আজ শবরী জয়ন্তী, চিনে নিন ভগবান রামের পরম শিষ্যা এই শবরীকে

Last Updated:
1/6
• আজ শবরী জয়ন্তী ৷ প্রতি বছর ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের সপ্তমী তিথি পালিত হয় শবরী জয়ন্তী হিসেবে। আজ সকাল ১০.৫৩ পর্যন্ত ষষ্ঠী। তার পরেই পড়ছে সপ্তমী। চলবে মঙ্গলবার ১০.১৬ পর্যন্ত।
• আজ শবরী জয়ন্তী ৷ প্রতি বছর ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের সপ্তমী তিথি পালিত হয় শবরী জয়ন্তী হিসেবে। আজ সকাল ১০.৫৩ পর্যন্ত ষষ্ঠী। তার পরেই পড়ছে সপ্তমী। চলবে মঙ্গলবার ১০.১৬ পর্যন্ত।
advertisement
2/6
• কে এই শবরী ? তিনি ছিলেন ব্যাধ-কন্যা ৷ অন্যদিকে ভগবান রামচন্দ্রের অনুগত এক শিষ্যা ৷ মতঙ্গ মুনির আশ্রমে একাই থাকতেন তিনি ৷ বয়সের ভারে ন্যুব্জ, জর্জরিত ৷ কিন্তু মৃত্যু হয়নি তাঁর ৷ কারণ দের রাখার আগে একটিবার ভগবান রামের সৌম্য মুখখানি দর্শন করাই ছিল তাঁর একমাত্র ইচ্ছা ৷ মতঙ্গ মুনি দেহ রাখার আগে শিষ্যা শবরীকে বলেছিলেন, একদিন এই আশ্রমে রাম আসবেন ৷ আশ্রম পবিত্র হয়ে উঠবে ৷ তাই নররূপী নারায়ণকে প্রত্যক্ষ করতে হাজার হাজার বছর বেঁচে ছিলেন শবরী ৷
• কে এই শবরী ? তিনি ছিলেন ব্যাধ-কন্যা ৷ অন্যদিকে ভগবান রামচন্দ্রের অনুগত এক শিষ্যা ৷ মতঙ্গ মুনির আশ্রমে একাই থাকতেন তিনি ৷ বয়সের ভারে ন্যুব্জ, জর্জরিত ৷ কিন্তু মৃত্যু হয়নি তাঁর ৷ কারণ দের রাখার আগে একটিবার ভগবান রামের সৌম্য মুখখানি দর্শন করাই ছিল তাঁর একমাত্র ইচ্ছা ৷ মতঙ্গ মুনি দেহ রাখার আগে শিষ্যা শবরীকে বলেছিলেন, একদিন এই আশ্রমে রাম আসবেন ৷ আশ্রম পবিত্র হয়ে উঠবে ৷ তাই নররূপী নারায়ণকে প্রত্যক্ষ করতে হাজার হাজার বছর বেঁচে ছিলেন শবরী ৷
advertisement
3/6
• রোজই তিনি সকালে ঘুম থেকে উঠে ভাবতেন আজই বোধহয় সেই দিন ৷ তাই রোজই ফুল, মালা, চন্দনে সাজিয়ে রাখতেন মতঙ্গ মুনির আশ্রম ৷ মাটি ঢেকে রাখতেন সুগন্ধি ফুলে, দরজার দু’পাশে কলা গাছ শোভা দিত ৷ নিজে হাতে বন থেকে নানা সুমিষ্ট ফল-মূল সংগ্রহ করে রাখতেন ৷ আর আশ্রমের দরজায় বসে বসে ভগবানের অপেক্ষা করতেন ৷ দিন শেষ হয়ে যেত ৷ রামচন্দ্র দেখা দিতেন না ৷ সমস্ত ফুল-ফল নষ্ট হয়ে যেত ৷ মন খারাপ করে শুতে চলে যেতেন শবরী ৷ কিন্তু পরদিন সকালে উঠে ফের নতুন উদ্যমে প্রভুর জন্য শুরু করতেন তাঁর অপেক্ষা ৷
