General Knowledge: ডট, হীরা না তারা! ভারতীয় কয়েনের নিচে কেন চিহ্ন থাকে? আপনার হাতে থাকা মুদ্রা কোন টাঁকশালের তৈরি, জানুন সহজেই

Last Updated:
General Knowledge: দৈনন্দিন জীবনে প্রতিদিনই প্রায় আমরা বিভিন্ন কয়েন ব্যবহার করে থাকি কিন্তু আপনি কি জানেন আপনার হাতে থাকা কয়েনগুলির নিচে যে বিভিন্ন চিহ্ন থাকে তার অর্থ কি? কেনই বা কয়েনের নিচে এই চিহ্নগুলি দেওয়া থাকে?
1/6
দৈনন্দিন জীবনে প্রতিদিনই প্রায় আমরা বিভিন্ন কয়েন ব্যবহার করে থাকি কিন্তু আপনি কি জানেন আপনার হাতে থাকা কয়েনগুলির নিচে যে বিভিন্ন চিহ্ন থাকে তার অর্থ কি ? কেনই বা কয়েনের নিচে এই চিহ্নগুলি দেওয়া থাকে? (ছবি ও তথ্য :সায়নী সরকার)
দৈনন্দিন জীবনে প্রতিদিনই প্রায় আমরা বিভিন্ন কয়েন ব্যবহার করে থাকি কিন্তু আপনি কি জানেন আপনার হাতে থাকা কয়েনগুলির নিচে যে বিভিন্ন চিহ্ন থাকে তার অর্থ কি ? কেনই বা কয়েনের নিচে এই চিহ্নগুলি দেওয়া থাকে? (ছবি ও তথ্য: সায়নী সরকার)
advertisement
2/6
ভাল করে লক্ষ্য করলে আপনি দেখবেন ভারতীয় মুদ্রার নিচে নির্দিষ্ট কতকগুলি চিহ্ন থাকে।অনেকেই জানেন না, মুদ্রার নীচের চিহ্নগুলি আদপে কিসের প্রতীক। কয়েনের যে অংশে টাকার অঙ্ক লেখা থাকে, তার ঠিক নিচে এই চিহ্নগুলি খোদাই করা থাকে। এই চিহ্নগুলো দেখে সহজেই বোঝা যায় কয়েনটি কোন টাকশালে তৈরি হয়েছে অর্থাৎ প্রত্যেকটি কয়েনের নিজেই থাকে একটি মিন্ট মার্ক।
ভাল করে লক্ষ্য করলে আপনি দেখবেন ভারতীয় মুদ্রার নিচে নির্দিষ্ট কতকগুলি চিহ্ন থাকে।অনেকেই জানেন না, মুদ্রার নীচের চিহ্নগুলি আদপে কিসের প্রতীক। কয়েনের যে অংশে টাকার অঙ্ক লেখা থাকে, তার ঠিক নিচে এই চিহ্নগুলি খোদাই করা থাকে। এই চিহ্নগুলো দেখে সহজেই বোঝা যায় কয়েনটি কোন টাকশালে তৈরি হয়েছে অর্থাৎ প্রত্যেকটি কয়েনের নিজেই থাকে একটি মিন্ট মার্ক।
advertisement
3/6
ইতিহাসবিদ সর্বজিৎ যশ জানান, ভারতীয় মুদ্রায় মূলত চারটি চিহ্ন দেখা যায়।একটি তারা (star), একটি হীরা (diamond), একটি বিন্দু (dot), বা একটি 'B' বা 'M' অক্ষর থাকতে পারে। আবার বেশ কিছু কয়েনে কোন চিহ্ন থাকে না। প্রত্যেকটি চিহ্নের অর্থ ভিন্ন। এই চিহ্নগুলি অর্থ জানলে আপনিও কয়েন দেখলেই বলে দিতে পারবেন এটি কোথায় তৈরি। ভারতের মূলত চারটি টাকশাল রয়েছেন। মুম্বাই, হায়দ্রাবাদ, কলকাতা, নয়ডা।
ইতিহাসবিদ সর্বজিৎ যশ জানান, ভারতীয় মুদ্রায় মূলত চারটি চিহ্ন দেখা যায়।একটি তারা (star), একটি হীরা (diamond), একটি বিন্দু (dot), বা একটি 'B' বা 'M' অক্ষর থাকতে পারে। আবার বেশ কিছু কয়েনে কোন চিহ্ন থাকে না। প্রত্যেকটি চিহ্নের অর্থ ভিন্ন। এই চিহ্নগুলি অর্থ জানলে আপনিও কয়েন দেখলেই বলে দিতে পারবেন এটি কোথায় তৈরি। ভারতের মূলত চারটি টাকশাল রয়েছেন। মুম্বাই, হায়দ্রাবাদ, কলকাতা, নয়ডা।
