পথ দুর্ঘটনায় একমাত্র সন্তানের মৃত্যু ! এক ঝটকায় যেন নিঃসীম শূন্যতা নেমে এল চাটোরি রজনীর জীবনে, জেনে নিন জনপ্রিয় এই Food Vlogger-এর বিষয়ে
- Published by:Siddhartha Sarkar
- news18 bangla
Last Updated:
সোশ্যাল মিডিয়ার জনপ্রিয় নাম রজনী জৈন। ভ্লগ আপলোড করামাত্রই ভাইরাল হয়ে যায়। তাঁর ট্যাগলাইনগুলিও বেশ জনপ্রিয় হয়ে যায়। পথ দুর্ঘটনায় নিজের একমাত্র কিশোর পুত্রকে হারিয়েছেন তিনি।
advertisement
এমনিতে সোশ্যাল মিডিয়ার জনপ্রিয় নাম রজনী জৈন। ভ্লগ আপলোড করামাত্রই ভাইরাল হয়ে যায়। তাঁর ট্যাগলাইনগুলিও বেশ জনপ্রিয় হয়ে যায়। তাঁর জনপ্রিয় ট্যাগলাইনগুলির মধ্যে অন্যতম হল - ‘হোয়াট ইজ ইন মাই হাজব্যান্ডস লাঞ্চ বক্স টুডে?’ আর সোশ্যাল মিডিয়ায় অবশ্য রজনী জৈন ‘চাটোরি রজনী’ নামে বেশি পরিচিত। পথ দুর্ঘটনায় নিজের একমাত্র কিশোর পুত্রকে হারিয়েছেন তিনি। এই বেদনাদায়ক খবর নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাগ করে নিয়েছেন চাটোরি রজনী।
advertisement
advertisement
ইনস্টাগ্রাম এবং ইউটিউবে প্রবল খ্যাতি অর্জন করেছিলেন রজনী। তাঁর মুকুটে জুড়েছে ফুড ওয়ারিয়র্স, শেরোজ এবং গোল্ডেন অ্যাচিভার্স-এর মতো তকমা। রজনীর রেসিপি নিয়ে উন্মাদনা দেখা যায় তাঁর ভক্তদের মধ্যে। উত্তর ভারতীয় খাবারের পাশাপাশি দক্ষিণ ভারতীয় খাবারও বানাতে দেখা যায় তাঁকে। সম্প্রতি নিজের বাড়ি কিনেছিলেন। এমনকী সেই নতুন বাড়িতে শিফটও করেছিলেন। হামেশাই রজনীর ভ্লগে দেখা যেত তাঁর কিশোর পুত্রকে। মা-ছেলের মিষ্টি খুনসুটিও ভক্তদের ভারী পছন্দ ছিল। গত ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে রজনীর ভাগ করে নেওয়া একটি রিলে শেষ বার দেখা গিয়েছিল তরণকে।
advertisement
রজনী জৈন তথা চাটোরি রজনী একজন সফল ফুড কন্টেন্ট ক্রিয়েটর। মাড়ওয়ারি পরিবারের এই ভ্লগার ২০০৩ সালে কলেজের পাঠ শেষ করেন। এরপর ৩ মাসের জন্য কাস্টোমার কেয়ারে চাকরি করেছেন। এরপর ১১ মাসের জন্য এয়ারটেলের কাস্টোমার কেয়ারে কাজ করেছেন রজনী। কিন্তু তাঁর মা এবং পরিবারের সদস্যরা চাননি যে, তিনি চাকরি করুন। একপ্রকার পরিবারের চাপেই চাকরি ছাড়তে বাধ্য হন রজনী। তিনি জানিয়েছেন, এরপর ২০০৪ সালে রান্নার ক্লাস করাতে শুরু করেন। নিজের বাড়িতেই রান্না এবং মেহেন্দির ক্লাস করাতেন রজনী। বহু বছর ধরে এই কাজ করেছেন।
advertisement
এরপর দেখেশুনেই বিয়ে হয় রজনীর। দিল্লির বাসিন্দা সঙ্গীত জৈনের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন। পেশায় ব্যাঙ্কের কর্মী সঙ্গীত। একবার রজনী নিজেই তাঁদের প্রেমকাহিনির কথা বলেছিলেন। রজনী জানান যে, দুই পরিবারের মাধ্যমেই তাঁদের আলাপ। প্রথমে তো স্বামীর মুখই দেখেননি। বাগদানের পর হবু স্বামীর মুখ দেখেছিলেন। এরপর তাঁরা দিল্লির অক্ষরধামে যান।
advertisement
advertisement
প্রতিবেদন থেকে জানা যায় যে, ‘চাটনি অ্যান্ড পিকল’ নামে একটি রান্নার বই লিখেছেন রজনী। ইউটিউব শর্টের জন্য ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা পারিশ্রমিক নেন তিনি। শুধু তা-ই নয়, একটি ব্র্যান্ডেড ভিডিও-র জন্য দেড় থেকে ২ লক্ষ টাকা এবং এক-একটি ইন্টিগ্রেটেড ব্র্যান্ড ভিডিও-র জন্য ১ লক্ষ টাকা নেন। যদিও টাকার এই পরিমাণ কতটা সত্য, তা যাচাই করা হয়নি।