• রোজই তিনি সকালে ঘুম থেকে উঠে ভাবতেন আজই বোধহয় সেই দিন ৷ তাই রোজই ফুল, মালা, চন্দনে সাজিয়ে রাখতেন মতঙ্গ মুনির আশ্রম ৷ মাটি ঢেকে রাখতেন সুগন্ধি ফুলে, দরজার দু’পাশে কলা গাছ শোভা দিত ৷ নিজে হাতে বন থেকে নানা সুমিষ্ট ফল-মূল সংগ্রহ করে রাখতেন ৷ আর আশ্রমের দরজায় বসে বসে ভগবানের অপেক্ষা করতেন ৷ দিন শেষ হয়ে যেত ৷ রামচন্দ্র দেখা দিতেন না ৷ সমস্ত ফুল-ফল নষ্ট হয়ে যেত ৷ মন খারাপ করে শুতে চলে যেতেন শবরী ৷ কিন্তু পরদিন সকালে উঠে ফের নতুন উদ্যমে প্রভুর জন্য শুরু করতেন তাঁর অপেক্ষা ৷
advertisement
4/6
• অবশেষে একদিন বৃদ্ধা শবরীর তপস্যা পূর্ণতা পেল ৷ সীতাকে খুঁজতে খুঁজতে রাম-লক্ষ্ণ সেই মতঙ্গ মুনির আশ্রমে এসে উপস্থিত হলেন ৷ আনন্দে, প্রেম, ভক্তি, শ্রদ্ধায়, সমর্পনে শবরী অনবরত কাঁদতে লাগলেন ৷ তা দেখে রামচন্দ্রের চোখ দিয়েও অশ্রুজল নির্গত হতে লাগল ৷ নানাভাবে ভগবানকে স্তুতি করতে লাগলেন তিনি ৷
• অবশেষে একদিন বৃদ্ধা শবরীর তপস্যা পূর্ণতা পেল ৷ সীতাকে খুঁজতে খুঁজতে রাম-লক্ষ্ণ সেই মতঙ্গ মুনির আশ্রমে এসে উপস্থিত হলেন ৷ আনন্দে, প্রেম, ভক্তি, শ্রদ্ধায়, সমর্পনে শবরী অনবরত কাঁদতে লাগলেন ৷ তা দেখে রামচন্দ্রের চোখ দিয়েও অশ্রুজল নির্গত হতে লাগল ৷ নানাভাবে ভগবানকে স্তুতি করতে লাগলেন তিনি ৷
advertisement
5/6
• প্রথমে ভগবানের পদযুগল স্খালন করে দিলেন শবরী ৷ এরপর বন থেকে সংগ্রহ করে আনা ফলমূল সাজিয়ে খেতে দিলেন প্রভুকে ৷ ওই ফলের মধ্যে ছিল জামও ৷ ভাবে বিভোর শবরী ভাবলেন প্রভুকে কীভাবে এই জাম নিবেদন করবেন ? যদি জামগুলি টক হয় ৷ এই ভেবে শবরী নিজেই জামগুলি চেখে দেখতে লাগলেন ৷ টক জামগুলি ফেলে নিয়ে মিষ্টি জামগুলি দিলেন রামের হাতে ৷ ভক্তের এই ভক্তি দেখে প্রভুও শিষ্যার উচ্ছিষ্ট অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে গ্রহণ করে খেতে লাগলেন ৷
• প্রথমে ভগবানের পদযুগল স্খালন করে দিলেন শবরী ৷ এরপর বন থেকে সংগ্রহ করে আনা ফলমূল সাজিয়ে খেতে দিলেন প্রভুকে ৷ ওই ফলের মধ্যে ছিল জামও ৷ ভাবে বিভোর শবরী ভাবলেন প্রভুকে কীভাবে এই জাম নিবেদন করবেন ? যদি জামগুলি টক হয় ৷ এই ভেবে শবরী নিজেই জামগুলি চেখে দেখতে লাগলেন ৷ টক জামগুলি ফেলে নিয়ে মিষ্টি জামগুলি দিলেন রামের হাতে ৷ ভক্তের এই ভক্তি দেখে প্রভুও শিষ্যার উচ্ছিষ্ট অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে গ্রহণ করে খেতে লাগলেন ৷
advertisement
6/6
• এই ভাবেই নিজেকে ধন্য করলেন শবরী ৷ শেষে আরাধ্য দেবতার সামনেই দেহত্যাগ করে বৈকুন্ঠে গমন করলেন শবরী ৷
• এই ভাবেই নিজেকে ধন্য করলেন শবরী ৷ শেষে আরাধ্য দেবতার সামনেই দেহত্যাগ করে বৈকুন্ঠে গমন করলেন শবরী ৷
advertisement
advertisement
advertisement