Birbhum Loba Kali: একসঙ্গে তিন কালীর নিরঞ্জন! প্রতিমা জলে নামতেই ঢাক, কাঁসর, শঙ্খধ্বনি! লোবার কালিভাসা পুকুরে ঐতিহ্যের ঢেউয়ে ভাসল সহস্র ভক্ত

Last Updated:
Birbhum Loba Kali: দুবরাজপুরের শতাব্দী প্রাচীন লোবাকালীর পুজো দীর্ঘদিন ধরে ভক্তি, উৎসব ও সামাজিক মিলনের প্রতীক। প্রতি বছর কালীপুজোর পরদিন বিকেলেই স্থানীয় কালিভাসা পুকুরে হয় দেবীর নিরঞ্জন। লোবাকালীর মন্দিরটি দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের আদলে নির্মিত।
1/5
দুবরাজপুরের শতাব্দী প্রাচীন লোবাকালীর পুজো দীর্ঘদিন ধরে ভক্তি, উৎসব ও সামাজিক মিলনের প্রতীক। প্রতি বছর কালীপুজোর পরদিন বিকেলেই স্থানীয় কালিভাসা পুকুরে হয় দেবীর নিরঞ্জন। শুধু লোবা নয়, পাশের বাবুপুর ও বরাড়ি গ্রামের কালীপ্রতিমাও একই দিনে বিসর্জিত হয়, যা তিন কালী একসঙ্গে বিসর্জনের ঐতিহ্যকে জীবন্ত রাখে। (ছবি ও তথ্য: সুদীপ্ত গড়াই)
দুবরাজপুরের শতাব্দী প্রাচীন লোবাকালীর পুজো দীর্ঘদিন ধরে ভক্তি, উৎসব ও সামাজিক মিলনের প্রতীক। প্রতি বছর কালীপুজোর পরদিন বিকেলেই স্থানীয় কালিভাসা পুকুরে হয় দেবীর নিরঞ্জন। শুধু লোবা নয়, পাশের বাবুপুর ও বরাড়ি গ্রামের কালীপ্রতিমাও একই দিনে বিসর্জিত হয়, যা তিন কালী একসঙ্গে বিসর্জনের ঐতিহ্যকে জীবন্ত রাখে। (ছবি ও তথ্য: সুদীপ্ত গড়াই)
advertisement
2/5
এই পুজোর অন্যতম বিশেষত্ব তিনটি প্রতিমার একত্রে বিসর্জন। স্থানীয়রা বিশ্বাস করেন, তিন দেবী তিন বোন। লোবা মা বড় বোন, বাবুপুরের মা মেজো বোন এবং বরাড়ির মা ছোট বোন। তাই বিসর্জনের দিনটিও হয়ে ওঠে এক পারিবারিক মিলনমেলা। দীপান্বিতা অমাবস্যার রাতে পুজো শেষে পরদিন সকাল থেকেই শুরু হয় ভাসানের প্রস্তুতি।
এই পুজোর অন্যতম বিশেষত্ব তিনটি প্রতিমার একত্রে বিসর্জন। স্থানীয়রা বিশ্বাস করেন, তিন দেবী তিন বোন। লোবা মা বড় বোন, বাবুপুরের মা মেজো বোন এবং বরাড়ির মা ছোট বোন। তাই বিসর্জনের দিনটিও হয়ে ওঠে এক পারিবারিক মিলনমেলা। দীপান্বিতা অমাবস্যার রাতে পুজো শেষে পরদিন সকাল থেকেই শুরু হয় ভাসানের প্রস্তুতি।
advertisement
3/5
বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ বাবুপুরের কালীকে কাঁধদোলায় আনা হয় লোবার মন্দিরে। এরপর বের করা হয় লোবার কালীকে। ঘোষ পরিবারের বাড়ির সামনে বসানো হয় বরণের আয়োজন। পরিবারের মেয়েরা মাকে বরণ করেন। স্থানীয়দের মতে, যুগ যুগ ধরে এই রীতিই চলে আসছে এবং এটি এখনও সমান উৎসাহে পালন করা হয়।
বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ বাবুপুরের কালীকে কাঁধদোলায় আনা হয় লোবার মন্দিরে। এরপর বের করা হয় লোবার কালীকে। ঘোষ পরিবারের বাড়ির সামনে বসানো হয় বরণের আয়োজন। পরিবারের মেয়েরা মাকে বরণ করেন। স্থানীয়দের মতে, যুগ যুগ ধরে এই রীতিই চলে আসছে এবং এটি এখনও সমান উৎসাহে পালন করা হয়।
advertisement
4/5
লোবাকালীর মন্দিরটি দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের আদলে নির্মিত। বিসর্জনের দিনে দুপুর থেকেই সেখানে জমে যায় হাজারো মানুষের ভিড়। কালিভাসা পুকুরের ধারে বসে এক দিনের মেলা, যেখানে থাকে দোকানপাট, খাবারের স্টল, আলো-সাজে উৎসবের আমেজ। সন্ধ্যা নাগাদ কাঁধে করে তিন প্রতিমাকে নিয়ে যাওয়া হয় পুকুরের ধারে, যেখানে হাজার হাজার মানুষ একসঙ্গে নিরঞ্জন প্রত্যক্ষ করেন।
লোবাকালীর মন্দিরটি দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের আদলে নির্মিত। বিসর্জনের দিনে দুপুর থেকেই সেখানে জমে যায় হাজারো মানুষের ভিড়। কালিভাসা পুকুরের ধারে বসে এক দিনের মেলা, যেখানে থাকে দোকানপাট, খাবারের স্টল, আলো-সাজে উৎসবের আমেজ। সন্ধ্যা নাগাদ কাঁধে করে তিন প্রতিমাকে নিয়ে যাওয়া হয় পুকুরের ধারে, যেখানে হাজার হাজার মানুষ একসঙ্গে নিরঞ্জন প্রত্যক্ষ করেন।
advertisement
5/5
প্রতিমা জলে নামার সঙ্গে সঙ্গে বাজে ঢাক, কাঁসর, শঙ্খধ্বনি। লোবার তিন কালী বিসর্জনের ঐতিহ্য স্থানীয়দের কাছে আজও গর্বের, যা দুবরাজপুরের সাংস্কৃতিক ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
প্রতিমা জলে নামার সঙ্গে সঙ্গে বাজে ঢাক, কাঁসর, শঙ্খধ্বনি। লোবার তিন কালী বিসর্জনের ঐতিহ্য স্থানীয়দের কাছে আজও গর্বের, যা দুবরাজপুরের সাংস্কৃতিক ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ। (ছবি ও তথ্য: সুদীপ্ত গড়াই)
advertisement
advertisement
advertisement