Cyclone Montha Update: দানবের গতিতে ১১০ কিমি বেগে আসছে ‘সিভিয়ার সাইক্লোন’ মন্থা, ভয়ঙ্কর ঝড়-বৃষ্টিতে তছনছ হবে কোন কোন জেলা? এল আবহাওয়ার বড় খবর

বঙ্গোপসাগরের উপর দিয়ে স্থলভাগের দিকে এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’। মঙ্গলবার রাতে সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্ট্রম বা তীব্র ঘূর্ণিঝড় হিসেবেই এটি ল্যান্ডফল করবে অন্ধ্রপ্রদেশের মছলিপত্তনম থেকে কলিঙ্গপত্তনমের মাঝে। সেই সময় এর গতিবেগ হবে সর্বোচ্চ ১১০ কিলোমিটার।

এরপর এটি গভীর নিম্নচাপ হিসেবে ছত্রিশগড় পর্যন্ত পৌঁছবে। তারপরেও নিম্নচাপ এলাকায় হিসেবে বিহার ঝাড়খন্ড সহ সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান। রাতেই অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে।

পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে তীব্র ঘূর্ণিঝড় মন্থা। বিশাখাপত্তনম থেকে ৩২০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ পশ্চিম দিকে অবস্থান। কাকিনাড়া থেকে ২৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ পূর্ব দিকে। অভিমুখ উত্তর ও উত্তর পশ্চিম দিক।

আইএমডি সূত্রে খবর, মন্থার দাপটে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি এবং বজ্রপাতের পূর্বাভাস রয়েছে।

যদিও কলকাতা সরাসরি ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়বে না, তবুও সপ্তাহজুড়ে হালকা বৃষ্টি অথবা বজ্রপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ২৮ এবং ২৯ অক্টোবর দক্ষিণবঙ্গে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গ তুলনামূলকভাবে শুষ্ক থাকবে, শুধুমাত্র দার্জিলিং এবং কালিম্পং-এ হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।

বঙ্গোপসাগরে, ৮০-১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যার ফলে সমুদ্রের পরিস্থিতি অত্যন্ত উত্তাল হয়ে উঠবে।

২৮ থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ উপকূল বরাবর এবং এর বাইরে সমুদ্রে না যাওয়ার জন্য মৎস্যজীবীদের কঠোরভাবে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কলকাতা এবং হলদিয়া বন্দরে ২ নম্বর দূরবর্তী সতর্কীকরণ সংকেত দেখানো হয়েছে, এবং সাগর দ্বীপে বিভাগীয় সঙ্কেত জারি করা হয়েছে।

সোমবার সকাল ৮:৩০ নাগাদ, ঘূর্ণিঝড়টি চেন্নাই থেকে ৫২০ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণ-পূর্বে এবং কাকিনাড়া থেকে ৫৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পূর্বে কেন্দ্রীভূত ছিল।