'বাঁধ ভাঙলেই নিশ্চিহ্ন হবে গ্রাম'! আতঙ্কে অজয়ের ধারের এইসব গ্রামের বাসিন্দারা

Last Updated:
গ্রামবাসীরা জানাচ্ছেন, প্রশাসনের তরফে এখনই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নিলে বড়সড় বিপর্যয় ঘটতে বাধ্য। তাই গ্রামবাসীদের একটাই আর্জি বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটার আগে দ্রুত সংস্কারের কাজ শুরু করা হোক।
1/6
“বাঁধ ভেঙে গেলেই আমাদের গোটা গ্রাম নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে” এমনই হাহাকার শোনা যাচ্ছে পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোটের পুরাতন হাট গ্রামের মানুষদের মুখে। অজয় নদীর ধারে থাকা এই গ্রামে আতঙ্ক যেন নিত্যসঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে। দীর্ঘদিন বাঁধ সংস্কারের কাজ না হওয়ায় দিন কাটছে ভয় আর অনিশ্চয়তার মধ্যেই। (তথ্য ও ছবি বনোয়ারীলাল চৌধুরী)
“বাঁধ ভেঙে গেলেই আমাদের গোটা গ্রাম নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে” এমনই হাহাকার শোনা যাচ্ছে পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোটের পুরাতন হাট গ্রামের মানুষদের মুখে। অজয় নদের ধারে থাকা এই গ্রামে আতঙ্ক যেন নিত্যসঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে। দীর্ঘদিন বাঁধ সংস্কারের কাজ না হওয়ায় দিন কাটছে ভয় আর অনিশ্চয়তার মধ্যেই। (তথ্য ও ছবি বনোয়ারীলাল চৌধুরী)
advertisement
2/6
অজয় নদীর এই বাঁধ তৈরি হয়েছিল বহু বছর আগে, গ্রামগুলোকে বন্যার হাত থেকে রক্ষার উদ্দেশ্যে। সেই সময় বোল্ডার পাইলিং করে মজবুত করা হয়েছিল বাঁধটি। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নদীর জলধারা আর ক্ষয়িষ্ণু মাটি ভেঙে দিচ্ছে বাঁধের মূল কাঠামো। আজ বহু জায়গায় বোল্ডার তলিয়ে গেছে নদীগর্ভে।
অজয় নদের এই বাঁধ তৈরি হয়েছিল বহু বছর আগে, গ্রামগুলোকে বন্যার হাত থেকে রক্ষার উদ্দেশ্যে। সেই সময় বোল্ডার পাইলিং করে মজবুত করা হয়েছিল বাঁধটি। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নদীর জলধারা আর ক্ষয়িষ্ণু মাটি ভেঙে দিচ্ছে বাঁধের মূল কাঠামো। আজ বহু জায়গায় বোল্ডার তলিয়ে গেছে নদীগর্ভে।
advertisement
3/6
এই বাঁধ এখন প্রায় জীর্ণ। কোথাও কোথাও ধসে পড়েছে বড় বড় অংশ। ভাঙা অংশগুলো সাময়িকভাবে বালির বস্তা দিয়ে আটকানোর চেষ্টা করেছেন গ্রামবাসীরাই। কিন্তু তাঁদের পরিষ্কার বক্তব্য এভাবে সামলানো সম্ভব নয়, প্রয়োজন স্থায়ী সমাধানের।
এই বাঁধ এখন প্রায় জীর্ণ। কোথাও কোথাও ধসে পড়েছে বড় বড় অংশ। ভাঙা অংশগুলো সাময়িকভাবে বালির বস্তা দিয়ে আটকানোর চেষ্টা করেছেন গ্রামবাসীরাই। কিন্তু তাঁদের পরিষ্কার বক্তব্য এভাবে সামলানো সম্ভব নয়, প্রয়োজন স্থায়ী সমাধানের।
advertisement
4/6
পুরাতন হাট গ্রামের পাশাপাশি ঝিলু, ইচ্ছাবট ও পালিশগ্রামের মানুষরাও আতঙ্কে রয়েছেন। কারণ, বাঁধ ভেঙে গেলে শুধু একটি গ্রাম নয়, একসঙ্গে একাধিক গ্রাম জলের তলায় চলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আতঙ্কে রাত জাগছেন নদী পারের বহু পরিবার।
পুরাতন হাট গ্রামের পাশাপাশি ঝিলু, ইচ্ছাবট ও পালিশগ্রামের মানুষরাও আতঙ্কে রয়েছেন। কারণ, বাঁধ ভেঙে গেলে শুধু একটি গ্রাম নয়, একসঙ্গে একাধিক গ্রাম জলের তলায় চলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আতঙ্কে রাত জাগছেন নদী পারের বহু পরিবার।
advertisement
5/6
গ্রামবাসীরা জানাচ্ছেন, প্রশাসনের তরফে এখনই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নিলে বড়সড় বিপর্যয় ঘটতে বাধ্য। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে বোল্ডার পাইলিং করে বাঁধ সংস্কারের কাজ শুরু করতে হবে। নাহলে আগামি বর্ষায় পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নিতে পারে।
গ্রামবাসীরা জানাচ্ছেন, প্রশাসনের তরফে এখনই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নিলে বড়সড় বিপর্যয় ঘটতে বাধ্য। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে বোল্ডার পাইলিং করে বাঁধ সংস্কারের কাজ শুরু করতে হবে। নাহলে আগামি বর্ষায় পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নিতে পারে।
advertisement
6/6
তাই গ্রামবাসীদের একটাই আর্জি বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটার আগে দ্রুত সংস্কারের কাজ শুরু করা হোক। তাঁদের কথায়, “আমরা চাই না আবার বন্যায় গ্রাম ভেসে যাক। বাঁধটিকে নতুন করে গড়ে তুললেই আমাদের ভয় কেটে যাবে।” অজয় নদীর ধার ঘেঁষে থাকা এই গ্রামগুলির এখন একমাত্র ভরসা প্রশাসনের দ্রুত উদ্যোগ। (তথ্য ও ছবি বনোয়ারীলাল চৌধুরী)
তাই গ্রামবাসীদের একটাই আর্জি বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটার আগে দ্রুত সংস্কারের কাজ শুরু করা হোক। তাঁদের কথায়, “আমরা চাই না আবার বন্যায় গ্রাম ভেসে যাক। বাঁধটিকে নতুন করে গড়ে তুললেই আমাদের ভয় কেটে যাবে।” অজয় নদীর ধার ঘেঁষে থাকা এই গ্রামগুলির এখন একমাত্র ভরসা প্রশাসনের দ্রুত উদ্যোগ। (তথ্য ও ছবি বনোয়ারীলাল চৌধুরী)
advertisement
advertisement
advertisement