advertisement
4/6
কলকাতার তারাতলা ভারতের প্রথম টাঁকশাল প্রতিষ্ঠিত হয় ১৭৫৭ সালে।যেহেতু দেশের প্রথম টাঁকশাল, তাই গুরুত্ব বোঝাতে আলাদা করে কোনও প্রতীকী চিহ্ন ব্যবহৃত হয় না। অর্থাৎ কয়েন তৈরির বছর যেখানে লেখা থাকে, তার নীচে কোনও বিশেষ চিহ্ন না থাকলে বুঝবেন সেটি কলকাতার টাঁকশালে তৈরি। ১৮২৯ সালে দেশের দ্বিতীয় টাঁকশালটি প্রতিষ্ঠিত হয় মুম্বইয়ে। কয়েনের সালের নিচে হীরক চিহ্ন থাকলে বুঝে নিতে হবে সেটি মুম্বইয়ের টাঁকশালে তৈরি।
কলকাতার তারাতলা ভারতের প্রথম টাঁকশাল প্রতিষ্ঠিত হয় ১৭৫৭ সালে।যেহেতু দেশের প্রথম টাঁকশাল, তাই গুরুত্ব বোঝাতে আলাদা করে কোনও প্রতীকী চিহ্ন ব্যবহৃত হয় না। অর্থাৎ কয়েন তৈরির বছর যেখানে লেখা থাকে, তার নীচে কোনও বিশেষ চিহ্ন না থাকলে বুঝবেন সেটি কলকাতার টাঁকশালে তৈরি। ১৮২৯ সালে দেশের দ্বিতীয় টাঁকশালটি প্রতিষ্ঠিত হয় মুম্বইয়ে। কয়েনের সালের নিচে হীরক চিহ্ন থাকলে বুঝে নিতে হবে সেটি মুম্বইয়ের টাঁকশালে তৈরি।
advertisement
5/6
১৯৯৫ সালে ব্রিটিশ আমলের ‘বম্বে’ হটিয়ে আরব সাগরের তীরে অবস্থিত শহরের নাম বদলে ‘মুম্বই’ করে সেনা। তাই যদি কোনও কয়েনে উৎপাদনের বছরের তলায় ইংরেজিতে ‘বি’ লেখা থাকে, তা হলে বুঝতে হবে সেটি মুম্বইয়েই তৈরি, তবে নাম বদলের আগে। আর ‘এম’ লেখা কয়েনগুলি নাম বদলের পরে।
১৯৯৫ সালে ব্রিটিশ আমলের ‘বম্বে’ হটিয়ে আরব সাগরের তীরে অবস্থিত শহরের নাম বদলে ‘মুম্বই’ করে সেনা। তাই যদি কোনও কয়েনে উৎপাদনের বছরের তলায় ইংরেজিতে ‘বি’ লেখা থাকে, তা হলে বুঝতে হবে সেটি মুম্বইয়েই তৈরি, তবে নাম বদলের আগে। আর ‘এম’ লেখা কয়েনগুলি নাম বদলের পরে।
advertisement
6/6
১৯০৩ সালে তৎকালীন নিজাম সরকার হায়দরাবাদে দেশের তৃতীয় টাঁকশালটির প্রতিষ্ঠা করেন। কোনও কয়েনের সালের নীচে নক্ষত্র চিহ্ন থাকলে বুঝতে হবে সেটি হায়দরাবাদে তৈরি। আবার অর্ধেক হীরকখণ্ড অথবা তারার মধ্যে একটি বিন্দু থাকলে সেটিও তৈরি হায়দরাবাদের টাঁকশালে।১৯৮৪ সালে দেশের চতুর্থ এবং শেষ টাঁকশালটি তৈরি হয় উত্তরপ্রদেশের নয়ডায়। কয়েন তৈরির বছরের নীচে গোল বিন্দু থাকলে বুঝতে হবে সেটি নয়ডার টাঁকশালে তৈরি। (ছবি ও তথ্য: সায়নী সরকার)
১৯০৩ সালে তৎকালীন নিজাম সরকার হায়দরাবাদে দেশের তৃতীয় টাঁকশালটির প্রতিষ্ঠা করেন। কোনও কয়েনের সালের নীচে নক্ষত্র চিহ্ন থাকলে বুঝতে হবে সেটি হায়দরাবাদে তৈরি। আবার অর্ধেক হীরকখণ্ড অথবা তারার মধ্যে একটি বিন্দু থাকলে সেটিও তৈরি হায়দরাবাদের টাঁকশালে।১৯৮৪ সালে দেশের চতুর্থ এবং শেষ টাঁকশালটি তৈরি হয় উত্তরপ্রদেশের নয়ডায়। কয়েন তৈরির বছরের নীচে গোল বিন্দু থাকলে বুঝতে হবে সেটি নয়ডার টাঁকশালে তৈরি। (ছবি ও তথ্য: সায়নী সরকার)
advertisement
advertisement
advertisement