Illegal Sonajhuri Haat: কেটে ফেলা হচ্ছে গাছ, রিসর্টের সংখ্যা বেড়েই চলেছে, পরিবেশ ধ্বংস! 'বেআইনিভাবে' চলছে সোনাঝুরির হাট! এবারে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে?
- Published by:Shubhagata Dey
- hyperlocal
- Reported by:Souvik Roy
Last Updated:
Illegal Sonajhuri Haat: ২০১৬-২০১৭ সাল থেকে সোনাঝুরির হাট বৃহৎ আকার ধারণ করে। বর্তমানে প্রায় ১৮০০-১৯০০ দোকান বসে হাটে৷ তাদের কাছ থেকে টাকাও নেওয়া হয়। তাহলে কী এবার বন্ধ হতে চলেছে এই হাট?
*বীরভূম,সৌভিক রায়: বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বোলপুর শান্তিনিকেতনের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র হস্তশিল্পীদের সোনাঝুরির খোয়াই হাট নিয়েই উদ্বিগ্ন জাতীয় পরিবেশ আদালত। বোলপুরে পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত জানান, বন দফতরের জায়গায় শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরি হস্তশিল্পীদের হাট সম্পূর্ণ বেআইনি। বন দফতরের আইন অনুযায়ী বনাঞ্চলে বাণিজ্যিক কাজকর্ম করা যায় না। হাজার হাজার ব্যবসায়ী পসরা সাজিয়ে দোকান বসানোয় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে সোনাঝুরি জঙ্গলের পরিবেশ।
advertisement
*এই হাট 'বেআইনি' মামলায় পরিবেশবিদ সুভাষ দত্তের অভিযোগগুলোকে জাতীয় পরিবেশ আদালত হলফনামা দিয়ে কার্যত মান্যতা দিয়েছে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ ও বনবিভাগ। হলফনামার দাবি অনুযায়ী, বন দফতরের জমি দখল করে যত্রতত্র গড়ে উঠেছে রিসর্ট। পরিবেশ দূষণ ঘটিয়ে ব্যবহার বাড়ছে প্লাস্টিকের। রাতের অন্ধকারে গাছ কেটে পার্কিং করারও অভিযোগ উঠেছে।
advertisement
পরিবেশবিদ সুভাষ তত্ত্বের অভিযোগ এই হাট বসার ক্ষেত্রে সরকারের কোন দপ্তর অনুমতি দিয়েছে তার কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি বনবিভাগ। এই সোনাঝুরির হাটের বৈধতা নিয়ে কোনও উত্তর নেই সরকারের কাছে। তবে কবে শুরু হয়েছিল এই সোনাঝুরির হাট? এই বিষয়ে জানা যায় সোনাঝুরি জঙ্গলের মধ্যে একটি শৈল্পিক হাটের সূচনা করেছিলেন আশ্রমিক শ্যামলী খাস্তগীর।ছবি ও তথ্য: সৌভিক রায়
advertisement
*নিছক কয়েকজন স্থানীয় আদিবাসী গ্রামের মানুষজন সপ্তাহে মাত্র একটি দিন, শনিবার নিজেদের হাতে তৈরি শিল্পকর্ম নিয়ে হাটে বসতেন৷ এই হাটের নাম ছিল 'খোয়াই হাট' বা 'শনিবারের হাট'। তবে দিন যত এগিয়েছে ততই এই হাটের গুরুত্ব বেড়েছে। বর্তমানে লক্ষ লক্ষ পর্যটক সারাবছর এই হাট ঘুরতে আসেন। এরপরেই ২০১৬-২০১৭ সাল থেকে এই হাট আরও বৃহৎ আকার ধারণ করে। বর্তমানে প্রায় ১৮০০-১৯০০ দোকান বসে হাটে৷ তাদের কাছ থেকে টাকাও নেওয়া হয়।
advertisement
*সেই টাকা সরকারের কোন খাতে জমা পড়ে কেউ জানে না। আর এই জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে দিন রাত দেদার চলেছে গাড়ি, আর তার ফলে জঙ্গলের গাছ নষ্ট হচ্ছে। নতুন করে আর গাছ জন্মাচ্ছে না। এই ধরনের সব বিষয় মিলিয়ে বন বিভাগের জায়গায় পরিবেশ ধ্বংস করে কেমন ভাবে ব্যবসায়িক হাট বসতে পারে, এই অভিযোগ তুলেছেন পরিবেশ কর্মী সুভাষ দত্ত। তবে তাহলে কী এবার বন্ধ হতে চলেছে এই হাট? যদিও তার উত্তর এখনও মেলেনি।