জগন্নাথ-বলভদ্র, সুভদ্রার আশীর্বাদে মিটবে অভাব, পূর্ণিমায় শ্রীক্ষেত্রে ভক্তদের সামনে রাজবেশে দর্শন মহাপ্রভুর

পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের গোপন কক্ষে সাতটি ঘর আছে। সেই ঘরগুলিই হল রত্নভাণ্ডার ।

শ্রী জগন্নাথের ‘ব্রহ্মবস্তু’র মতোই রত্নভাণ্ডারের রহস্য অধরাই রয়ে গিয়েছে। যে ঘরগুলি খোলা সম্ভব হয়েছিল, সেখান থেকে উদ্ধার হয় ১৮০ রকমের মণিমুক্তো খচিত সোনার অলঙ্কার।

যার মধ্যে আছে মুক্তো, প্রবালের মতো অত্যন্ত দামী পাথর। এছাড়া, ১৪৬ রকমের রুপের অলঙ্কার রয়েছে ।

তবে, এই সবই ‘ভিতর রত্নভাণ্ডার’-এর কথা। ‘বাহার ভাণ্ডার’-এর চিত্র কিছুটা অন্যরকম।

পুরীর শ্রীজগন্নাথ মন্দির আইন, ১৯৫২ অনুযায়ী রেকর্ড জানার অধিকারে ১৯৭৮ সালে তালিকা তৈরি হয়েছে ।

সেই তালিকা অনুযায়ী, বাহার ভাণ্ডারে ১৫০ রকমের স্বর্ণ অলঙ্কার আছে। যার মধ্যে তিনটি সোনার হার আছে ।

যার এক একটির ওজন প্রায় দেড় কেজি । জগন্নাথ এবং বলভদ্রের স্বর্ণ শ্রীভুজ ও শ্রীপায়রের ওজন যথাক্রমে সাড়ে ৯ কেজি এবং সাড়ে ৮ কেজি।

প্রতি বিজয়া দশমী, কার্তিক পূর্ণিমা, পৌষ পূর্ণিমা এবং মাঘী পূর্ণিমার দিন শ্রীক্ষেত্রে ভক্তদের সামনে রাজবেশে দর্শন দেন মহাপ্রভু ।

জগন্নাথ, বলভদ্র, সুভদ্রার রথে চড়ে মামবাড়ি যাওয়ার দৃশ্য সবার কাছে পুণ্যার্জনের ৷ শাস্ত্রমতে রথের উপরে বামুনকে যিনি দেখেছেন তাঁর সমস্ত জীবন পূরণ হয়েছে ৷ তাঁর আর পুনর্জন্ম হয়েছে ৷