স্বপ্নাদেশ দেন মা। মায়ের পুকুর থেকে মায়ের শিলা মূর্তি উদ্ধার হয়। যা আজও সিংহাসনে রেখে পুজো করা হয়। মায়ের নির্দেশেই মায়ের জগদ্ধাত্রী রূপে মাটির মূর্তি বানানো হয় এবং ১২ বছর অন্তর মায়ের বিসর্জন করা হয়।

তিনি আরও বলেন, সকালে বিশেষ পুজো করে মাকে নিরঞ্জনের উদ্দেশ্যে নামিয়ে বরণ করে গোটা গ্রাম পরিক্রমা করিয়ে মায়ের নিজের পুকুরে বিসর্জন দেওয়া হবে। এই উপলক্ষ্যে আজ হাজার হাজার ভক্ত সমাগম হয় ও মায়ের ভোগ খাওয়ানো হয়। মায়ের বিসর্জন উপলক্ষ্যে গোটা গ্রামে এক উৎসবের আমেজ তৈরি হয়েছে।

জামালপুরবাসী তথা তৃণমূলের ব্লক সভাপতি মেহেমুদ খাঁন বলেন, মা সবার। ধর্ম যার যার উৎসব সবার।মায়ের কাছে ব্লকের সমস্ত মানুষের মঙ্গল কামনা করি।(ছবি ও তথ্য: সায়নী সরকার)