ভারতের জাতীয় পশু বাঘ আর পাকিস্তানের কী? নামটা জানলেই অনেকে হেসে ফেলবেন...
- Published by:Siddhartha Sarkar
Last Updated:
যে-সে ছাগল নয়, পাহাড়ে পাহাড়ে চরে বেড়ানো এই বিশেষ প্রজাতির নাম মারখোর।
জানিয়ে দিয়েছে খুব ছোট বয়সের পাঠ্য বই- আমাদের দেশের জাতীয় প্রাণী হল বাঘ। শক্তি, ক্ষিপ্রতা এবং শিকারের দক্ষতার মতো গুণাবলীর প্রতীক এই প্রাণীটি আমাদের গর্ব। কিন্তু অনেকেই জানেন না যে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের জাতীয় প্রাণী কী! সহজ ভাবে বললে- ছাগল! তবে, যে-সে ছাগল নয়, পাহাড়ে পাহাড়ে চরে বেড়ানো এই বিশেষ প্রজাতির নাম মারখোর।
advertisement
advertisement
‘মারখোর’ শব্দটি পশতু ভাষা থেকে এসেছে। এর অর্থ সাপভক্ষক। লোকবিশ্বাস অনুসারে, মারখোর তার শক্তিশালী শিং এবং দাঁত দিয়ে সহজেই সাপ মেরে ফেলতে পারে। এটাও বিশ্বাস করা হয় যে তার মুখ থেকে বেরিয়ে আসা ফেনা সাপের বিষকে নিষ্ক্রিয় করে। তাই, স্থানীয়রা বিশ্বাস করে যে মারখোর যেখানে বাস করে সেখানে সাপ বেশি দিন বেঁচে থাকতে পারে না। মারখোরের শরীরের গঠনও খুব শক্তিশালী। (Photo: AI)
advertisement
এটি প্রায় ৬ ফুট উচ্চতা পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। এর ওজন প্রায় ২৪০ পাউন্ড (১০০ কিলোগ্রামেরও বেশি) পর্যন্ত হতে পারে। চিবুক থেকে পেট পর্যন্ত ঝোলা লম্বা দাড়ি চেহারায় এক অনন্য আকর্ষণ যোগ করে। এই প্রজাতির ছাগল মূলত পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের পাহাড়ি অঞ্চলে পাওয়া যায়। পাহাড়ের রুক্ষ ভূখণ্ড এবং কঠোর জলবায়ু এই প্রাণীর জীবনধারণের জন্য আদর্শ।
advertisement
তবে, ভারতেও মারখোর পাওয়া যায়। ১৯৯৭ সালে ভারতে মারখোর বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছিল। ২০০৪ সালের অক্টোবর থেকে ২০০৫ সালের এপ্রিল মাসে কাশ্মীরে ওয়াইল্ডলাইফ ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়ার রেঞ্জ-ওয়াইড জরিপ থেকে এই প্রজাতির অস্তিত্ব প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত এটি বিলুপ্ত বলেই মনে করা হত। ২০২১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী কাজিনাগ জাতীয় উদ্যানে আনুমানিক ২০০ মারখোর ছিল। ভারতে এটি বারামুল্লা অঞ্চলে পাওয়া যায়, যা এলওসি-র কাছে অবস্থিত। কাশ্মীরের অন্যান্য অংশে যেখানে মারখোর পাওয়া যায় তার মধ্যে রয়েছে পীরপঞ্জল, এখানকার হিরপোরা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে ২০২১ সালে প্রায় ৩৫ মারখোর ছিল এবং তাতাকুটি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে প্রায় ২০ থেকে ২৫ মারখোর ছিল।