হাতে লাল বড় ব্যাগ, সঙ্গে দু-প্যাকেট মুড়ি! বীরভূম সফরে মুখ্যমন্ত্রী! দিদির হাতে আর কী তুলে দিলেন অনুব্রত মণ্ডল? জানুন

*একদা বীরভূম জেলার রাজ্য রাজনীতিতে কেষ্ট মণ্ডলের রাজত্ব ছিল জেলা জুড়ে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক সময় বীরভূম সফরে এসেছেন এবং সব সময় পাশে ছিলেন ছায়াসঙ্গী হিসাবে অনুব্রত মণ্ডল। আর সামনেই বিধানসভা নির্বাচন আর এই নির্বাচনের আগে বীরভূম সফরে এসেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

*বীরভূমের বোলপুর শহরে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর মুখ্যমন্ত্রী এসে পৌঁছানোর পরেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে প্রায় ২৫ মিনিট ধরে কথা বলেন তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্ট। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বীরভূমের চপ মুড়ি খেতে ভালবাসেন, আর সেই কারণেই মুখ্যমন্ত্রীর হাতে বীরভূমের লাল মাটির জেলার মুড়ি এবং চপ তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রীর ভাই অনুব্রত মণ্ডল।

*ইতিমধ্যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বোলপুর শহরের গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহে এসে উপস্থিত হয়েছেন। কর্মীদের সঙ্গে প্রশাসনিক বৈঠকের পর টুরিস্ট লজের মোড় থেকে শান্তিনিকেতন শ্রীনিকেতন রোড হয়ে প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার পথ হাঁটবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

*অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠদের সূত্রে জানা গিয়েছে, "মুখ্যমন্ত্রী যখনই বীরভূম সফরে আসেন, অনুব্রত মণ্ডল মুখ্যমন্ত্রীর হাতে চপ-মুড়ি তুলে দেন, তার আগেও মুখ্যমন্ত্রী যখন ট্রেনে করে বোলপুর যাচ্ছিলেন, তখনও মুখ্যমন্ত্রীর হাতে চপ মুড়ি তুলে দিয়েছিলেন অনুব্রত। এইবারেও যদিও তার অন্যথা হয়নি।"

*রাত আট'টা নাগাদ নেত্রীর পছন্দের চপ-মুড়ি নিয়ে রাঙাবিতান পৌঁছে যান তিনি। সেখানে মমতার সঙ্গে তাঁর প্রায় আধঘন্টা কথা হয় তাঁর। তবে কী বিষয়ে কথা, তা নিয়ে একটি শব্দও উচ্চারণ করেননি অনুব্রত মণ্ডল। তবে সূত্রের খবর, এদিন নানুরে ফিরহাদ হাকিম, মলয় ঘটকদের তত্বাবধানে সভা কেমন হল, স্থানীয় নেতৃত্বের কাছে সেই খোঁজখবর নিয়েছেন মমতা।