CPIM Leader Passed Away: প্রয়াত CPIM-র 'দাপুটে' রাজনীতিবিদ, শোকের ছায়া সব মহলে, জেলার জন্য প্রাণ দিয়ে করেছেন প্রচুর কাজ, বিতর্কও ছিল সঙ্গী
- Published by:Debalina Datta
- hyperlocal
- Reported by:Ranjan Chanda
Last Updated:
CPIM Leader Passed Away: টানা দু'দশক ধরে জেলা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন, মেদিনীপুরের একাধিক উন্নয়ন, প্রয়াত 'দাপুটে' রাজনীতিবিদ
পশ্চিম মেদিনীপুর : তার রাজনৈতিক জীবনে মেদিনীপুরে ঘটেছে একাধিক ঘটনা। বিতর্ক যেন কখনই পিছু ছাড়েনি এই রাজনৈতিক নেতৃত্ব থেকে। তবুও বরাবর সহজ সরল জীবন যাপনে অভ্যস্ত ছিলেন তিনি। মাথায় পাকা সাদা চুল, বরাবরই সাদা পাঞ্জাবি আর হাফ কোর্টে থাকতে পছন্দ করতেন বেশি। একাধিকবার জেলা সম্পাদকের পদ সামলেছেন। দল অন্ত প্রাণ ছিলেন তিনি। বরাবর মেনে চলেছেন দলের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বদের আদেশ। তবে শোকসংবাদ। প্রয়াত হলেন প্রবীণ বামপন্থী নেতা দীপক সরকার।
advertisement
মেদিনীপুর জুড়ে শোকের আবহ। রাজনৈতিক দল নির্বিশেষে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন অন্যান্য দলের নেতৃত্বরা। একাধিকবার এবং দীর্ঘ সময় ধরে অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলায় সিপিএমের জেলা সম্পাদকের পদ সামলেছিলেন তিনি। ছিলেন রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীতেও। সোমবার রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।মেদিনীপুর শহরের বিধাননগরে নিজের বাস ভবনে রাত ১১টা ১৫ মিনিট নাগাদ শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন এক কালের বহু চর্চিত নেতা তথা অধ্যাপক দীপক সরকার।
advertisement
রাজনৈতিক জীবনে ‘দাপুটে’ নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, মেদিনীপুর কলেজের প্রাক্তন অধ্যাপকও ছিলেন দীপক সরকার। দলের জেলা নেতৃত্ব সূত্রে খবর, বার্ধক্যজনিত কারণেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। শুধু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে নয়, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ, স্পোর্টস ডেভলপমেন্ট অ্যাকাডেমি তৈরির ক্ষেত্রে তাঁর বিশেষ অবদান ছিল। শহিদ ক্ষুদিরাম পরিকল্পনা ভবন ও বিদ্যাসাগর ইনস্টিটিউট-ও গড়ে উঠেছিল তাঁর প্রচেষ্টায়, তেমনই মনে করেন মেদিনীপুরের মানুষ। নিয়মানুবর্তিতার জন্যও তিনি বিশেষ পরিচিত ছিলেন। এককালে জেলার প্রাইমারি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানও ছিলেন।
advertisement
সিপিআইএম সূত্রে খবর, ১৯৯২ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত, টানা ২৩ বছর সিপিআইএমের জেলা সম্পাদকের দায়িত্ব সামলেছেন দীপক সরকার। পরে দলের রাজ্য সম্পাদক মন্ডলীর সদস্যও হন তিনি। ২০১৫ সালে জেলা সম্পাদকের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। ২০২২ সালে রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হয় তাকে। তাঁর প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে মেদিনীপুর শহরে। দল সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত জেলার দলীয় কার্যালয়ে তাঁর মরদেহ রাখা হবে। শেষ শ্রদ্ধা জানাবেন শহর তথা জেলার বাম নেতৃত্ব-কর্মী সমর্থকেরা। তার পরে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে দেহ দান করা হবে।
advertisement
প্রসঙ্গত, এক সময়ে কলেজে পড়াতেন দীপক সরকার। পরে যোগ দেন রাজনীতিতে। রাজ্য রাজনীতির অন্যতম বর্ণময় চরিত্র অধ্যাপক দীপক সরকার। রাজনৈতিক জীবনী যেন বিতর্ক তার পিছু ছাড়ত না। তার আমলে চমকাইতলা, কেশপুর সহ একাধিক জায়গায় বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের উপর আক্রমণের অভিযোগ তুলেছিল বিরোধীরা। তবে সর্বদা দলের নির্দেশ মেনে চলতেন তিনি। তবে দীপক যুগের অবসান, রাজনৈতিক নক্ষত্রকে হারাল মেদিনীপুর বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। Input- Ranjan Chanda