Bank News: দু'সপ্তাহে তুলে নেওয়া হল কোটি কোটি কোটি টাকা! ভল্ট খালি ব্যাঙ্কের, চিন্তায় কর্তৃপক্ষ
- Published by:Ratnadeep Ray
- hyperlocal
- Reported by:Ranjan Chanda
Last Updated:
Bank News: মাত্র দু'সপ্তাহ, সমবায় ব্যাঙ্ক থেকে তুলে নেওয়া হল টাকা, সংখ্যাটা কম নয়, প্রায় দু'কোটি টাকা। প্রায় খালি সমবায় ব্যাঙ্ক। জেলা জুড়ে বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। একটি ঘটনাকে ঘিরে গ্রাহকদের মধ্যে বেশ আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
পশ্চিম মেদিনীপুর: মাত্র দু'সপ্তাহ, সমবায় ব্যাঙ্ক থেকে তুলে নেওয়া হল টাকা, সংখ্যাটা কম নয়, প্রায় দু'কোটি টাকা। প্রায় খালি সমবায় ব্যাঙ্ক। জেলা জুড়ে বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। একটি ঘটনাকে ঘিরে গ্রাহকদের মধ্যে বেশ আতঙ্ক ছড়িয়েছে। টাকা তোলার হিড়িক জেলার এই সমবায় ব্যাঙ্কে। ঘটনাটি দাসপুর থানার অধীন গৌরা সমবায় সমিতি তথা সমবায় ব্যাঙ্কের। অবাক ওই সমবায় ব্যাঙ্কের ম্যানেজার থেকে সকলে। প্রায় ১৫ দিন আগে একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই চাঞ্চল্য ছড়ায়। জানা গিয়েছে, সমবায় ব্যাঙ্কের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। অভিযোগ, বিরোধীদের মনোনয়ন করতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আর এই ঘটনাকে ঘিরে পুলিশে অভিযোগও হয়। এরপরই ভরসা না রাখতে পেরে লাইন দিয়ে টাকা তুলে নিচ্ছেন গ্রাহকরা। Representative Image
advertisement
পশ্চিম মেদিনীপুরের সেই সমবায় ব্যাঙ্ক থেকেই টাকা তোলার হিড়িক। মাত্র দু'সপ্তাহে দু'কোটি টাকার বেশি তুলে নিলেন গ্রাহকরা। যদিও বিরোধীদের দাবি, গত এক সপ্তাহেই প্রায় দু'কোটি টাকা তোলা হয়েছে। এই নিয়ে বেশ চিন্তায় ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। ব্যাঙ্ক সূত্রে জানানো হয়েছে, "গ্রাহকদের কোনওভাবেই আশ্বস্ত করতে পারছি না!" এইভাবে চলতে থাকলে অচিরেই যে লাটে উঠবে এই ব্যাঙ্ক, তা নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। Representative Image
advertisement
অন্যদিকে, গ্রাহকরা বলেন, "কোন ভরসায় টাকা রাখব! যেখানে নির্বাচনের জন্য বিরোধীদের মনোনয়নই করতে দেওয়া হল না; সেখানে আমাদের টাকা যে সুরক্ষিত থাকবে, তার কী নিশ্চয়তা আছে!" প্রসঙ্গত, গত ১৭ ও ১৮ জুন এই সমবায় সমিতির নির্বাচনের মনোনয়ন পর্ব ছিল। আর মনোনয়নকে ঘিরেই ধুন্ধুমার বেঁধে যায় শাসক-বিরোধী দুই গোষ্ঠীর মধ্যে। পুলিশের তরফেও বিরোধীদের আটকানো হয় বলে অভিযোগ। শেষমেশ এই ব্যাঙ্কের ৫৩টি আসনেই কেবলমাত্র তৃণমূল প্রার্থীরাই মনোনয়ন বা মনোনয়ন জমা দেন। Representative Image
advertisement
আর এই ঘটনার পর থেকেই অর্থাৎ ১৯ জুন থেকে ওই সমবায় ব্যাঙ্কের গ্রাহকরা দলে দলে গিয়ে নিজেদের সেভিংস অ্যাকাউন্টে থাকা টাকা তুলে নিচ্ছেন। লাইন দিয়ে টাকা তোলার হিড়িক দেখে মাথায় হাত সমবায় ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের। বাধ্য হয়েই ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ নিয়ম করেছেন, একসঙ্গে কুড়ি হাজার টাকার বেশি তোলা যাবে না। যদিও, কর্তৃপক্ষের সেই দাবি মানতে রাজি নন গ্রাহকরা। অমর পাখিরা, বানেশ্বর রানা প্রমুখ গ্রাহকরা বলেন, "আতঙ্কে আমরা টাকা তুলে নিচ্ছি। কোন ভরসায় টাকা রাখব! যেখানে বিরোধীদের মনোনয়নই তুলতে দেওয়া হয়নি। মনোনয়নকে ঘিরে মারধর, অশান্তি হয়! সেখানে আমরা আমাদের টাকা কোন ভরসায় গচ্ছিত রাখব? আমাদের টাকা যে সুরক্ষিত থাকবে, তার কোনও নিশ্চয়তা নেই!" Representative Image
advertisement
জানা গিয়েছে, প্রায় দু'সপ্তাহেই দু'কোটি টাকার বেশি তোলা হয়েছে। প্রতিদিন লাইন দিয়ে মানুষ টাকা তুলে নিচ্ছেন গ্রাহকরা। ব্যাঙ্কের ম্যানেজার সৈকত জানা বলেন, "এটা ঠিক, গ্রাহকদের মধ্যে একটা আতঙ্ক কাজ করছে। তাই তাঁদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করলেও, তাঁরা কথা শুনছেন না। ১৯ জুনের পর থেকে শুক্রবার (৪ জুলাই) অবধি দু'কোটি টাকার বেশি তুলে নিয়েছেন।" স্বাভাবিকভাবেই বেশ সমস্যায় পড়েছে গ্রামের এই সমবায় ব্যাঙ্ক। Representative Image