Insects Food In India: দেশের এই রাজ্যগুলিতে সত্যি সত্যি পোকামাকড় রেঁধে খায় মানুষ ! জানতেন কি?
- Published by:Siddhartha Sarkar
- trending desk
Last Updated:
বিশ্ব পরিস্থিতি এমন দিকে গড়াচ্ছে যে, আগামী দিনে মানুষের প্রধান খাদ্য হয়ে উঠতে পারে এই পোকামাকড়। কারণ তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে কৃষির উৎপাদন ক্রমশ কমবে।
advertisement
advertisement
এমনকী, বিশ্ব পরিস্থিতি এমন দিকে গড়াচ্ছে যে, আগামী দিনে মানুষের প্রধান খাদ্য হয়ে উঠতে পারে এই পোকামাকড়। কারণ তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে কৃষির উৎপাদন ক্রমশ কমবে। ভারতের কোন প্রদেশে পোকামাকড় খেয়ে জীবন ধারণ করেন, দেখে নেওয়া যাক এক নজরে— উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে হরেক প্রজাতির রেশম কীট বা পোলু বা আন্দি বা ইরানি পাওয়া যায়। এই লার্ভা বাড়িতে পালন করা হয়। এগুলি থেকে যেমন সিল্কের সুতো পাওয়া যায়, তেমনই এগুলি খাওয়াও যায়। অসমের উপজাতি সম্প্রদায়ের মধ্যে পোলু-র পদ তৈরি প্রচলন রয়েছে। অসমে, রেশম কীট বিক্রি হয় ৬০০-৭০০ টাকা কেজিতে এবং লাল পিঁপড়ে প্রতি কেজির দাম ১,০০০-১,৫০০ টাকা।
advertisement
ওড়িশার রায়গড় জেলার আদিবাসীরা লাল পিঁপড়ার ডিম এবং খেজুরি পোকা খেয়ে থাকেন। ইংরেজিতে ডেট পাম ওয়ার্ম, স্থানীয় ভাষায় খেজুরি পোকা। এগুলি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর। ওড়িয়া জনজাতির মানুষ তাঁদের পূর্বপুরুষদের উত্তরাধিকার সূত্রে এই খাদ্যভ্যাস পেয়েছেন। খেজুরি পোকার লার্ভা গাছের গোড়ায় পাওয়া যায়। রায়গড়ে কোন্ধ এবং সোরা উপজাতি মানুষ ভাতের সঙ্গে এই পোকা ভাজা খান চেটেপুটে। এই সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে লাল পিঁপড়ের ডিম খাওয়ার চলও রয়েছে। স্থানীয় ভাষায় একে বলে কায়ন্ডাও। রাগি আটার সঙ্গে মিশিয়ে ভাতের সঙ্গে এগুলি খাওয়া হয়।
advertisement
নাগাল্যান্ডের নাগা উপজাতির মানুষও বাদুড়, পোকামাকড় খায়ে থাকেন। বিশেষ করে কাঠের উপর এক ধরনের পোকা হয়, সেটা এবং রেশমকীট তাঁদের প্রিয়। সাধারণত এসব পোকা তাঁরা তেলে ভেজে খান। কোনও কোনও উপজাতি আবার এগুলিকে বাঁশের ভিতরে ভিনিগারে ভিজিয়ে রেখে রান্নাও করে। নাগাল্যান্ডে, লিপা নামে পরিচিত কাঠপোকা ওক গাছ থেকে আহরণ করা হয়। লিপা সাধারণত ঝুম চাষের সময় সংগ্রহ করা হয়। মধ্যপ্রদেশ, ওড়িশা, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, কেরল, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, অসম, মণিপুর এবং অরুণাচলপ্রদেশে পোকামাকড় খাওয়া প্রচলিত।
advertisement
মধ্যপ্রদেশের মুরিয়া উপজাতি চিঙ্কারা নামের পিঁপড়ের লার্ভা খায়। কর্নাটকের কিছু গ্রামে, শারীরিকভাবে দুর্বল শিশুদের রানি পিঁপড়ে খাওয়ানো হয়। তবে পোকা খাওয়ার প্রচলন বেশি উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতেই। শুধুমাত্র অরুণাচলপ্রদেশেই ১৫৮ প্রজাতির পোকা খাওয়া হয়। রাজ্যের নিশি এবং গ্যালো উপজাতিরা প্রায় ১০২টি প্রজাতির পোকামাকড় খেয়ে থাকে।
advertisement
জাতিসংঘের ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচাল অর্গানাইজেশন (FOA)-এর তরফে ২০১৩ সালে প্রকাশিত ‘Edible Insects: Future Prospects for Food and Feed Security’ প্রতিবেদনে লেখক পল ভ্যান্টমের বলেন, সারা বিশ্বে প্রায় ২ বিলিয়ন মানুষ পোকামাকড় খান। এগুলি মুরগি, মাছ এবং শূকরের প্রাকৃতিক খাদ্য। বিশ্বব্যাপী, ১,৯০০-র বেশি প্রজাতির পোকামাকড় খাওয়া হয়। ভারতেই খাওয়া হয় প্রায় ৩০৩ প্রজাতির পোকামাকড়।
advertisement
জলবায়ু পরিবর্তনের যুগে খাদ্য হিসেবে পোকামাকড়ের গুরুত্ব রয়েছে। এই খাদ্যে গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণ কমানোর ক্ষমতা রয়েছে। জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী কার্বন ডাই অক্সাইড কমাতে হলে মানুষের খাদ্যাভ্যাসে বদল দরকার। প্রাণীজ প্রোটিন কম করতে হবে। সেখানেই বলা হয়েছে পোকামাকড় হতে পারে মাংসের একটি বিকল্প। এই খাদ্যাভ্যাস পরিবেশবান্ধব।