How is the heaven: ১ ঘণ্টার জন্য মারা যান তরুণী, 'স্বর্গ' থেকে ফিরে বলেন সেই অভিজ্ঞতার কথা! সত্যি ঘটনায় হতবাক হয়ে যান বিজ্ঞানীরা
- Published by:Ratnadeep Ray
- news18 bangla
Last Updated:
What is after death: কোনও মানুষ কি মারা যাওয়ার পরে সত্যিই ফিরে আসতে পারে? তারপরেই বলতে পারে মৃত্যুর পরের জগতের কথা? এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলেন এক তরুণী, যা শুনে হতবাক হয়ে যান বিজ্ঞানীরাও।
advertisement
পাম একটি ব্রেন সার্জারির সময় ১ ঘণ্টা পর্যন্ত ‘ক্লিনিকালি মৃত’ থাকার পর যে অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছিলেন, তা ডাক্তার থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষকে অবাক করে দিয়েছিল। তিনি দাবি করেছিলেন যে তিনি ‘স্বর্গ’ দেখেছেন এবং সেই পৃথিবীর দর্শন করেছেন, যেখানে তিনি তার মৃত আত্মীয়দের এবং একটি রহস্যময় আলো দর্শন পেয়েছেন। Representative Image
advertisement
পাম রেনল্ডস একজন সঙ্গীতশিল্পী, ১৯৯১ সালে তাঁর ঝুঁকিপূর্ণ ব্রেন অপারেশন হয়। সার্জারির সময় তার শরীরের তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল, শরীরের সমস্ত রক্ত বার করে দেওয়া হয়েছিল এবং হার্টকে কিছু সময়ের জন্য থামিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এই প্রক্রিয়াকে ‘হাইপোথারমিক কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’ বলা হয়। এই সময় সেই সঙ্গীতশিল্পী ক্লিনিকালি মৃত ছিলেন, অর্থাৎ তার মস্তিষ্ক এবং শরীরের কোনও কার্যকলাপ ছিল না। কিন্তু যখন সার্জারির পর পাম জীবিত হয়ে জ্ঞান ফিরে পেলেন, তখন তিনি যা বলেছিলেন, তা কোনও চমৎকারের থেকে কম ছিল না। Representative Image
advertisement
পাম ডাক্তারদের বলেছিলেন, যে সার্জারির সময় তাঁর জ্ঞান ছিল এবং অপারেশন থিয়েটারে যা কিছু হচ্ছিল তা শুনতে পাচ্ছিলেন। তিনি ডাক্তারদের কথোপকথন এবং তাদের দ্বারা ব্যবহৃত সার্জিকাল যন্ত্রের সঠিক বর্ণনা করেছিলেন। শুধু তাই নয়, তিনি বলেছিলেন যে তিনি তার শরীর থেকে বেরিয়ে বাতাসে ভাসছিলেন এবং অপারেশনকে উপরে থেকে দেখছিলেন। Representative Image
advertisement
পামের দাবি ছিল যে সার্জারির সময় তিনি একটি তীব্র আলো দেখেছিলেন, যা তাকে নিজের দিকে টানছিল। এই আলোর দিকে এগিয়ে তিনি তার সেই সমস্ত আত্মীয়দের দেখেছিলেন, যারা আগেই পৃথিবী ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। এই আত্মীয়রা তাকে ডাকছিলেন, কিন্তু তখনই একটি রহস্যময় ছায়া দেখেন যা তাঁকে ফিরে আসতে বলেছিল। পাম বলেছিলেন যে তিনি চাননি যে সেই অভিজ্ঞতা শেষ হোক, কিন্তু তিনি তার শরীরে ফিরে এসেছিলেন। এই অভিজ্ঞতা ডাক্তারদেরও অবাক করে দিয়েছিল। Representative Image
advertisement
হতবাক ডাক্তাররাড. মাইকেল স্যাবম, যিনি এই সার্জারির প্রধান নিউরোসার্জন ছিলেন, পামের দাবিগুলির তদন্ত করেছিলেন। তিনি দেখেছিলেন যে পাম যেসব যন্ত্র এবং কথোপকথনের উল্লেখ করেছিলেন, তা সঠিক ছিল, যদিও সেই সময় তিনি সম্পূর্ণ অজ্ঞান ছিলেন এবং তার মস্তিষ্কের কার্যকলাপ রেকর্ড করা হচ্ছিল না। পাম রেনল্ডসের এই অভিজ্ঞতা ‘নিয়ার-ডেথ এক্সপিরিয়েন্স’ (NDE) এর সবচেয়ে আলোচিত ঘটনাগুলির মধ্যে একটি।