সবজি বিক্রেতা থেকে ১১ কোটি টাকার মালিক ! পঞ্জাব লটারি বিজয়ীর পরিচয় নিয়তিতে বিশ্বাস করতে শেখাবে

নিয়তি কখন কাকে নিয়ে কোন খেলা খেলবে, তা বলা খুবই মুশকিল! এরকমটা হয়েই থাকে যে এক ব্যক্তির কোনও এক জায়গায় যাওয়ার কথা ছিল না, কিন্তু নিয়তি তাকে সেখানে টেনে নিয়ে গেল। আর সেখান থেকেই শুরু হল তার ভাগ্যের বদল। সত্যি সত্যিই নিয়তি রাজাকে ফকির আর ফকিরকে রাজা করতে পারে।

রাজস্থানের একজন সাধারণ সবজি বিক্রেতা অমিত সেহরার যেমন পঞ্জাব রাজ্য লটারির দিওয়ালি বাম্পার ২০২৫-এ ১১ কোটি টাকার প্রথম পুরস্কার জেতার পর রাতারাতি জীবন বদলে গিয়েছে। বিজয়ী টিকিট, যার নম্বর A438586, সেটা ভাটিন্ডা থেকে মাত্র ৫০০ টাকায় কেনা হয়েছিল এবং এখন জয়পুর জেলার কোটপুতলির বাসিন্দা ৩২ বছর বয়সী অমিতকে রাতারাতি কোটিপতি করে তুলেছে।

নিউজ18-এর প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, রাস্তার ধারের গাড়িতে সবজি বিক্রি করা অমিত লটারির পুরস্কারের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে নিজের পরিবারের সঙ্গে ভাটিন্ডা যাবেন। ৩১ অক্টোবর রাত ৮টায় লুধিয়ানায় অনুষ্ঠিত লটারির ড্রতে উল্লেখযোগ্য পুরষ্কার ছিল, যার মধ্যে দ্বিতীয় পুরস্কারের মূল্য ছিল ১ কোটি টাকা এবং তৃতীয় পুরস্কারের মূল্য ছিল ৫০ লাখ টাকা এবং মোট ৬.৬৯১ বিলিয়ন টাকার পুরষ্কার ছিল। (Photo: ANI)

১ নভেম্বর জয়ের ঘোষণার পর, অমিত তিন দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন, যার ফলে লটারি এজেন্সি ফোন কল, বার্তা এবং স্থানীয় জরিপের মাধ্যমে তাকে খুঁজতে থাকে। অমিতের ফোন ভাঙা থাকার কারণে যোগাযোগ বিঘ্নিত হয়েছিল, কিন্তু অবশেষে তাঁর সন্ধান পাওয়া যায়। শাকসবজি বিক্রি করার সময় তিনি তাঁর প্রতিবেশীর কাছ থেকে জয়ের কথা জানতে পারেন, প্রথমে ভেবেছিলেন এটা একটা স্বপ্ন।

স্ত্রী রীতা এবং তাদের দুই ছোট বাচ্চার সঙ্গে কোটপুতলিতে বসবাসকারী অমিত ভোর ৫টায় তাঁর গাড়ি নিয়ে দিন শুরু করে এবং সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরেন। পঞ্জাব ভ্রমণের সময় তিনি লটারির টিকিট কিনেছিলেন। তাঁর জয় পরিবারের জন্য অপরিসীম আনন্দ বয়ে এনেছে, এবং অমিত ঋণ পরিশোধ, বাড়ি তৈরি এবং তার সন্তানদের শিক্ষায় বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা প্রকাশ করেছেন।

নিয়তি কখন কাকে নিয়ে কোন খেলা খেলবে, তা বলা খুবই মুশকিল! এরকমটা হয়েই থাকে যে এক ব্যক্তির কোনও এক জায়গায় যাওয়ার কথা ছিল না, কিন্তু নিয়তি তাকে সেখানে টেনে নিয়ে গেল। আর সেখান থেকেই শুরু হল তার ভাগ্যের বদল। সত্যি সত্যিই নিয়তি রাজাকে ফকির আর ফকিরকে রাজা করতে পারে।

লটারি কর্মকর্তারাও নিশ্চিত করেছেন যে, অমিত তাঁর পুরস্কার দাবি করতে ভাটিন্ডায় পৌঁছবেন, ১১ কোটি টাকা থেকে কর কেটে নিয়ে তাঁকে বাকিটা দেওয়া হবে। পঞ্জাব লটারি বিভাগের পরিচালক উল্লেখ করেছেন যে ৩০ দিনের মধ্যে পুরস্কার দাবি করতে হবে। অমিত বলেন, ‘‘আমি একটি সত্যিকারের দীপাবলির উপহার পেয়েছি। ঈশ্বর সকলের মঙ্গল করুন ৷’’