সুন্দরবনের উপকূলবর্তী এলাকায় সকাল থেকেই প্রভাব পড়তে শুরু করেছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর।প্রস্তুত প্রশাসন। আতঙ্কিত সুন্দরবনবাসী। আবারও সিদুরে মেঘ দেখছে সুন্দরবনবাসি।সকাল থেকেই শুরু হয়েছে ঝড়ো হাওয়া বাড়তে শুরু করেছে নদীর জলস্তর। আর সেই কারণে বাঁধ উপছে জল ঢোকার আশঙ্কায় সুন্দরবনের উপকূলবর্তী এলাকার মানুষজন। (সুমন সাহা)
মহকুমা শাসক অফিস থেকে চলছে নজরদারি। দুর্বল নদী বাঁধ এ চলছে নজরদারি। সুন্দরবনে ফেরি চলাচল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। অন্যদিকে উপকূলবর্তী এলাকায় চলছে মাইকিং। তৈরি রাখা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীদের। কন্ট্রোল রুম খুলে নজরদারি চলছে। গত কয়েকদিনে একাধিকবার বৈঠক করেছেন প্রশাসনের আধিকারিকরা। সব মিলিয়ে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলায় তৎপর দক্ষিন ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন।
ঝড়খালি ব্যাঘ্র পুনর্বাসন কেন্দ্র এবং চিড়িয়াখানাকেও বন্ধ রাখা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে পর্যটকদের ফেরানোর কাজ। নজরদারি চালানো হচ্ছে বিভিন্ন পর্যটন এলাকা গুলিতেও। ঝড়ের কারণেই সমস্ত জলে যান গুলি ফিরতে শুরু করেছে নিরাপদ আশ্রয়। মরশুমের প্রথমেই সাইক্লোনের ধাক্কায় একদিকে যেমন আর্থিকভাবে ক্ষতি হতে শুরু পারেন পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে ব্যবসায়ীরা অন্যদিকে জল যান গুলিও ক্ষতি হতে পারে পরিকাঠামোগত ভাবে। সব মিলিয়ে ঝড়ের পূর্বাভাসে ক্ষতির মুখে পড়তে চলেছেন সুন্দরবনে পর্যটন ব্যবসায়ীরা।