হাতে লেখা না কি কম্পিউটারে টাইপ করা বোঝা মুশকিল! নেপালি কন্যের সুন্দর হাতের লেখায় মজেছে গোটা দুনিয়া

ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ভাল পড়াশোনা করার পাশাপাশি হাতের লেখার যত্ন নেওয়াও প্রয়োজন। যদি পড়ুয়াদের হাতের লেখা মুক্তোর মতো সুন্দর হয়, তাহলে তারা সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়। তবে প্রতিটি মানুষের হাতের লেখার ধরন কিন্তু আলাদা হয়।

কিছু ছাত্র-ছাত্রী পড়াশোনায় সত্যিই ভাল। কিন্তু তাদের হাতের লেখা তেমন একটা সুন্দর নয়। আবার পড়াশোনায় তেমন জোরালো নয়, এমন পড়ুয়ার হাতের লেখা সুন্দর হতে পারে। তবে বিশ্বে কার হাতের লেখা সবথেকে সুন্দর? এমনটা কি হওয়া সম্ভব? হ্যাঁ এমনটাই ঘটেছে। যা হয়তো অনেকেই জানেন না। প্রাকৃতি মাল্লা নামে এক নেপালি স্কুলছাত্রীর হাতের লেখাই বিশ্বের সবথেকে সুন্দর হাতের লেখার তকমা জিতে নিয়েছে।

শুধু তা-ই নয়, সুন্দর হাতের লেখার জন্য বর্তমানে তিনি সংবাদমাধ্যমের চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছেন। প্রাকৃতি মাল্লার বয়স এখন ১৬ বছর। নেপালের সৈনিক ভাষ্য মহাবিদ্যালয়ের ছাত্রী প্রকৃতি ১৪ বছর বয়সে দশম শ্রেণীতে পড়েছেন।

এই মুহূর্তে তাঁর হাতের লেখার ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। গোটা বিশ্বের মানুষই প্রকৃতির সুন্দর হাতের লেখার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করছে। ভাইরাল হওয়া হাতের লেখার ছবি নেটিজেনরা ভালবাসায় ভরিয়ে দিয়েছেন। কমেন্ট বক্স জুড়ে এসেছে নেটাগরিকদের প্রশংসামূলক মন্তব্যও।

শুধু তা-ই নয়, গোটা বিশ্বের হাতের লেখার বিশেষজ্ঞরা পর্যন্ত ওই কিশোরীর হাতের লেখা দেখে চমকে গিয়েছেন। নেটিজেনদের মধ্যে অনেকেরই বক্তব্য, কাগজের উপর প্রকৃতির হাতের লেখা দেখে বোঝার উপায় নেই যে, সেটি হাতের লেখা না কি কম্পিউটারে টাইপ করা হরফ!

এমনকী কেউ কেউ তো বলছেন, কম্পিউটারের থেকেও সুন্দর করে লিখতে পারে প্রকৃতি। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, প্রকৃতির হাতের লেখার ক্ষেত্রে প্রতিটি অক্ষরের মাঝে সমান ফাঁক থাকে।

তার হাতের লেখা এই মুহূর্তে শুধুমাত্র নেপালেই সেরা নয়, এর পাশাপাশি গোটা বিশ্বেই তা সেরার তকমা লাভ করেছে। ইতিমধ্যেই প্রকৃতির মাল্লার হাতের লেখাকে স্বীকৃতি দিয়েছে নেপাল সরকার। এর পাশাপাশি দুর্দান্ত হাতের লেখার কারণে নেপাল সশস্ত্র বাহিনীর তরফ থেকে পুরস্কারও পেয়েছে ওই কিশোরী।