Drone Recovred From Bengal Border: বাংলাদেশও কি এবার নজরদারিতে নেমেছে, ভারত-পাক আবহের মধ্যে বাংলার সীমান্ত এলাকা থেকে ড্রোন, চাঞ্চল্যকর তথ্য
- Published by:Debalina Datta
- hyperlocal
- Reported by:Koushik Adhikary
Last Updated:
Drone Recovred From Bengal Border: ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের আবহে মুর্শিদাবাদে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে উদ্ধার ড্রোন! চাঞ্চল্য
মুর্শিদাবাদ: বর্তমানে ভারত-পাকিস্তান সাম্প্রতিক অশান্তির আবহে মুর্শিদাবাদের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন নিমতিতার দুর্গাপুর-বরোজডিহি গ্রামে শনিবার ভোর রাতে একটি ড্রোন উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে সামশেরগঞ্জ থানার অন্তর্গত নিমতিতা গ্রাম পঞ্চায়েতের দুর্গাপুর-বরোজডিহি গ্রামে কিছু যুবক মাঠের পাশে বসে গল্প করছিল। সেই সময়ে ওই গ্রামের বাসিন্দা জনৈক পলাশ নামে বছর পঁয়ত্রিশের এক ব্যক্তি ভুট্টার জমির পাশে পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি ড্রোন পড়ে থাকতে দেখেন।
advertisement
advertisement
এই ঘটনায় জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার অমিত কুমার সাউ বলেন,' উদ্ধার হওয়া ড্রোনটি কোথা থেকে এসেছে পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে। ড্রোনটি পরীক্ষা করার জন্য বিএসএফ নিয়ে গিয়েছে।'নিমতিতা গ্রাম পঞ্চায়েতে স্থানীয় সদস্য আনসারুল হোসেন বলেন,' পলাশ নামের ওই ব্যক্তি ড্রোনটি নিজের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই এলাকায় ড্রোন উদ্ধারের খবর ছড়িয়ে পড়ে। এরপর স্থানীয় পঞ্চায়েতের তরফ থেকে উপ প্রধান অলক দাস এবং আমি ওই যুবকের বাড়িতে যাই ড্রোনটিকে দেখার জন্য।' তিনি জানান,' এলাকায় ড্রোন উদ্ধার হয়েছে এই খবর ছড়িয়ে পড়তে বেশিক্ষণ সময় লাগেনি। প্রচুর মানুষ কিছুক্ষণের মধ্যেই পলাশবাবুর বাড়ির সামনে জড়ো হয়ে যান।
advertisement
ঘটনার খবর দেওয়া হয় সামশেরগঞ্জ থানা এবং বিএসএফ আধিকারিকদের। এরপর নিমতিতা ক্যাম্প থেকে বিএসএফ আধিকারিকেরা এসে ড্রোনটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নিজেদের হেফাজতে নেন।'স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী সামশেরগঞ্জ থানার অন্তর্গত দুর্গাপুর-বরোজডিহি এই রাজ্যের শেষ গ্রাম। এর পরই গঙ্গা নদী এবং তারপর বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানা এলাকা।
advertisement
স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, যে এলাকায় পরিত্যক্ত অবস্থায় ড্রোনটি উদ্ধার হয়েছে তার খুব কাছেই রয়েছে নিমতিতা বিএসএফ ক্যাম্প। ড্রোনটিকে হাতে নিয়ে পরীক্ষা করে একাধিক গ্রামবাসী দাবি করেছেন ওই ড্রোনের মধ্যে কমপক্ষে ৫-৬ টি ক্যামেরা রয়েছে। কিন্তু কীভাবে ড্রোনটি বরোজডিহি গ্রামে এসে পৌঁছালো তা কেউই বুঝে উঠতে পারছেন না।
advertisement
যদিও সামসেরগঞ্জ থানার এক আধিকারিক জানিয়েছেন ,রবিবার এক যুবক ড্রোনটি নিজের বলে দাবি করেছেন। ড্রোনটি কী কারণে সীমান্তবর্তী এলাকায় ওড়ানো হচ্ছিলো এবং ওই যুবকের ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোনের যাবতীয় রেকর্ড খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদিও দুর্গাপুর-বরোজডিহি গ্রামের অনেক বাসিন্দা সন্দেহ করছেন রাতের অন্ধকারে গোপনে চরবৃত্তি করার জন্য ড্রোনটিকে ব্যবহার করা হচ্ছিল। আবার অনেকেই আশঙ্কা করছেন সম্ভবত সীমান্তবর্তী প্রতিবেশীর রাষ্ট্র বাংলাদেশ থেকে ড্রোনটি উড়ে এসেছিলো।
advertisement
তাদের ধারণা ড্রোনটি কন্ট্রোল ইউনিটের রেঞ্জের বাইরে চলে যাওয়ার জন্য সেটিকে সঠিক জায়গায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। ড্রোনটির মডেল ,তার কার্যক্ষমতা এবং অন্যান্য বিস্তারিত বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যেই বিএসএফের তরফ থেকে খোঁজখবর নেওয়া শুরু হয়েছে। পাশাপাশি ফরেন্সিক রিপোর্ট এলেই বোঝা যাবে কি কারণে এই ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে। Input- Kaushik Adhikary