East Bardhaman News: বইয়ের বাইরে ভালবাসার পাঠ, আদিবাসী পড়ুয়াদের ‘দাদা’ হয়ে উঠেছেন এই শিক্ষক
- Published by:Soumendu Chakraborty
- hyperlocal
- Reported by:Bonoarilal Chowdhury
Last Updated:
স্কুলের চার দেওয়াল পেরিয়ে পড়ুয়াদের আপন ‘দাদা’ হয়ে উঠেছেন। মেনাডাঙ্গা আদিবাসী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এই শিক্ষক।
\\ এমন শিক্ষক আজকাল সত্যিই বিরল। পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার ব্লকের ঝুঝকাডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা মিসকিন মণ্ডল যেন স্কুলের চার দেওয়াল পেরিয়ে পড়ুয়াদের আপন ‘দাদা’ হয়ে উঠেছেন। মেনাডাঙ্গা আদিবাসী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এই শিক্ষক শুধু পড়ান না, বরং ভালবাসা, যত্ন আর দায়িত্ববোধ দিয়ে গড়ে তুলেছেন এক মানবিক শিক্ষালয়। বিদ্যালয়ের সকল পড়ুয়াই আদিবাসী পরিবারের সন্তান, যাদের জীবনে প্রতিদিনের লড়াইয়ের মধ্যেই বড় হয়ে ওঠা।তথ্য ও ছবি: বনোয়ারীলাল চৌধুরী
advertisement
অনেক সময় নানান পারিবারিক বা আর্থিক সমস্যার কারণে পড়ুয়ারা নিয়মিত স্কুলে আসে না। তখনই মিসকিন বাবুর মানবিক ভূমিকা আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। বাইকে চেপে তিনি পৌঁছে যান কখনও কারও বাড়িতে, কখনও মাঠে। নিজের হাতে কখনও স্কুল ইউনিফর্ম পরিয়ে দেন, কখনও এলোমেলো চুল আঁচড়ে দেন আদরের ছোঁয়ায়। জামার বোতাম খোলা থাকলেও ঠিক করে দেন নিজের হাতে, একজন শিক্ষক নয়, যেন পরিবারেরই কেউ।তথ্য ও ছবি: বনোয়ারীলাল চৌধুরী
advertisement
স্কুল ছুটির পরও দায়িত্ব শেষ হয় না মিসকিন বাবুর। পড়ুয়াদের এক একদিন নিজের বাইকে চড়িয়ে বাড়ি পৌঁছে দেন তিনি। প্রতিদিন একজন পড়ুয়া পায় এই ‘স্পেশাল বাইক রাইড’এর সুযোগ। ফলে কার পালা পড়বে, তা নিয়ে পড়ুয়াদের মধ্যে লটারি জেতার মতো আনন্দ কাজ করে। এই ছোট ছোট মুহূর্তই তাদের স্কুলের প্রতি আগ্রহ বাড়িয়ে তোলে।তথ্য ও ছবি: বনোয়ারীলাল চৌধুরী
advertisement
মিসকিন বাবু বলেন, “পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ বাড়ানো আর ওদের স্কুলমুখী করাই আমার মূল লক্ষ্য। ওদের মুখে হাসি দেখতে পারলেই আমার ভাল লাগে।” এলাকারই ছেলে হওয়ায় পড়ুয়াদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক আরও নিবিড়। স্কুলে না এলে তিনি নিজেই বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের স্কুলে নিয়ে আসেন। এই আন্তরিকতাই পড়ুয়াদের কাছে তাঁকে আলাদা করে তোলে।তথ্য ও ছবি: বনোয়ারীলাল চৌধুরী
advertisement
শুধু পড়ানোতেই থেমে থাকেন না এই শিক্ষক। মাঝেমধ্যে নিজেই স্কুলে রান্না করে পড়ুয়াদের খাওয়ান ভালবাসা মেশানো খাবার। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মঞ্চে উঠে নিজেদের প্রতিভা প্রকাশের সুযোগ করে দেন। প্রয়োজন হলে নিজের পয়সায় কিনে দেন খাতা-কলম, জামা-জুতো। এভাবেই শিক্ষকতার গণ্ডি পেরিয়ে মিসকিন মণ্ডল গড়ে তুলেছেন এক গভীর মানবিক সম্পর্ক। তিনি প্রমাণ করে দেন আদর্শ শিক্ষক মানেই শুধু পাঠ্যবইয়ের শিক্ষক নন, একজন সত্যিকারের ভাল মানুষও।তথ্য ও ছবি: বনোয়ারীলাল চৌধুরী








