GK: উচ্ছে, করলা বা নিমপাতা নয়! 'এই' সবজি ছিনিয়ে নিল পৃথিবীর 'সবচেয়ে তেতো' জিনিসের তকমা, কী বলুন তো...
- Published by:Shubhagata Dey
Last Updated:
GK: আড়াই হাজার উপকরণের ওপর গবেষণা, ৮০০ স্বাদের পরীক্ষা করে বিজ্ঞানীরা এই তিক্ত স্বাদ সম্পর্কে সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা পেয়েছেন। বিশ্বজুড়ে ২,৫০০ টিরও বেশি বিভিন্ন ধরণের উপাদান পরীক্ষা হয়েছে।
*আমরা প্রতিদিন যে খাবার খাই তাতে মিষ্টি, নোনতা, তেতো, টক স্বাদ ইত্যাদি থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। তবে তাদের মধ্যে 'তিক্ত' স্বাদ কারও কারও কাছে অপ্রীতিকর মনে হতে পারে। তবে বিজ্ঞানীদের জন্য এটি খুবই কৌতূহলোদ্দীপক একটি বিষয়। কারণ আমরা যে খাবার খাই সেগুলিতে কোনও কোনওটির স্বাদ এত তীব্র, যে তার পরিমাপ করা এবং শনাক্ত করা সহজ নয়। বিশেষ করে 'তিক্ত' পদার্থ চিহ্নিত করা বিজ্ঞানীদের জন্য একটি বিশাল চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
advertisement
*আড়াই হাজার উপকরণের ওপর গবেষণা, ৮০০ স্বাদের পরীক্ষা করে বিজ্ঞানীরা এই তিক্ত স্বাদ সম্পর্কে সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা পেতে বিশ্বজুড়ে ২,৫০০ টিরও বেশি বিভিন্ন ধরণের উপাদান পরীক্ষা করেছেন। তারা তাদের মধ্যে ৮০০ মানুষের জিহ্বায় পরীক্ষা করেন এবং কোন পদার্থটি সবচেয়ে তিক্ত তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছিল। অবশেষে তাদের প্রচেষ্টা সার্থক হয়েছে। একটি বিরল মাশরুমকে সবচেয়ে তিক্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সংগৃহীত ছবি প্রতীকী।
advertisement
*বিরল স্বাদের বুনো মাশরুম, এটি সবচেয়ে তিক্ত পদার্থ বলে বিবেচিত হয়েছে। 'আমারপোস্টেসিয়া স্টিপেটিকা' (আমারোপোস্টেসিয়া স্টিপেপটিকা) নামে এই বন্য মাশরুম 'বিটার বিট মাশরুম' (বিটার বিট মাশরুম) নামে পরিচিত। মিউনিখের টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটির লাইবনিজ ইনস্টিটিউট ফর ফুড সিস্টেমস বায়োলজির বিজ্ঞানীরা এটি আবিষ্কার করেন। সংগৃহীত ছবি প্রতীকী।
advertisement
advertisement
advertisement
*এই মাশরুম যারা খান তারা বলেন, প্রাকৃতিকভাবে খাওয়া কোনও পদার্থে এই স্বাদ থাকে না। টাএস 2 আর একটি বিশেষ স্বাদ রিসেপ্টর যা আমাদের জিহ্বায় উপস্থিত থাকে। এগুলিই এই মাশরুমের তিক্ত পদার্থ সনাক্ত করতে পারে। বৈজ্ঞানিকভাবে, এটি এখন পর্যন্ত শনাক্ত করা পদার্থগুলির মধ্যে সবচেয়ে তিক্ত হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে। সংগৃহীত ছবি প্রতীকী।
advertisement
advertisement
*বিজ্ঞানীরা কীভাবে পরীক্ষা করলেন? বিজ্ঞানীরা এই ছত্রাকের রাসায়নিক পদার্থ শনাক্ত করতে মাস স্পেকট্রোমেট্রি এবং পারমাণবিক চৌম্বকীয় অনুরণনের (এনএমআর) মতো আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করেছেন। ছত্রাকের রাসায়নিক গঠনগুলি ঠিক কী তা জানতে এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করা যেতে পারে। পরবর্তীকালে, মানুষের উপর ছোট ডোজ পরীক্ষা করা হয়েছিল - অর্থাৎ, যারা স্বেচ্ছাসেবী ছিলেন। এই পরীক্ষার অংশ হিসাবে, এর স্বাদ তীব্রতা মূল্যায়ন করা হয়েছিল। সংগৃহীত ছবি প্রতীকী।
advertisement
*তিক্ততা কি বিষ? এই গবেষণার মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা স্পষ্টতই একটি মজার তথ্য প্রকাশ করেছেন। সমস্ত তিক্ত পদার্থকে বিষাক্ত হিসাবে বিবেচনা করা উচিত নয়। একইভাবে, কোনও বিষাক্ত পদার্থের বৈশিষ্ট্য হওয়ার দরকার নেই। এর অর্থ তিক্ততা কোনও নেতিবাচক বৈশিষ্ট্য নয়। এটাও বিশ্বাস করা হয় যে কিছু তিক্ত পদার্থ ওষুধ হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। সংগৃহীত ছবি প্রতীকী।
advertisement