Durga Puja 2025: রঘুনাথগঞ্জের বহুরা গ্রামে কোদাখাকি দুর্গাপুজো ৬০০ বছরের পুরনো, প্রাচীন এই পুজোর গল্প জানলে গর্ব হবে!

Last Updated:
Durga Puja 2025: বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের আদি বাসস্থান ছিল সাগরদিঘির মণিগ্রামে। বিশেষ কারণে বহুকাল আগে ওই পরিবার সাগরদিঘি থেকে চলে আসেন বহুরায়। পরিবারের সদস্যরা এখনও এই পুজো চালিয়ে যাচ্ছেন।
1/7
রঘুনাথগঞ্জ, তন্ময় মণ্ডল: মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জের লক্ষ্মী জনার্দনপুরের বহুরা গ্রামের বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের পুজো আজও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অন্যতম নজির। কথিত আছে, প্রায় ৬০০ বছরের প্রাচীন কোদাখাকি দুর্গাপুজো। ১৪ দিন আগে ঘট বসিয়ে চণ্ডীপাঠ করে পুজো শুরু হয়।
রঘুনাথগঞ্জ, তন্ময় মণ্ডল : মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জের লক্ষ্মী জনার্দনপুরের বহুরা গ্রামের বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের পুজো আজও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অন্যতম নজির। কথিত আছে, প্রায় ৬০০ বছরের প্রাচীন কোদাখাকি দুর্গাপুজো। ১৪ দিন আগে ঘট বসিয়ে চণ্ডীপাঠ করে পুজো শুরু হয়।
advertisement
2/7
মায়ের ভোগে কাউনের চাল আবশ্যিক। সেখান থেকে নাম কোদাখাকি। সন্ধ্যায় কোনও আরতি হয় না। সন্ধিপুজোর সময় কোনও সময় দেখা হয় না। প্রদীপের শিখা ঠিক উত্তর থেকে দক্ষিণ দিকে ঘুরলে তখনই সন্ধিপুজো শুরু হয়। এমনকি এখানে কারওর অঞ্জলি দেওয়ার রীতি নেই। ছবি ও তথ্যঃ তন্ময় মণ্ডল।
মায়ের ভোগে কাউনের চাল আবশ্যিক। সেখান থেকে নাম কোদাখাকি। সন্ধ্যায় কোনও আরতি হয় না। সন্ধিপুজোর সময় কোনও সময় দেখা হয় না। প্রদীপের শিখা ঠিক উত্তর থেকে দক্ষিণ দিকে ঘুরলে তখনই সন্ধিপুজো শুরু হয়। এমনকি এখানে কারওর অঞ্জলি দেওয়ার রীতি নেই। ছবি ও তথ্যঃ তন্ময় মণ্ডল।
advertisement
3/7
বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের আদি বাসস্থান ছিল সাগরদিঘির মণিগ্রামে। বিশেষ কারণে বহুকাল আগে ওই পরিবার সাগরদিঘি থেকে চলে আসেন বহুরায়। পরিবারের সদস্যরা এখনও এই পুজো চালিয়ে যাচ্ছেন। ছবি ও তথ্যঃ তন্ময় মণ্ডল।
বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের আদি বাসস্থান ছিল সাগরদিঘির মণিগ্রামে। বিশেষ কারণে বহুকাল আগে ওই পরিবার সাগরদিঘি থেকে চলে আসেন বহুরায়। পরিবারের সদস্যরা এখনও এই পুজো চালিয়ে যাচ্ছেন। ছবি ও তথ্যঃ তন্ময় মণ্ডল।
advertisement
4/7
কথিত আছে, একবার পুজোর আগে ভয়াবহ বন্যায় সব ভেসে যায়। প্রজারা কোনও কর দিতে পারেননি। সেবার পুজো করার সামর্থ্য ছিল না বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের। লক্ষ্মী জনার্দনপুরে কাউনের চাল হয়েছে। সেই চালের ভোগ দিয়েই পুজো হবে। সঙ্গে থাকবে কাঁঠাল, ডাঁটা ও গঙ্গার ইলিশ মাছ। কাউন বা কোদার চাল খেয়েছিল বলেই এই পরিবারের দুর্গা কোদাখাকি নামেই পরিচিত। ছবি ও তথ্যঃ তন্ময় মন্ডল।
