General Knowledge: জমি, খাবার, বিদুৎ, চিকিৎসা- ভারতের প্রতিবেশী এই দেশে সব ফ্রি! শুধু মানতে হয় একটি শর্ত

বাড়ি তৈরির জন্য বিনামূল্যে জমি দেন রাজা৷ খাবারের জন্যও চিন্তা করতে হবে না৷ বিদ্যুৎ এবং পড়াশোনাও ফ্রি৷ এমন কি অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসার খরচও লাগে না৷ এক কথায় বলতে পারেন স্বর্গ৷ ভারতের একটি প্রতিবেশী রাষ্ট্রেই এই সমস্ত সুবিধে পান নাগরিকরা৷ তবে তার জন্য মানতে হয় একটি শর্ত৷

এই দেশটিতে কোনও ভিখারীও চোখে পড়ে না৷ দেশের প্রায় সবারই নিজের বাড়ি রয়েছে৷ এই দেশের বাসিন্দারাও সবসময় হাসিখুশি থাকেন৷ ভারতের এই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের নাম ভুটান৷

২০০৮ সালে দেশের নাগরিকদের সুখ শান্তির খেয়াল রাখতে জাতীয় খুশি সমিতির গঠন করা হয়৷ জনগণনার সময় মানুষ নিজের জীবনযাপন নিয়ে সন্তুষ্ট কি না, তা জানার জন্য আলাদা প্রশ্ন রাখা হয়৷ ভুটানে নাগরিকদের খেয়াল রাখতে খুশি মন্ত্রক চালু করা হয়৷

ভুটানে কেউ রাস্তায় থাকেন না৷ কারও বাড়ি ঘর নষ্ট বা হাতছাড়া হয়ে গেলে দেশের রাজার কাছে গিয়ে জানালে তিনি বাড়ি তৈরি এবং চাষ করার জন্য আবেদনকারীকে জমি দেন৷

ভুটানে প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত বিনামূল্যে পড়াশোনা করা যায়৷ স্কুল কলেজের টিউশন ফি লাগে না৷ বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে পড়ুয়াদের বিদেশেও উচ্চশিক্ষার জন্য পাঠায় ভুটান সরকার৷

ভুটানের গ্রামীণ অঞ্চলে একটি নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত বিদ্যুতের বিল পুরোপুরি ফ্রি৷ চাষিদের বিনামূল্য বীজ দেয় সরকার৷ কৃষি কাজে প্রয়োজন হয়, এমন যন্ত্রাংশও বিনামূল্যে বা অত্যন্ত কম দামে চাষিদের জোগান দেওয়া হয়৷

১৯৭০ সালে প্রথমবার ভুটানে কোনও বিদেশি পর্যটককে ভুটানে আসার অনুমতি দেওয়া হয়৷ এখনও বিদেশিদের গতিবিধি এবং বিদেশি প্রভাবের উপরে কড়া নজর রাখে ভুটান সরকার৷

ভুটান মূলত বিদ্যুৎ রফতানি করে আয় করে৷ ভারতকে প্রচুর পরিমাণে জলবিদ্যুৎ বিক্রি করে ভুটান৷ এর পাশাপাশি সিমেন্ট, ইস্পাত, কাঠ, কৃষিজাত পণ্য উৎপাদন এবং রফতানি করে মূলত আয় করে ভুটান সরকার৷

ভুটানে মহিলাদের বিশেষ সম্মান দেওয়া হয়৷ সম্পত্তির উত্তরাধিকারের ক্ষেত্রেও পরিবারের বড় মেয়েকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হয়৷

ভুটান দেশটি খুবই পরিবেশ সচেতন৷ ১৯৯৯ সাল থেকেই ভুটানে প্ল্যাস্টিক ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়৷ দেশের ৬০ শতাংশ এলাকায় বনাঞ্চল রাখা বাধ্যতামূলক৷ নৈস্বর্গিক প্রাকৃতিক সৌন্দর্য থাকলেও ভুটানে সচেতন ভাবেই পর্যটনেও রাশ টানা হয়েছে৷

ভুটানে দীর্ঘ দিন ইন্টারনেট এবং টিভি দেখার উপরে নিষেধাজ্ঞা ছিল৷ কিন্তু ১৯৯৯ সালে সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেন ভুটানের রাজা৷

ভুটান দেশটি খুবই পরিবেশ সচেতন৷ ১৯৯৯ সাল থেকেই ভুটানে প্ল্যাস্টিক ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়৷ দেশের ৬০ শতাংশ এলাকায় বনাঞ্চল রাখা বাধ্যতামূলক৷ নৈস্বর্গিক প্রাকৃতিক সৌন্দর্য থাকলেও ভুটানে সচেতন ভাবেই পর্যটনেও রাশ টানা হয়েছে৷

তবে ভুটানের নাগরিকদের সরকার এবং রাজার সব সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে একটিই শর্ত মানতে হয়৷ ভুটানের কোনও নাগরিক কোনও বিদেশিকে বিয়ে করতে পারেন না৷ পাশাপাশি সমস্ত আনুষ্ঠানিক রীতি মানার পরই একজন নারী এবং পুরুষকে একই পরিবারের অংশ হিসেবে গণ্য করা হয়৷