Bangla News: রাজবাড়ির দরজা দিয়ে ঢুকলেই ম্যাজিক! বাঁকুড়ায় 'টাইম মেশিন'! ম ম করছে পুজো পুজো গন্ধ, দেখেছেন?

Last Updated:
Bangla News: ২০০ বছর পুরনো ইতিহাস। পুজো চলে এসেছে! আর মাত্র মাস দুই। তার আগে বাঁকুড়া জেলায় দেখে নিন বনেদি বাড়ির পুজোর এই রাজবাড়ি। ঠিক যেন মনে হবে টাইম মেশিনে প্রবেশ করছেন।
1/6
পুজো চলে এসেছে! আর মাত্র মাস দুই। তার আগে বাঁকুড়া জেলায় দেখে নিন বনেদি বাড়ির পুজোর এই রাজবাড়ি। ঠিক যেন মনে হবে টাইম মেশিনে প্রবেশ করছেন। রাজবাড়ির বিরাট দরজা উন্মুক্ত আপনার জন্য। ভিতরে ঢুকলেই ম্যাজিক।
পুজো চলে এসেছে! আর মাত্র মাস দুই। তার আগে বাঁকুড়া জেলায় দেখে নিন বনেদি বাড়ির পুজোর এই রাজবাড়ি। ঠিক যেন মনে হবে টাইম মেশিনে প্রবেশ করছেন। রাজবাড়ির বিরাট দরজা উন্মুক্ত আপনার জন্য। ভিতরে ঢুকলেই ম্যাজিক।
advertisement
2/6
বিরাট দরজা দিয়ে প্রবেশ করে ভিতরে উন্মুক্ত রাজ দরবার। বাঁকুড়ার অযোধ্যা গ্রামের দেবোত্তর এস্টেট। একসময় বিশাল জমিদারি ছিল বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের। প্রায় ২০০ বছর আগে গরিব ব্রাহ্মণ নিমাই বন্দোপাধ্যায়ের চার ছেলের মেজ ছেলে রামমোহন বন্দ্যোপাধ্যায় কর্ম সংস্থানে বেরিয়ে পড়েন বাড়ি থেকে তারপর কাজ খুঁজতে খুঁজতে পৌঁছে যান শ্রীরামপুরের কুঠিয়াল সাহেবের বাড়িতে।
বিরাট দরজা দিয়ে প্রবেশ করে ভিতরে উন্মুক্ত রাজ দরবার। বাঁকুড়ার অযোধ্যা গ্রামের দেবোত্তর এস্টেট। একসময় বিশাল জমিদারি ছিল বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের। প্রায় ২০০ বছর আগে গরিব ব্রাহ্মণ নিমাই বন্দোপাধ্যায়ের চার ছেলের মেজ ছেলে রামমোহন বন্দ্যোপাধ্যায় কর্ম সংস্থানে বেরিয়ে পড়েন বাড়ি থেকে তারপর কাজ খুঁজতে খুঁজতে পৌঁছে যান শ্রীরামপুরের কুঠিয়াল সাহেবের বাড়িতে।
advertisement
3/6
এখানেই কাজ পেলেন, বিশ্বাস স্থাপন করলেন এবং কুঠীয়াল সাহেবের শেষ দিন পর্যন্ত পাশে ছিলেন রামমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়। রামমোহনের বিশ্বস্ততা দেখে কুঠিয়াল সাহেব নিজের বিশাল সম্পত্তির ৫০ শতাংশ দিয়ে দেন রামমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়কে। শুরু হয় বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের জমিদারি।
এখানেই কাজ পেলেন, বিশ্বাস স্থাপন করলেন এবং কুঠীয়াল সাহেবের শেষ দিন পর্যন্ত পাশে ছিলেন রামমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়। রামমোহনের বিশ্বস্ততা দেখে কুঠিয়াল সাহেব নিজের বিশাল সম্পত্তির ৫০ শতাংশ দিয়ে দেন রামমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়কে। শুরু হয় বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের জমিদারি।
advertisement
4/6
অযোধ্যা গ্রামকে মূল কেন্দ্র করে শুরু হয় বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের জমিদারি প্রথা। বিশাল প্রতিপত্তির সাথে বিস্তৃতি পায় বন্দোপাধ্যায় পরিবারের জমিদারি। প্রায় ১০৮ সসস্ত্র লাঠিয়াল পাহারা দিত এই সুবিশাল জমিদার বাড়ি। ইংরেজদের বিরুদ্ধে গিয়ে নীল চাষ প্রায় বন্ধ করে দেয় বন্দোপাধ্যায় পরিবার।
অযোধ্যা গ্রামকে মূল কেন্দ্র করে শুরু হয় বন্দোপাধ্যায় পরিবারের জমিদারি প্রথা। বিশাল প্রতিপত্তির সাথে বিস্তৃতি পায় বন্দোপাধ্যায় পরিবারের জমিদারি। প্রায় ১০৮ সসস্ত্র লাঠিয়াল পাহারা দিত এই সুবিশাল জমিদার বাড়ি। ইংরেজদের বিরুদ্ধে গিয়ে নীল চাষ প্রায় বন্ধ করে দেয় বন্দোপাধ্যায় পরিবার।
advertisement
5/6
নীলের নির্যাতন নয়, ফসল ফলানোর উপদেশ দেওয়া হয় গরিব চাষিদের। ইংরেজের বিরুদ্ধে যাওয়ার জন্যে হারাতে বেশ কিছুটা সম্পত্তি এবং জমি জমা। তবুও ইংরেজের সামনে কোনওদিন আপোষ করেনি বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবার।
নীলের নির্যাতন নয়, ফসল ফলানোর উপদেশ দেওয়া হয় গরিব চাষিদের। ইংরেজের বিরুদ্ধে যাওয়ার জন্যে হারাতে বেশ কিছুটা সম্পত্তি এবং জমি জমা। তবুও ইংরেজের সামনে কোনওদিন আপোষ করেনি বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবার।
advertisement
6/6
বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের সদস্য মনোহর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ইংরেজরা দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর ধীরে ধীরে সরকারি তরফ থেকে জমিদারি প্রথা তুলে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। বন্দ্যোপাধ্যায়দের বিশাল প্রভাব প্রতিপত্তি কমতে থাকল দ্রুত গতিতে। বর্তমানে বেশিরভাগ জমি এবং সম্পত্তি সরকার অধিগ্রহণ করে নেওয়ার পর আজ পড়ে রয়েছে দেবোত্তর এস্টেট।
বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের সদস্য মনোহর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ইংরেজরা দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর ধীরে ধীরে সরকারি তরফ থেকে জমিদারি প্রথা তুলে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। বন্দ্যোপাধ্যায়দের বিশাল প্রভাব প্রতিপত্তি কমতে থাকল দ্রুত গতিতে। বর্তমানে বেশিরভাগ জমি এবং সম্পত্তি সরকার অধিগ্রহণ করে নেওয়ার পর আজ পড়ে রয়েছে দেবোত্তর এস্টেট।
advertisement
advertisement
advertisement