কথিত আছে, একবার পুজোর আগে ভয়াবহ বন্যায় সব ভেসে যায়। প্রজারা কোনও কর দিতে পারেননি। সেবার পুজো করার সামর্থ্য ছিল না বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের। লক্ষ্মী জনার্দনপুরে কাউনের চাল হয়েছে। সেই চালের ভোগ দিয়েই পুজো হবে। সঙ্গে থাকবে কাঁঠাল, ডাঁটা ও গঙ্গার ইলিশ মাছ। কাউন বা কোদার চাল খেয়েছিল বলেই এই পরিবারের দুর্গা কোদাখাকি নামেই পরিচিত। ছবি ও তথ্যঃ তন্ময় মন্ডল।
advertisement
5/7
প্রতি বছর দেবীর প্রতিমা তৈরির সময় প্রতিমাকে একটি করে শাঁখা ও নোয়া দিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। দেবীর গায়ে মাটি পড়লে তখনই শাঁখা এবং নোয়া পড়িয়ে দেওয়া হতো। পরবর্তীতে কোনও না কোনও পরিবার দেবীর কাছে কিছু না কিছু দান করছেন। ছবি ও তথ্যঃ তন্ময় মন্ডল।
প্রতি বছর দেবীর প্রতিমা তৈরির সময় প্রতিমাকে একটি করে শাঁখা ও নোয়া দিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। দেবীর গায়ে মাটি পড়লে তখনই শাঁখা এবং নোয়া পড়িয়ে দেওয়া হতো। পরবর্তীতে কোনও না কোনও পরিবার দেবীর কাছে কিছু না কিছু দান করছেন। ছবি ও তথ্যঃ তন্ময় মন্ডল।
advertisement
6/7
পরিবারের অষ্টম পুরুষ স্বপন বন্দোপাধ্যায় বলেন, ষোড়শ শতাব্দীতে আমাদের পুজোর শুরু হয়। অযোধ্যা থেকে আগত পুরোহিত আমরা। বল্লাল সেনের কাছ থেকে জায়গা পায় আমরা। তিনটি মহলার অধিকার পায় আমরা। মোট ৪৭০০ বিঘার সম্পত্তি ছিল আমাদের। আমাদের পুজোর এখনও কিছু রেওয়াজ আছে। ছবি ও তথ্যঃ তন্ময় মন্ডল।
পরিবারের অষ্টম পুরুষ স্বপন বন্দোপাধ্যায় বলেন, ষোড়শ শতাব্দীতে আমাদের পুজোর শুরু হয়। অযোধ্যা থেকে আগত পুরোহিত আমরা। বল্লাল সেনের কাছ থেকে জায়গা পায় আমরা। তিনটি মহলার অধিকার পায় আমরা। মোট ৪৭০০ বিঘার সম্পত্তি ছিল আমাদের। আমাদের পুজোর এখনও কিছু রেওয়াজ আছে। ছবি ও তথ্যঃ তন্ময় মন্ডল।
advertisement
7/7
১৪ দিন আগে ঘট বসিয়ে চণ্ডীপাঠ করে পুজো শুরু হয়। মায়ের ভোগে কাউনের চাল আবশ্যিক। সেখান থেকে নাম কোদাখাকি। সন্ধ্যায় কোনও আরতি হয় না। সন্ধিপুজোর সময় কোনও সময় দেখা হয়না। প্রদীপের শিখা ঠিক উত্তর থেকে দক্ষিণ দিকে ঘুরলে তখনই সন্ধিপুজো শুরু হয়। এখানে অঞ্জলি দেওয়ার রীতি নেই। তন্ত্র মতে পুজো হয়। মায়ের মূর্তির যে ধরণ, তাঁকে নটরাজ মূর্তি বলা হয়। পুজো দেখতে ভিড় জমান বহু সাধারণ মানুষ ।ছবি ও তথ্যঃ তন্ময় মন্ডল।
১৪ দিন আগে ঘট বসিয়ে চণ্ডীপাঠ করে পুজো শুরু হয়। মায়ের ভোগে কাউনের চাল আবশ্যিক। সেখান থেকে নাম কোদাখাকি। সন্ধ্যায় কোনও আরতি হয় না। সন্ধিপুজোর সময় কোনও সময় দেখা হয়না। প্রদীপের শিখা ঠিক উত্তর থেকে দক্ষিণ দিকে ঘুরলে তখনই সন্ধিপুজো শুরু হয়। এখানে অঞ্জলি দেওয়ার রীতি নেই। তন্ত্র মতে পুজো হয়। মায়ের মূর্তির যে ধরণ, তাঁকে নটরাজ মূর্তি বলা হয়। পুজো দেখতে ভিড় জমান বহু সাধারণ মানুষ ।ছবি ও তথ্যঃ তন্ময় মন্ডল।
advertisement
advertisement
advertisement