Lawrence Bishnoi: লরেন্স বিষ্ণোইয়ের আসল নাম কী ? কলেজ পড়ুয়া থেকে কীভাবে হয়ে উঠলেন ‘ডন’? জানুন গ্যাংস্টার বিষ্ণোইয়ের কাহিনি
- Published by:Siddhartha Sarkar
- trending desk
Last Updated:
Lawrence Bishnoi's Life Story: জেলে বসেই বছরে বছরে লরেন্স বিষ্ণোই খরচ করে চলেন ৩৫-৪০ লাখ টাকা, এমনটা এবার শোনা গিয়েছে।
জেলে আছেন ১০ বছরের বেশি সময় হয়ে গেল। একাধিকবার বদলেছে কয়েদবাসের ঠিকানাও। এখন যেমন রয়েছেন গুজরাতের আহমেদাবাদের সবরমতী সেন্ট্রাল জেলে। কিন্তু বিলাসবহুল জীবনযাপনে এতটুকুও ভাটা পড়েনি। জেলে বসেই বছরে বছরে লরেন্স বিষ্ণোই খরচ করে চলেন ৩৫-৪০ লাখ টাকা, এমনটা এবার শোনা গিয়েছে। কোথা থেকে সেই টাকা আসে, সেই বিষয়ে মুখ খুলেছেন লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ঘনিষ্ঠ সূত্র।
advertisement
advertisement
রমেশ বিষ্ণোই বলছেন যে জেলে যাতে লরেন্স ভালভাবে থাকতে পারে, তার কোনও অসুবিধা হয় না, সেই জন্য তাঁর মা-বাবাই বছরে বছরে ৩৫-৪০ লাখ টাকা খরচ করেন। এই টাকা কোথা থেকে আসে, সেই প্রশ্নের উত্তর বেশ সরাসরিই দিয়েছেন ভাই। ‘‘আমাদের বরাবরই ধনী পরিবার! লরেন্সের বাবা হরিয়ানা পুলিশে কনস্টেবলের কাজ করতেন বটে, কিন্তু আমাদের গ্রামে তাঁর ১১০ একর চাষের জমি আছে। লরেন্স বরাবরই দামি দামি জামা, জুতো পরত। এখনও যাতে বহাল তবিয়তে থাকতে পারে, সেই জন্য পরিবার থেকে বছরে বছরে ৩৫-৪০ লাখ টাকা পাঠানো হয়’’, বলছেন রমেশ বিষ্ণোই।
advertisement
advertisement
এর পরে নদী দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে আর দেশ জুড়ে রক্তধারা। লরেন্স বিষ্ণোইয়ের এখন বয়স ৩১ বছর। ২০১০ সালে তিনি চণ্ডীগড় কলেজে ভর্তি হন। কিছুদিনের মধ্যেই যোগ দেন ছাত্র রাজনীতিতে। ২০১১ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত তিনি পঞ্জাব ইউনিভার্সিটির ছাত্র সংগঠনের সভাপতি ছিলেন। ২০১০ সালের এপ্রিলে খুনের চেষ্টার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে প্রথম ফৌজদারি মামলা দায়ের হয়। একই সঙ্গে বেআইনি অনুপ্রবেশের অভিযোগে দায়ের হয় এফআইআর। দুটি মামলাই ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।
advertisement
২০১২ সালে জেল হয় বিষ্ণোইয়ের। মহারাষ্ট্র কন্ট্রোল অফ অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যাক্টে তাঁকে তিহাড়ে স্থানান্তর করা হয়। ২০১৩ সালে তিনি সরকারি কলেজ নির্বাচনের জয়ী প্রার্থী এবং লুধিয়ানা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে গুলি করে খুন করেন। বিষ্ণোইয়ের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক নেতাদের খুন, চাঁদাবাজি-সহ এক ডজনের বেশি ফৌজদারি মামলা রয়েছে। তাঁর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে মদ এবং অস্ত্র চোরাচালানের কারবার চালানোর অভিযোগও রয়েছে। সীমান্ত চোরাচালানের একটি মামলায় তাঁকে গুজরাতে নিয়ে যায় এটিএস।
advertisement
advertisement