দিল্লির ক্যান্ট রোডকে ভূতুড়ে বলেন অনেকে। এই রাস্তা ধরে যাতায়াতকারী অনেকেই দাবি করেন, এখানে সাদা শাড়ি পরা ভূত ঘুরে বেড়ায়। কথিত আছে, এই রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়া এক মহিলা লিফট চায় অনেকের কাছে। গাড়ি না থামালে গাড়ির পাশাপাশি দৌড়াতে শুরু করে। চালককে হয়রানি করে। তবে এই বিষয়ে কোনো প্রমাণ নেই।
তামিলনাড়ুর সত্যমঙ্গলম অভয়ারণ্যের মধ্য দিয়ে যাওয়া মহাসড়কটিকেও ভূতুড়ে বলে মনে করেন অনেকে। অনেকের কাছেই এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াতের অভিজ্ঞতা ভাল নয়।। লোকজন বলে, এই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় অপরিচিত লোকের কন্ঠস্বর শুনেছেন এবং অদ্ভুত আলোও দেখেছেন। তবে এখনও পর্যন্ত এসব ঘটনার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। জানিয়ে রাখা ভাল, এই জঙ্গলে ডাকাত বীরাপ্পনের আড্ডা ছিল। তাঁকে পরে পুলিশ এনকাউন্টার করে।
ভানগড় দুর্গকে ভারতের অন্যতম ভুতুড়ে স্থান হিসাবে বিবেচনা করা হয়। জনশ্রুতি আছে, দিল্লি-জয়পুর হাইওয়েতে রাতের বেলা অনেক ভূতুড়ে কাণ্ড ঘটে। এই হাইওয়েকে অভিশপ্ত বলে মনে করা হয়। অনেক মানুষ বিশ্বাস করেন, এই রাস্তায় অনেক ভয় ধরানো ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়। তবে সেসবের কোনও বাস্তব ব্যাখ্যা করা যাবে না। অনেকে বলেন, দুর্গের কাছাকাছি গিয়ে অনেকেই কিছু নেতিবাচক শক্তি এবং অদ্ভুত জিনিস অনুভব করেছেন।
ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচি এবং জামশেদপুরের সংযোগকারী জাতীয় মহাসড়ক-৩৩-এ ভয়ঙ্কর সব দুর্ঘটনা ঘটে। অনেকে বলেন, বেশ কিছু ক্ষেত্রে সেসব দুর্ঘটনা অস্বাভাবিক। এই নিয়ে কেউ কেউ বলেন, ভূতে এমনটা করছে। আবার কেউ কেউ বিশ্বাস করে, এই রাস্তা অভিশপ্ত। এই মহাসড়কের পাশে একটি মন্দির রয়েছে। জনশ্রুতি আছে, কোনও চালক গাড়ি থামিয়ে ওই মন্দিরে প্রার্থনা না করলে তাঁর গাড়ি দুর্ঘটনার শিকার হয়। এই যুক্তি যদিও বেশ অদ্ভুত।