সদ্য মা ফিরেছেন কৈলাসে সঙ্গে লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক ও গণেশ ৷ বাবা একা থাকবেন, খাওয়া ঠিকঠাক করবেন না বলেই মায়ের না বলেই তাড়াহুড়ো করেই বাড়িতে ফিরেছেন মা ৷ বাবা তো এমনিতেই ভোলা মহেশ্বর ৷ তার উপরে শরীর যদি খারাপ করে তবে দেখবেন টা ? মা মন খারাপ করে দিয়ে চলে গেলেও ৷ যাওয়ার আগে এক অলঙ্কার দিয়ে গিয়েছেন বলে গিয়েছেন কখনও মন খারাপ করবি না ৷ যখনই মন খারাপ হবে আমার কথা মনে করবি দেখবি আমাকে দেখতে পাবি ৷ তাই এখন মন খারাপ হলেই মায়ের সঙ্গে কথা বলি ৷ ছবি সংগৃহীত ৷
advertisement
মায়েরই মেয়ে সরস্বতী ৷ তিনি মায়ের সঙ্গে মামাবাড়ি এসেছিলেন ঘুরতে তিনিও লেখাপড়ার দোহাই দিয়ে কৈলাসে ফিরে গিয়েছেন ৷ তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন তাঁকে যে যেভাবেই ডাকেন সবার কাছেই তিনি পৌঁছন ৷ কাউকে হতাশ বা নিরাশ করেন না মা সরস্বতী ৷ তিনিও যাওয়ার আগে কানে কানে বলে গিয়েছেন আমাকে ছাড়া কোনও গতি নেই তোদের তাই শক্ত হাতে আমাকে ধরে রাখিস ৷ আর ভয়ের কী আছে আমি তো সব সময়েই তোদের সঙ্গেই আছি ৷ ছবি সংগৃহীত ৷
advertisement
ইনিও মায়ের গুণী মেয়ে ৷ প্রচলিত আছে যাঁরা মা সরস্বতীকে প্রেম করে থাকেন মা লক্ষ্মী তাঁদের সঙ্গে সঙ্গেই থাকেন ৷ প্রতি বৃহস্পতিবার মা প্রতিটি গৃহস্থেই মায়ের বন্দনা হয়ে থাকে ৷ সবে পার হয়েছে কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো ৷ মা লক্ষ্মীর কৃপা অত্যন্ত পরিমাণে দরকার মায়ের কৃপা না থাকলে জীবন আর জীবন থাকেনা মরুভূমি হয়ে ওঠে ৷ মা লক্ষ্মী সব সময়েই তাঁর সন্তানদের আগলে রাখেন ৷ মা লক্ষ্মী কম বেশি সবার কাছেই বিরাজ করে থাকেন আমরা আমাদের মাকে ধরে রাখতে পারিনা সে তো আমাদেরই ব্যর্থতা ৷ ছবি সংগৃহীত ৷
advertisement
মা আসতে আর হাতে গোণা মাত্র কয়েকটি দিনই বাকি আছে ৷ সারা বছরের অবসান অন্ধকার জীবনে আলোর রোশনাইতে ভরে উঠবে জীবনের যত কালো যত কুস্বভাব ৷ আলোর উৎসব দীপাবলি আসলে রাবণ বধের পরে ভগবান শ্রীরাম চন্দ্রের অযোধ্যায় ফিরে আসার উৎসব ৷ দীপাবলি বা কালীপুজো বাঙালির কাছে এ এক চরম পাওয়া ৷ সে মা যত বাবার বুকের উপরে ভুল করেই দাঁড়ান না কেন ? তিনি আসলে জীবনের প্রতীক মা কালীকে দেখতে পাওয়া যায় না তিনি আমাদের মনের প্রতীক মন দেখা যায়না আর নীচে নিরুতাপে শুয়ে রয়েছেন বাবা তিনি আমাদের শরীরের প্রতীক তাঁকে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে ৷ জীব ও জড়ের সমান্বয়ে সৃষ্টি হয়েছে এক এক নিদারুণ অর্ধনারীশ্বর ৷ ছবি সংগৃহীত ৷
advertisement
মা সারদা তিনি স্বয়ং দুর্গা, লক্ষ্মী, সরস্বতী, জগদ্ধাত্রী ৷ মায়ের ভবে আসার অন্যতম উদ্দেশই সন্তানকে আগলে রাখা তিনি সতেরও মা, আবার অসতেরও মা ৷ বারেবারে সন্তানের জন্য তাঁর কেঁদেছে প্রাণ ৷ সন্তানদের উদ্দেশে তিনি অনেক অলঙ্কারই রেখে গিয়েছেন ৷ সব অলঙ্কারের শ্রেষ্ঠ অলঙ্কার মায়ের পরশ ৷ মা সবাইকেই সুন্দর কানের দুল উপহার দিয়ে গিয়েছেন তাঁর ছেলে মেয়ে নির্বিশেষে ৷ মা বলে গিয়েছেন কেউ কখনও খারাপ কথা বললে তুমি খারাপ ভাবে নেবেনা নিজের কান দিয়ে ভাল ও শুদ্ধ করে নেবে তা ৷ যদি শান্তি চাও সংসারে তো দেখবে না কারোর দোষ, দোষ দেখবে শুধুই নিজের ৷ ছবি সংগৃহীত ৷