Victoria Memorial: শীতেও ঘামাচ্ছে একটি প্রশ্ন! কলকাতার পরী আর ঘোরে না কেন? এবার পালা আপনার
- Published by:Soumendu Chakraborty
- news18 bangla
Last Updated:
এই বিশাল আকারের সৌধের উপর প্রধান হলের মাথার উপরে রয়েছে গম্বুজ আর এই গম্বুজের বাইরের দিকেই রয়েছে একটি ব্রোঞ্জের গ্লোব। এই ব্রোঞ্জের গ্লোবে পারদ ভরা থাকে। গ্লোবের উপরেই দাঁড়িয়ে আছে সাড়ে ছয় টনের ব্রোঞ্জের একটি নারীমূর্তি। বাঁ হাতে একটি লম্বা শিঙা ফুঁকছে আর তাঁর ডান হাতে একগুচ্ছ ফুল, পিছনে দু'টি পাখা।
advertisement
এই বিশাল আকারের সৌধের উপর প্রধান হলের মাথার উপরে রয়েছে গম্বুজ আর এই গম্বুজের বাইরের দিকেই রয়েছে একটি ব্রোঞ্জের গ্লোব। এই ব্রোঞ্জের গ্লোবে পারদ ভরা থাকে। গ্লোবের উপরেই দাঁড়িয়ে আছে সাড়ে ছয় টনের ব্রোঞ্জের একটি নারীমূর্তি। বাঁ হাতে একটি লম্বা শিঙা ফুঁকছে আর তাঁর ডান হাতে একগুচ্ছ ফুল, পিছনে দু'টি পাখা। প্রতীকী ছবি
advertisement
advertisement
১৯০১ সালের জানুয়ারি মাসে ইংল্যান্ডের তৎকালীন রানি ভিক্টোরিয়ার মৃত্যু হয়। বিলেত থেকে সেই খবর টেলিগ্রাম মারফত কলকাতা-সহ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। সেই সময় ভারতের গভর্নর জেনারেল ছিলেন লর্ড কার্জন। তাঁরই প্রস্তাব অনুসারে ভিক্টোরিয়ান নানা শিল্পবস্তু দিয়ে সাজানো এক স্মৃতিসৌধ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রতীকী ছবি
advertisement
advertisement
১৯০৬ সালের ৪ জানুয়ারিতে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল তৈরির কাজ শুরু হয়। সেই সময় ভিক্টোরিয়ার নাতি প্রিন্স অফ ওয়েল্স, পরবর্তীকালে রাজা পঞ্চম জর্জ কলকাতায় এসে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে যান স্যর উইলিয়াম এমারসনের নকশায় বেলফাস্ট হলের স্থাপত্যশৈলীর আদলে সাদা মর্মরের এই সৌধ তৈরি হতে সময় লাগে পনের বছর। এই মেমোরিয়াল গড়তে খরচ হয় সেই সময় পাঁচ লক্ষ টাকা। যা সবটাই এসেছিল দেশীয় অনুদান থেকে। ১৯২১ সালের ২৮ ডিসেম্বর ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের দ্বার খুলে দেওয়া হয়। প্রতীকী ছবি
advertisement
সেই সময় ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের এই পরী বসানো হয়। প্রায় ৫ মিটার অর্থাৎ তিন মানুষ সমান উচ্চতার এই পরীর ওজন ৩.৫ টন। কিন্তু, আগে এই পরী ঘুরলেও এখন আর ঘোরে না কেন? বিশেষজ্ঞদের দাবি এই পরী ঘুরতে বাতাসের গতিবেগ প্রয়োজন হয় ১৫ কিলোমিটার/ঘণ্টা, কিন্তু কলকাতার আশেপাশে উঁচু উঁচু ইমারত হয়ে যাওয়ায় হাওয়ার গতিবেগ অনেকটাই কমেছে। প্রতীকী ছবি
advertisement
ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন পরীর নিচে রয়েছে একটি গিয়ারবক্স। যার ফলেই পরীর এই ঘূর্ণন। কিন্তু, কালক্রমে সেই গিয়ারবক্সে জ্যাম হয়ে যাওয়ায় ১৫ কিলোমিটার হাওয়ার বদলে পরী ঘুরতে হাওয়ার দরকার পড়ে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার। কিন্তু, সম্প্রতি আমফান ঝড় কলকাতার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়ার পরে সেই জ্যাম অনেকটাই ঠিক হয়ে গিয়েছে পরীর। ফলে এখন দমকা হাওয়াতে মাঝে মধ্যেই ঘুরতে দেখা যাচ্ছে কলকাতার প্রিয় কালো পরীকে। প্রতীকী ছবি
