Cyclone Yass: 'যে কোনও দরকারে আমাকে জানাবেন', যশের হাত থেকে কুলতলি বাঁচাতে আসরে বিধায়ক
- Published by:Suman Biswas
- news18 bangla
Last Updated:
cyclone yaas মোকাবিলায় আসরে কুলতলির বিধায়ক গণেশচন্দ্র মণ্ডল।
বারুইপুর মহাকুমায় আমফান ঘূর্ণিঝড়ে (Cyclone Amphan) সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল কুলতলী ব্লক। নদীর উপকূলবর্তী এলাকা হওয়াতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল কুলতলী ব্লকে। প্রায় ১০ থেকে ১৫ দিন গ্রামগুলি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় ছিল। নদীর বাঁধ সংলগ্ন এলাকার কয়েক হাজার মানুষকে রাখা হয়েছিল ফ্লাড সেন্টার অথবা কোন হাইস্কুলের সাইক্লোন সেন্টারে। করোনা পরিস্থিতিতে গতবারের আমফান ঝড়ের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে যশ ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলা করতে প্রস্তুতি শুরু হল এদিনের বৈঠক থেকেই।
advertisement
বারুইপুর মহকুমা শাসক দপ্তরে মহকুমা শাসক সুমন পোদ্দারের নেতৃত্বে এ দিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট রাখি পাল, বিডিও কুলতলী বীরেন্দ্র অধিকারী ও কুলতলীর বিধায়ক গণেশচন্দ্র মণ্ডল। যশ মোকাবিলায় বারুইপুর মহকুমা শাসক দপ্তরে খোলা হচ্ছে ২৪ ঘন্টার জন্য কন্ট্রোলরুম। পাশাপাশি প্রতিটি ব্লকেই খোলা থাকবে বিডিওর নেতৃত্বে কন্ট্রোল রুম। বেশি নজর দেওয়া হচ্ছে বিদ্যুৎ ও পানীয় জলের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার উপরে।
advertisement
এছাড়াও নেটওয়ার্কের প্রবলেমের জন্য যাতে যোগাযোগের বিষয়ে কোন সমস্যা না হয় তার জন্য কুলতলী ব্লকে ব্যবস্থা করা হচ্ছে স্যাটেলাইট ফোনের। ফ্লাড সেন্টার ও সাইক্লোন সেন্টারে থাকা প্রত্যেককে দেওয়া হবে মাস্ক-স্যানিটাইজার। সেখানে খাওয়ার ব্যবস্থাও করা হবে সরকারের তরফ থেকে। এমনটাই জানিয়েছেন মহকুমাশাসক সুমন পোদ্দার। বিধায়ক গণেশ মণ্ডল জানিয়েছেন, গত বছরের আম্ফান ঘূর্ণিঝড় থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার তাঁরা যশ মোকাবিলা করতে সব রকমের প্রস্তুতি নিয়ে রাখছেন। এলাকায় বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে রাস্তার উপর পড়ে থাকা গাছগুলি দ্রুত কাটার জন্য বেশকিছু পেট্রোল চালিত গাছ কাটার মেশিন কেনা হয়েছে। নদী বাঁধ গুলির উপর কড়া নজরদারিও চালানো হচ্ছে।
advertisement
advertisement
যুদ্ধকালীন তৎপরতায় বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে। এলাকায় কাজ করছেন সেচ দপ্তরের কর্মীরাও। লঞ্চে করে নদী বাঁধ পরিদর্শনের পাশাপাশি কুলতলীবাসীদের আতঙ্কিত না হওয়ার বার্তা দিয়েছে বিধায়ক গনেশ চন্দ্র মণ্ডল। ইতিমধ্যেই বিধায়ক নিজের ফোন নম্বর এলাকায় এলাকায় দিয়ে দিয়েছেন। কোন রকম সমস্যা হলে বিধায়ককে সরাসরি ফোন করা যাবে। ইতিমধ্যেই কোভিড মোকাবিলায় দুটি হেল্পলাইন চালু করা হয়েছিল। সেই হেল্পলাইনেও ফোন করলেও সমস্ত রকম সাহায্যের আশ্বাস।